কুমিল্লা সদর দক্ষিণে আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ ও বেগম রোকেয়া দিবসের আলোচনা সভা
- তারিখ : ০৭:১৩:০৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২২
- / 386
নিজস্ব প্রতিবেদক।।
আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ ও বেগম রোকেয়া দিবস ২০২২ উদযাপন উপলক্ষে “জয়িতা অন্বেষনে বাংলাদেশ” শীর্ষক কার্যক্রমের আওতায় কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা কার্যালয় উদ্যোগে শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) জয়িতাদের সংবর্ধনা, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
“সবার মাঝে ঐক্য গড়ি, নারী ও শিশু নির্যাতন বন্ধ করি” এ শ্লোগানকে ধারণ করে শুক্রবার উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে একটি র্যালি বের। র্যালি শেষে জয়িতাদের সংবর্ধনা, আলোচনা সভা ও আইজিএ প্রশিক্ষনার্থীদের মাঝে চেক বিতরণ করা হয়। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে কিশোর কিশোরী ক্লাব। উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা কার্যালয় উদ্যোগে ৫ ক্যাটাগরির জয়িতার মধ্যে ৪ জয়িতাকে অনুষ্ঠানে সম্মাননা প্রদান করা হয় এবং একজন জয়িতা জেলা পর্যায়ে নির্বাচিত হওয়ায় জেলায় তাকে সম্মাননা প্রদান করা হয়।
কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলা নির্বাহী অফিসার শুভাশিস ঘোষ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অতিথিদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সদর দক্ষিণ উপজেলা পরিষদ মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসিমা আক্তার পুতুল, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আব্দুর রহমান, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাবিবুল বাশার চৌধুরী। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সদর দক্ষিণ উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা পারভীন আক্তার। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন আবৃত্তি প্রশিক্ষক মিজানুর রহমান।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, বেগম রোকেয়া ছিলেন দূরদৃষ্টিসম্পন্ন একজন আধুনিক নারী। নারী শিক্ষা তিনি উপলব্ধি করেছিলেন সমাজ তথা রাষ্ট্রের সার্বিক উন্নয়নের জন্য পুরুষের পাশাপাশি নারীকে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার মাধ্যমে উপযুক্ত করে গড়ে তোলা একান্ত প্রয়োজন। তার এই উপলব্ধি ও আদর্শ আজও অনুপ্রেরণা যোগায়।
সরকার নারীর মৌলিক অধিকারের পাশাপাশি সর্বত্র নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার ফলে বাংলাদেশের নারীরা এখন নিজ নিজ ক্ষেত্রে সমহিমায় ও সক্ষমতায় উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’-এর সফল বাস্তবায়নসহ দেশের সার্বিক উন্নয়নে সফলতার স্বাক্ষর রেখে চলেছে। রাজনীতি, অর্থনীতি, চাকরি, ব্যবসা-বাণিজ্য, শিক্ষা ও শিল্প-সংস্কৃতি তথা সমাজের সর্বক্ষেত্রে নারীর অবস্থান এখন সাবলীল এবং সুদৃঢ়। ক্ষমতায়নের অন্যান্য ক্ষেত্র যেমন প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও বিচার বিভাগেও নারীর পদচারণা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে।