০৪:৫৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ২৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
পিস্তল নিয়ে গ্রেফতার হওয়া রাসেল সদর দক্ষিণ উপজেলা যুবদলের কেউ নয়- সায়েম মজুমদার  নাঙ্গলকোটে মহিলাদল আদ্রা উওর ইউনিয়ন কমিটি গঠন করার লক্ষে মহিলা সমাবেশ অনুষ্ঠিত কুমিল্লায় সুদের টাকা আদায়ে বৃদ্ধকে খুঁটিতে বেঁধে নির্যাতন কুমিল্লায় ৭ বছরের শিশুকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ, পুলিশ হেফাজতে কিশোর কুমিল্লায় চাঁদাবাজবিরোধী অভিযানে হামলা, আহত ৩ পুলিশ সদস্য ইউসুফ মোল্লা টিপুকে নিয়ে আপত্তিকর বক্তব্যের প্রতিবাদে যৌথ বিবৃতি কুমিল্লায় যুবককে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন, ভিডিও ভাইরাল কুমিল্লা সদর দক্ষিণে পিস্তলসহ যুবদল কর্মী আটক দুর্গাপূজায় ৯ দিনের ছুটিতে যাচ্ছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় হানিফ ফ্লাইওভারে বাস-সিএনজি সংঘর্ষ, নিহত ২

সদর দক্ষিণে করোনা ভাইরাস থেকে সচেতন করতে বিরামহীন ছুটে চলেছেন ইউএনও

  • তারিখ : ০৭:৫০:২৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ এপ্রিল ২০২০
  • / 1325

রকিবুল হাসান রকি :
করোনা সংক্রমণরোধে বিরামহীন ছুটে চলছেন কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার ইউএনও মিয়া মোহাম্মাদ কেয়ামউদ্দিন কেয়ামউদ্দিন। দিনরাত আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যদের সাথে সমন্বয় করে কাজ করছেন। নিয়মিত বাজার মনিটরিং, তালিকা ধরে নিন্ম আয়ের মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ সহ জনসচেতনতায় নিরলস কাজ করছেন তিনি।

এমন কার্যক্রমে সদর দক্ষিণ উপজেলা প্রশাসন এখন সাধারণ মানুষের আস্থা ও নির্ভরতার প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে। কখনো ছুটে চলেন জনসমাগম বন্ধে, জাটকা অভিযানে, কখনো বা খাবার নিয়ে হাজির হচ্ছেন কোন অনাহারীর দরজায়। মুখে মাস্ক-হাতে গ্লাভস আর কাঁধে দায়িত্ব। এভাবেই করোনা আতংকের প্রতিটি দিন পার করছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিয়া মোহাম্মাদ কেয়ামউদ্দিন।

সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে সবাইকে সচেতন হওয়ার আহবান করে যাচ্ছেন প্রতিনিয়ত।যারা সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখে না তাদের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করছেন। বাজারে জরুরি পণ্যের দোকানগুলো সকাল ৮ টা থেকে সন্ধা ৬ টা পর্যন্ত খোলা রাখার ব্যবস্থা করেছেন। আবার অনেকে জিবিকার তাগিদে অন্য জেলা থেকে এসেছেন এই উপজেলায় কিন্তু লকডাউন থাকার কারনে ঘর থেকে বের হতে পারছেন না আবার ঘরে খাবার নেই,এই সমস্যার কথা মোবাইলে জানালে ইউএনও নিজেই খাবার পোচে দিচ্ছেন।আর এভাবেই সদর দক্ষিণ উপজেলাকে করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে বিরামহীন কাজ করে যাচ্ছে উপজেলা নির্বাহী অফিসার।

