কুমিল্লার লালমাইয়ে যৌতুকের দাবিতে এক সন্তানের জননীকে হত্যার ঘটনায় মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক :
কুমিল্লার লালমাই উপজেলার শানিচৌঁ গ্রামে যৌতুকের দাবিতে ঝড়না আক্তার (২২) নামে এক সন্তানের জননীকে পরিকল্পিতভাবে হত্যার ঘটনায় স্বামী আবু হান্নান সহ সাত জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঝড়না আক্তারের পিতা বাদশা আলম বাদি হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে লালমাই থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
সূত্রে জানা যায়, কুমিল্লার লালমাই উপজেলার শানিচৌঁ গ্রামের এসহাক মিয়ার ছেলের সাথে পাঁচ বছর পূর্বে বিয়ে হয় নোয়াখালী জেলার বাদশা মিয়া মেয়ে ঝড়না আক্তারের। দাম্পত্য জীবনে তাদের সংসারে আসে পুত্র সন্তান ইব্রাহিম। বিয়ের পর থেকেই স্বামী আবু হান্নান যৌতুকের জন্য ঝড়না আক্তার কে বিভিন্ন সময় শারিরিক নির্যাতন চালাতো । যৌতুকের নির্যাতন থেকে রক্ষা পেতে এবং ঝড়না আক্তার ও তার এক ছেলের সুখের কথা ভেবে স্বামী হান্নান কে শ^শুর বাড়ি থেকে ৫ লাখ টাকা যৌতুক দেয়া হয়। পরবর্তীতে হান্নান একটি পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে স্ত্রী ঝড়নার উপর আবারো ৪ লাখ টাকা যৌতুকের নামে শারিরিক নির্যাতন শুরু করে। পুনরায় ৪ লাখ টাকা যৌতুকের চাহিদা মেটাতে না পারায় ঝড়নাকে হত্যা করে স্বামী আবু হান্নান ও পরিবারের লোকজন। হত্যার ঘটনায় ২০ ফেব্রুয়ারী ঝড়না আক্তারের পিতা বাদশা আলম বাদি হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ সালের সংশোধনী ২০০৩ এর ১১ (ক)৩০ ধারায় লালমাই থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মালা নং-০৪। মামলার আসামীরা হলেন-কুমিল্লা লালমাই উপজেলার শানিচৌ গ্রামের আবু হান্নান,মোসাঃ নুরুন্নাহার বেগম,আবু হানিফ,জয়নাল আবেদীন,মোঃ মরিয়ম বেগম,মোসাঃ ফিরোজা বেগম ও মোঃ সফিকুর রহমান। এ ব্যাপারে ঝড়নার বড় ভাই জুয়েল জানায়, বোনের শান্তির কথা চিন্তা করে পাষন্ড স্বামী আবু হান্নান কে কয়েক দফায় যৌতুক দেয়ার পরও তার যৌতুকের চাহিদা না মেটায় পরিকল্পিতভাবে আমার বোন ঝড়না কে হত্যা করে। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্নও পাওয়া গেছে। অবিলম্বে মামলার আসামীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।

এ ব্যাপারে লালমাই থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আইয়ুব জানান, আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

     আরো পড়ুন....

পুরাতন খবরঃ

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০  
error: ধন্যবাদ!