মাজহারুল ইসলাম বাপ্পি :
ছয় ঋতুর দেশ বাংলাদেশ। এ দেশে প্রতিটি ঋতুর রয়েছে আলাদা রূপ ও বৈচিত্র্য। আর তাই প্রকৃতির ধারাবাহিকতায় শরত এসেছে তার অপরূপ নিজস্ব সৌন্দর্য নিয়ে। আগস্ট মাসের মধ্যভাগ থেকে অক্টোবরের মধ্যভাগ পর্যন্ত এই সময়ে প্রকৃতি হেসে ওঠে। প্রকৃতিতে যখন শরৎকাল আসে তখন কাশফুলই জানিয়ে দেয় তার আগমনী বার্তা।
ঠিক তেমনি কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলা পরিষদ চত্তরের কাশফুলের দোল আর আকাশে সূর্যের সাথে সাদা মেঘের শরত এর আগমনী বার্তা জানান দিচ্ছে। উপজেলার বিভিন্ন অফিসের কর্মকর্তা/ কর্মচারীসহ কুমিল্লার দূরদূরান্ত থেকে সেবা নিতে আসা মানুষের চোখ জুড়ানো এই অপরূপ সৌন্দর্য মন কাড়ছে সবার। তবে বৈশ্বিক উষ্ণতা আর জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবের ফলে ধীরে ধীরে প্রকৃতি হারাচ্ছে তার চিরচায়িত রূপ।
ঝকঝকে নীল আকাশে ভেসে বেড়ানো সাদা মেঘের ভেলা অথবা কখনো কালো মেঘের মাঝ থেকে সূর্যে ঝিলিক আর শ্বেত শুভ্র কাশ ফুলের শোভা সবই জেনো প্রকৃতিতে শরত এর আগমনী বার্তা নিয়ে এসেছে। এভাবেই প্রতি বছর ফিরে আসে শরত, বাংলার প্রকৃতিকে করে তোলে রূপময়। কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলা পরিষদ মাঠের পূর্বপাশ ও উত্তর পাশের শুভ্র কাশফুলের মেলবন্ধন মন কাড়ে উপজেলায় আগত মানুষ ও প্রকৃতি প্রেমীদের। এছাড়াও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মাঠের কাশফুলের সৌন্দর্য উপভোগ করতেও ছুটে আসেন অনেক মানুষ।
কাশফুল দেখতে আসা দর্শনার্থীরা কুমিল্লা এসডি নিউজ ২৪ কে বলেন, কাশফুল বাংলার চিরচেনা শরতের সুন্দর স্নিগ্ধ ফুল। গ্রামবাংলার অপরূপ শোভা কাশবন ছিল চিরচেনা দৃশ্য। কিন্তু সেই কাশবন এখন আগের মতো চোখে পড়ে না। প্রকৃতির কাছ থেকে একটু প্রশান্তি পেতে পরিবার পরিজন নিয়ে মানুষ ঘুরতে আসে। প্রায় প্রতিদিন দূরদূরান্ত থেকে পরিবার পরিজন নিয়ে দর্শনার্থীরা আসছে শরতের এই রূপ উপভোগ করতে।
এ বিষয়ে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলা প্রকৌশলী মেহেদী হাসান কুমিল্লা এসডি নিউজ ২৪ কে বলেন, শরত আসে সৌন্দর্য নিয়ে আর সেই সৌন্দর্য কাশফুল ছাড়া পূর্ণতা পায় না। উপজেলা চত্তরের কাশবনের এই পরিবেশ যে কারও মনকে ভালো করে দেয়। শেষ বিকেলের আলো আর মৃদু হাওয়ায় দোল খাওয়া সাদা কাশ ফুল এই দু’য়ের মেলবন্ধনে গোধূলির লাল সূর্য যখন অস্তাচলে তখন প্রকৃতি হয়ে ওঠে আরও মায়াবী। এই রকম পরিবেশে খুবই মুগ্ধ।
কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলা চত্তরের কাশফুল সৌন্দর্য এর ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শুভাশিস ঘোষ কুমিল্লা এসডি নিউজ ২৪ কে বলেন, আবহমান বাংলার চিরাচরিত রূপে রূপান্তরিত হয়েছে কাশফুল বাগানটি। প্রায় প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকার প্রকৃতি প্রেমী লোকজন এ কাশফুল বাগানে ঘুরতে আসে। পরিবার পরিজন নিয়ে দর্শনার্থীরা শরতের এই রূপ দেখতে ও ছবি তুলতে ছুটির দিনসহ প্রায় বিকেলেই ভিড় জমায়। এখানকার পরিবেশটি সব মিলিয়ে ভালো লাগার মতো একটি স্থানে পরিণত হয়েছে।