নভেল করোনাভাইরাসে বিশ্বজুড়ে আক্রান্ত হয়েছে ১ লাখ ১৪ হাজারের বেশি মানুষ। মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ২৬ জনে।
আক্রান্তদের মধ্যে ৮০ হাজারের বেশি চীনা নাগরিক। মৃতদের মধ্যেও ৩ হাজার ১৩৬ জনই চীনের।
চীনের রোগনিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র মৃত্যুর ঘটনাগুলো বিশ্লেষণ করে যে ছক দিয়েছে, তাতে দেখা যায়– মধ্যবয়সীদের চেয়ে বয়স্কদের মৃত্যুর সংখ্যা ১০ গুণ বেশি।
করোনায় আক্রান্ত হলে শরীরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। এতে রোগীর অনেক ধরনের শারীরিক সমস্যা হয়ে থাকে। তিলে তিলে আক্রান্তকে গ্রাস করে ভাইরাসের সংক্রমণ।
৫৬ হাজার আক্রান্তের ওপর পরীক্ষা চালিয়ে বিভিন্ন ধরনের অভিজ্ঞতা পাওয়া গেছে।
পরিসংখ্যান বলছে, বিশ্বের মোট আক্রান্তের ৮০ শতাংশের মধ্যে সংক্রমণ তেমন গুরুতর নয়। তবে ১৪ শতাংশের মধ্যে সংক্রমণ ও তাদের শারীরিক পরিস্থিতি গুরুতর। বাকি ৬ শতাংশ আক্রান্তের অবস্থা অত্যন্ত সংকটজনক।
আক্রান্তদের পরীক্ষা করে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, করোনাভাইরাস আক্রান্তের ফুসফুসের কর্মক্ষমতা দ্রুত নষ্ট করে দেয়। ফলে শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে বেশ কষ্ট হয়। আর আক্রান্তদের ঘন ঘন জোরে জোরে নিঃশ্বাস নিতে হয়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এক মিনিটে ৩০ বারের বেশি শ্বাস-প্রশ্বাস নিলে রক্তে পর্যাপ্ত অক্সিজেনের ঘাটতি দেখা যায়। যথাসময়ে সঠিক চিকিত্সা না হলে মস্তিষ্কে অক্সিজেন সরবরাহের ঘাটতি দেখা যায়। ফলে রোগী ধীরে ধীরে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন।
এ সময় আক্রান্তের হার্ট, কিডনিসহ একাধিক অঙ্গ বিকল হতে শুরু করে। আর রোগী ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যায়।
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ডায়াবেটিস, হাইপারটেনশন, হার্টের সমস্যা, ক্যান্সার, হাঁপানির মতো সমস্যা থাকলে করোনাভাইরাসে মৃত্যুর আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি।
আর শিশু ও বয়স্কদের ক্ষেত্রেও একইভাবে বিপজ্জনক করোনাভাইরাস।
তথ্যসূত্র: জিনিউজ