০৮:৪৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৮ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
হানিফ ফ্লাইওভারে বাস-সিএনজি সংঘর্ষ, নিহত ২ লালমাইয়ে বিয়ের নাম ভাঙ্গিয়ে মারধর ও লুটপাটের ঘটনায় থানায় মামলা কুমিল্লা সদর দক্ষিণের ব্যবসায়ী দুলালকেখুন্তি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা ভাড়াটিয়া সুমি কুমিল্লার বেলতলীতে পিকআপ চাপায় পথচারী নিহত বিতর্কের মুখে সংসদের নির্বাচনী এলাকা সীমানা নির্ধারণ কারিগরি কমিটি কুমিল্লা সদর দক্ষিণে জুলাই পুনর্জাগরণে সমাজ গঠনে শপথ গ্রহন অনুষ্ঠান অপরাধী যে দলেরই হোক, কোনো ছাড় নেই- ওসি মোহাম্মদ সেলিম কুমিল্লা সদর দক্ষিণে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবসে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ ইয়ংস্টার সোশ্যাল অর্গানাইজেশন এর সদর দক্ষিন উপজেলার কমিটি গঠন নতুন পুরাতন বুঝি না,ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে-ডা. শফিকুর রহমান

কুমিল্লায় সেনা সদস্য হত্যা মামলা ৪ জনের ফাঁসি ও একজনের ১০ বছর সশ্রম কারাদন্ড

  • তারিখ : ০৮:২১:২৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২১
  • / 463

মো.জাকির হোসেন।।

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে চাঞ্চল্যকর সেনা সদস্য আবদুর রহমান হত্যা মামলার রায় সোমবার দুপুরে ঘোষণা করা হয়েছে। কুমিল্লার জেলা ও দদায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৪র্থ আদালতে দেয়া এই রায়ে বিচারক ৪ জনকে ফাঁসি এবং একজনকে ১০ বছর সশ্রম কারাদন্ড দিয়েছেন।

সোমবার দুপুরে কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৪র্থ আদালতের বিচারক রোজিনা খান ফাঁসির দ-প্রাপ্ত ৪ আসামীর উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। তবে সশ্রম কারাদ-প্রাপ্ত আসামী এসময় অনুপস্থিত ছিলেন।

আদালত সূত্রে জানা যায়, চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার মদনের গাঁও গ্রামের হাফেজ মাওলানা মফিজুল ইসলামের ছেলে আবদুর রহমান বগুড়া সেনানিবাসে সৈনিক পদে কর্মরত ছিল। ২০১৬ সালের ২১ অক্টোবর রাতে বাড়ি থেকে কর্মস্থলে যাওয়ার পথে দুর্বৃত্তরা এলোপাতারিভাবে কুপিয়ে হত্যার পর নাঙ্গলকোট রেলওয়ে স্টেশনের দক্ষিণে গোত্রশাল দিঘীর পশ্চিম পাশে তার মরদেহ ফেলে যায়। খবর পেয়ে লাকসাম রেলওয়ে থানা পুলিশের নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে।

এ ঘটনায় পরদিন রাতে নিহত আবদুর রহমানের পিতা বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে লাকসাম জিআরপি রেলওয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মো. আতাউর রহমান তদন্ত শেষে ২০১৭ সালের ১১ জুলাই ৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন।

এ মামলায় ২৮ জন স্বাক্ষীর মধ্যে ১৩ জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্যগ্রহণ শেষে সোমবার দুপুরে আদালতের বিচারক অভিযুক্ত ৫ জনের মধ্যে ৪জনকে ফাঁসির রায় দেন এবং অপর আসামীকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদ- দেন।

দ-প্রাপ্ত আসাদের মধ্যে ফাঁসির আসামীরা হচ্ছে- ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর থানার চম্পকনগর বাদারিয়া কলোনীর প্রয়াত রুহুল আমিন ওরফে বাদশা মিয়ার ছেলে মোঃ সিরাজুল ইসলাম, একই থানার উথারিয়া গ্রামের রেজু মিয়ার ছেলে উজ্জল মিয়া ওরফে ইয়াছিন ওরফে পিচ্ছি ভাগিনা প্রকাশ কালা, চট্টগ্রামের হাটহাজারী থানার মৌলভীপাড়া গ্রামের প্রয়াত রফিক মিয়ার ছেলে জনি প্রকাশ নয়ন ও হবিগঞ্জের বানিয়াচং থানার মশাখালী গ্রামের আকাশী দাস প্রকাশ কালীদাসের ছেলে প্রদীপ দাস।