জরুরী সেবার বাহন ছাড়া কেউ যেন উপজেলায় প্রবেশ করতে না পারে সে ব্যাপারে উপজেলার প্রতিটি সীমান্তে কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছেন ও বাজার মনিটরিং, দ্রব্য মূল্য নিয়ন্ত্রনে প্রতিনিয়ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার তৎপর রয়েছেন। এসময় তিনি ঔষধ এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দোকান ছারা সকল ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার বলেন, নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে চলাফেরা করায় প্রতিদিন মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে জরিমানা করা হবে এবং ঢাকা, নারায়নগঞ্জসহ বিভিন্ন স্থান থেকে আশা লোকদেরকে হোম কোয়ারান্টাইন নিচ্ছিত করার লক্ষে কাজ করছি। করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সবাইকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ও ঘরে থাকার বিষয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যেই র্নিদেশনা দিয়েছেন তা মেনে চলার জন্য সকলের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি।

শেয়ার করুন

সদর দক্ষিণে করোনা ভাইরাস থেকে সচেতন করতে বিরামহীন ছুটে চলেছেন ইউএনও

তারিখ : ০৭:৫০:২৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ এপ্রিল ২০২০

রকিবুল হাসান রকি :
করোনা সংক্রমণরোধে বিরামহীন ছুটে চলছেন কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার ইউএনও মিয়া মোহাম্মাদ কেয়ামউদ্দিন কেয়ামউদ্দিন। দিনরাত আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যদের সাথে সমন্বয় করে কাজ করছেন। নিয়মিত বাজার মনিটরিং, তালিকা ধরে নিন্ম আয়ের মানুষের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ সহ জনসচেতনতায় নিরলস কাজ করছেন তিনি।

এমন কার্যক্রমে সদর দক্ষিণ উপজেলা প্রশাসন এখন সাধারণ মানুষের আস্থা ও নির্ভরতার প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে। কখনো ছুটে চলেন জনসমাগম বন্ধে, জাটকা অভিযানে, কখনো বা খাবার নিয়ে হাজির হচ্ছেন কোন অনাহারীর দরজায়। মুখে মাস্ক-হাতে গ্লাভস আর কাঁধে দায়িত্ব। এভাবেই করোনা আতংকের প্রতিটি দিন পার করছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিয়া মোহাম্মাদ কেয়ামউদ্দিন।

সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে সবাইকে সচেতন হওয়ার আহবান করে যাচ্ছেন প্রতিনিয়ত।যারা সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখে না তাদের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করছেন। বাজারে জরুরি পণ্যের দোকানগুলো সকাল ৮ টা থেকে সন্ধা ৬ টা পর্যন্ত খোলা রাখার ব্যবস্থা করেছেন। আবার অনেকে জিবিকার তাগিদে অন্য জেলা থেকে এসেছেন এই উপজেলায় কিন্তু লকডাউন থাকার কারনে ঘর থেকে বের হতে পারছেন না আবার ঘরে খাবার নেই,এই সমস্যার কথা মোবাইলে জানালে ইউএনও নিজেই খাবার পোচে দিচ্ছেন।আর এভাবেই সদর দক্ষিণ উপজেলাকে করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে বিরামহীন কাজ করে যাচ্ছে উপজেলা নির্বাহী অফিসার।

জরুরী সেবার বাহন ছাড়া কেউ যেন উপজেলায় প্রবেশ করতে না পারে সে ব্যাপারে উপজেলার প্রতিটি সীমান্তে কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছেন ও বাজার মনিটরিং, দ্রব্য মূল্য নিয়ন্ত্রনে প্রতিনিয়ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার তৎপর রয়েছেন। এসময় তিনি ঔষধ এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দোকান ছারা সকল ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার বলেন, নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে চলাফেরা করায় প্রতিদিন মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে জরিমানা করা হবে এবং ঢাকা, নারায়নগঞ্জসহ বিভিন্ন স্থান থেকে আশা লোকদেরকে হোম কোয়ারান্টাইন নিচ্ছিত করার লক্ষে কাজ করছি। করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সবাইকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ও ঘরে থাকার বিষয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যেই র্নিদেশনা দিয়েছেন তা মেনে চলার জন্য সকলের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি।