মাজহারুল ইসলাম বাপ্পি :
মহান স্বাধীনতা দিবসে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার পশ্চিম জোড়কানন ইউনিয়নের ভাটপাড়ায় যুবলীগ কর্মী নাদিমকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি হাজী ইলিয়াস মিয়া সহ ২৯ জনের নাম উল্লেখ সহ অজ্ঞাতনামা আরো ৮/১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
রবিবার দিবাগত রাত সোয়া বারোটায় (২৮ মার্চ) নিহতের পিতা ইদু মিয়া বাদি হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।
মামলার অন্যান্য আসামীরা হলেন- ভাটপাড়ার নুরুল হকের ছেলে বেল্লাল হোসেন বিল্লাল , এরশাদ মিয়া, রুবেল মিয়া, মৃত চাঁন মিয়ার ছেলে নুরুল হক, মৃত দুলা মিয়ার ছেলে খোকা, কামাল, জামাল, মৃত রুহুল আমিনের ছেলে মান্নান, হান্নান, আবুল কালাম আজাদ, এরশাদ মিয়ার ছেলে রিপন, সোহাগ, আনোয়ারের ছেলে আল আমিন, নুরুল ইসলামের ছেলে আল আমিন, মৃত চারু মিয়ার ছেলে ওয়াসিম, হাজী জুলফু মিয়ার ছেলে সোহরাব, এছাক মিয়ার ছেলে মন্নান, মৃত আজিজুল হকের ছেলে আনিসুল হক, রুহুল আমিনের ছেলে এহতেশামুল হক, কাশেদুল হক, শেকায়েত উল্লাহর ছেলে সোহেল, হিরু মিয়ার ছেলে মিজান, রহিমের ছেলে শান্ত, হিরু মিয়ার স্ত্রী ছালেকা বেগম, ফারুকের স্ত্রী সাজেদা, নুরুল হকের স্ত্রী হোসনেয়ারা, মৃত রুহুল আমিনের ছেলে জয়নাল, মৃত কামিলুল হকের ছেলে মাহফুজুল হক।
এ ব্যাপারে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ দেবাশীষ চৌধুরী জানান, একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মামলার অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
উল্লেখ্য, সুয়াগাজী এলাকায় আধিপত্যের জের ধরে কিছুদিন যাবত স্থানীয় দু’গ্রুপের মাঝে দ্বন্ধ চলে আসছে। এরই মধ্যে গত তিনদিন পূর্বে ভাটপাড়ায় বেলালের বাড়িতে মাদক বিরোধী অভিযান চালায় র্যাব সদস্যরা। প্রতিপক্ষের ধারণা নাদিমের তথ্যের ভিত্তিতে এ অভিযান চালিয়েছে র্যাব।
নিহতের নাদিমের স্বজনরা জানায়, রাজনৈতিক আধিপত্যের জের ধরে শুক্রবার (২৬ মার্চ) সকাল নয়টায় স্থানীয় বেলাল, রিপন, খোকা, রোবেল, এরশাদ তাদের দলবল নিয়ে ভাটপাড়ায় নাদিমের বাড়িতে গিয়ে তাকে প্রকাশ্যে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মারাত্মক আহত করে।
গুরুতর আহত অবস্থায় নাদিমকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে সকাল দশটায় তার মৃত্যু হয়। নিহত নাদিমের স্ত্রী আমেনা বেগম, ভাই রাসেল ও বাবা ইদু মিয়াও হামলায় গুরুতর আহত হয়।