স্পোর্টস রিপোর্টার :
এক বছরের স্থগিত নিষেধাজ্ঞাসহ ২ বছরের জন্য নিষিদ্ধ হলেন বাংলাদেশি অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। আজ অফিসিয়াল বিবৃতিতে সাকিবকে নিষিদ্ধ করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। ৩টি অভিযোগে সাকিবকে আর্টিকেল ২.৪.৪ অনুযায়ী শাস্তি দিয়েছে আইসিসি।
২০১৮ আইপিএলে এবং সেই বছরের জানুয়ারিতে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ও জিম্বাবুয়ের মধ্যকার ত্রিদেশীয় ওয়ানডে সিরিজে মোট ৩ বার ম্যাচ পাতানোর প্রস্তাব পেয়েছিলেন সাকিব। আইপিএলে ২৬শে এপ্রিল হায়দরাবাদ-পাঞ্জাবের মধ্যকার ম্যাচ পাতানোর কথা উল্লেখ করেছে আইসিসি। কিন্তু আইসিসির দুর্নীতি দমন ইউনিট আকসুর কাছে বিষয়টি জানাননি সাকিব। এই কারণে আর্টিকেল ২.৪.৪ অনুযায়ী শাস্তি পেলেন সাকিব।
সাকিব তার অপরাধ স্বকীর করে নেয়ায় ১ বছরের স্থগিত নিষেধাজ্ঞা পেয়েছেন। সে হিসেবে ২০২০ সালে ২৯শে অক্টোবর থেকে আবার ক্রিকেটে ফিরতে পারবেন তিনি। তবে শর্ত আছে। আকসুর বিভিন্ন দুর্নীতি বিরোধী ক্যাম্পেইনে তাকে অংশ নিতে হবে। আকসু যদি সাকিবের কর্মকাণ্ডে সন্তুষ্ট হয় তবেই সে ক্রিকেটে ফিরতে পারবে।
আইসিসিকে সাকিব বলেন, ‘আমি খুবই ব্যথিত। যেই খেলাটাকে এতো ভালোবাসি সেখানে নিষিদ্ধ হলাম।
তবে ম্যাচ পাতানোর প্রস্তাব আইসিসিতে না জানানোয়, আমি আমার নিষেধাজ্ঞা মেনে নিচ্ছি। আইসিসির দুর্নীতি বিরোধী ইউনিট খেলোয়াড়দের দুর্নীতিমুক্ত রাখতে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু আমি আমার অংশটা ঠিকঠাক পালন করতে পারিনি।’
সূত্র:
মানবজমিন