এ মামলায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরের বাসুদেব গ্রামের প্রয়াত লাহু মিয়ার ছেলে আলী আক্কাছকে ১০ বছরের কারাদ- দেয়া হয়।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট শেখ মাসুদ ইকবাল মজুমদার এবং আসামী পক্ষে অ্যাডভোকেট নাঈমা সুলতানা মুন্নী।

শেয়ার করুন

কুমিল্লায় সেনা সদস্য হত্যা মামলা ৪ জনের ফাঁসি ও একজনের ১০ বছর সশ্রম কারাদন্ড

তারিখ : ০৮:২১:২৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২১

মো.জাকির হোসেন।।

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে চাঞ্চল্যকর সেনা সদস্য আবদুর রহমান হত্যা মামলার রায় সোমবার দুপুরে ঘোষণা করা হয়েছে। কুমিল্লার জেলা ও দদায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৪র্থ আদালতে দেয়া এই রায়ে বিচারক ৪ জনকে ফাঁসি এবং একজনকে ১০ বছর সশ্রম কারাদন্ড দিয়েছেন।

সোমবার দুপুরে কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ৪র্থ আদালতের বিচারক রোজিনা খান ফাঁসির দ-প্রাপ্ত ৪ আসামীর উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। তবে সশ্রম কারাদ-প্রাপ্ত আসামী এসময় অনুপস্থিত ছিলেন।

আদালত সূত্রে জানা যায়, চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার মদনের গাঁও গ্রামের হাফেজ মাওলানা মফিজুল ইসলামের ছেলে আবদুর রহমান বগুড়া সেনানিবাসে সৈনিক পদে কর্মরত ছিল। ২০১৬ সালের ২১ অক্টোবর রাতে বাড়ি থেকে কর্মস্থলে যাওয়ার পথে দুর্বৃত্তরা এলোপাতারিভাবে কুপিয়ে হত্যার পর নাঙ্গলকোট রেলওয়ে স্টেশনের দক্ষিণে গোত্রশাল দিঘীর পশ্চিম পাশে তার মরদেহ ফেলে যায়। খবর পেয়ে লাকসাম রেলওয়ে থানা পুলিশের নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে।

এ ঘটনায় পরদিন রাতে নিহত আবদুর রহমানের পিতা বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে লাকসাম জিআরপি রেলওয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মো. আতাউর রহমান তদন্ত শেষে ২০১৭ সালের ১১ জুলাই ৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন।

এ মামলায় ২৮ জন স্বাক্ষীর মধ্যে ১৩ জন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্যগ্রহণ শেষে সোমবার দুপুরে আদালতের বিচারক অভিযুক্ত ৫ জনের মধ্যে ৪জনকে ফাঁসির রায় দেন এবং অপর আসামীকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদ- দেন।

দ-প্রাপ্ত আসাদের মধ্যে ফাঁসির আসামীরা হচ্ছে- ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর থানার চম্পকনগর বাদারিয়া কলোনীর প্রয়াত রুহুল আমিন ওরফে বাদশা মিয়ার ছেলে মোঃ সিরাজুল ইসলাম, একই থানার উথারিয়া গ্রামের রেজু মিয়ার ছেলে উজ্জল মিয়া ওরফে ইয়াছিন ওরফে পিচ্ছি ভাগিনা প্রকাশ কালা, চট্টগ্রামের হাটহাজারী থানার মৌলভীপাড়া গ্রামের প্রয়াত রফিক মিয়ার ছেলে জনি প্রকাশ নয়ন ও হবিগঞ্জের বানিয়াচং থানার মশাখালী গ্রামের আকাশী দাস প্রকাশ কালীদাসের ছেলে প্রদীপ দাস।

এ মামলায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরের বাসুদেব গ্রামের প্রয়াত লাহু মিয়ার ছেলে আলী আক্কাছকে ১০ বছরের কারাদ- দেয়া হয়।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট শেখ মাসুদ ইকবাল মজুমদার এবং আসামী পক্ষে অ্যাডভোকেট নাঈমা সুলতানা মুন্নী।