০৮:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ অগাস্ট ২০২৫, ৩ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কুমিল্লা সদর দক্ষিণের ব্যবসায়ী দুলালকেখুন্তি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা ভাড়াটিয়া সুমি কুমিল্লার বেলতলীতে পিকআপ চাপায় পথচারী নিহত বিতর্কের মুখে সংসদের নির্বাচনী এলাকা সীমানা নির্ধারণ কারিগরি কমিটি কুমিল্লা সদর দক্ষিণে জুলাই পুনর্জাগরণে সমাজ গঠনে শপথ গ্রহন অনুষ্ঠান অপরাধী যে দলেরই হোক, কোনো ছাড় নেই- ওসি মোহাম্মদ সেলিম কুমিল্লা সদর দক্ষিণে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবসে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ ইয়ংস্টার সোশ্যাল অর্গানাইজেশন এর সদর দক্ষিন উপজেলার কমিটি গঠন নতুন পুরাতন বুঝি না,ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে-ডা. শফিকুর রহমান ছয় দফা দাবিতে কুমিল্লা সদর দক্ষিণে স্বাস্থ্য সহকারীদের অবস্থান কর্মসূচি সাবেক সিইসি নূরুল হুদাকে হেনস্তা: স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা হানিফ গ্রেফতার

কুমিল্লায় গৃহবধূ ঝর্না হত্যা মামলার আসামিদের গ্রেফতারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

  • তারিখ : ০৯:২৮:৩০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ মার্চ ২০২০
  • / 1392

সদর দক্ষিণ প্রতিনিধি :

কুমিল্লায় যৌতুকের দাবিতে ইয়াসমিন আক্তার ঝর্না নামে এক সন্তানের মা গৃহবধূ হত্যার অভিযোগে দায়ের করা মামলার আসামিরা এক মাসেও গ্রেফতার হয়নি। থানা পুলিশের সাথে সখ্যতার কারণে তারা গ্রেফতার এড়িয়ে এলাকায় প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং মামলাটি প্রত্যাহার করে নেয়ার জন্য নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে। গতকাল বুধবার দুপুরে নগরীর পদুয়ার বাজার এলাকায় একটি হোটেলে সাংবাদিক সম্মেলন করে ওই গৃহবধূর বাবা-মা ও পরিবারের সদস্যসহ স্বজনরা সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন। তবে পুলিশের দাবি, আসামিরা পলাতক রয়েছে, তাদের খুঁজে পাচ্ছি না।
লিখিত অভিযোগে গৃহবধূর বাবা সেনা সার্জেন্ট (অব.) মো. বাদশা আলম জানান, তাদের বাড়ি নোয়াখালীর সুধারাম থানার রামানন্দী গ্রামে। ৫ বছর আগে তার মেয়ে ইয়াসমিন আক্তার ঝর্নার (২২) সাথে কুমিল্লার লালমাই উপজেলার শানিচোঁ গ্রামের এসহাক মিয়ার ছেলে মো. আবু হান্নানের (৩৫) সাথে বিয়ে হয়। তাদের ইব্রাহিম নামে আড়াই বছরের এক ছেলে সন্তান রয়েছে। তিনি বলেন, বিয়ের পর ঝর্ণার স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন যৌতুকের দাবিতে তার মেয়েকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন শুরু করলে মেয়ের সুখের জন্য ৫ লাখ টাকা দেই। কয়েক মাস আগে থেকে হান্নান আরো ৪ লাখ টাকা যৌতুকের জন্য মেয়েকে চাপ সৃষ্টিসহ মারধর করলে সে অপারগতা জানায়। এরইমধ্যে হান্নান পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে এবং ঝর্ণার উপর অমানবিক নির্যাতন শুরু করে। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি হান্নান ও তার পরিবারের লোকজন পরিকল্পিতভাবে ঝর্ণাকে হত্যা করে। এ ঘটনায় ২০ ফেব্রুয়ারি ঝর্ণার স্বামী আবু হান্নান, তার মা নুরুন্নাহার, ভাই আবু হানিফ ও জয়নাল আবেদীনসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে লালমাই থানায় হত্যা মামলা দায়ের করি। তিনি বলেন, মামলা দায়েরের এক মাস পেরিয়ে গেলেও পুলিশ আসামিদের কাউকে গ্রেফতার করছে না এবং তারা প্রকাশ্যে এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। আমরা থানায় গেলেও তদন্তকারী কর্মকর্তার কোনো সহায়তা পাচ্ছি না। সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে ছিলেন নিহত ঝর্ণার মা আনজুমা বেগম, ভাই আবদুল্লাহ আল-আজমী জুয়েল, সেনা সদস্য আবদুল্লাহ আল জামিম, চাচা দুলা মিয়া, ফুফু বানোজা বেগম, জেঠাতো বোন মমতাজ বেগম মেম্বারসহ পরিবারের সদস্য ও স্বজনরা। তারা অবিলম্বে আসামিদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন। লালমাই থানার ওসি মোহাম্মদ আইয়ুব জানান, আসামিদের গ্রেফতারের জন্য আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি, আশা করি সহসাই তাদের গ্রেফতার হবে।

শেয়ার করুন

কুমিল্লায় গৃহবধূ ঝর্না হত্যা মামলার আসামিদের গ্রেফতারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

তারিখ : ০৯:২৮:৩০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ মার্চ ২০২০

সদর দক্ষিণ প্রতিনিধি :

কুমিল্লায় যৌতুকের দাবিতে ইয়াসমিন আক্তার ঝর্না নামে এক সন্তানের মা গৃহবধূ হত্যার অভিযোগে দায়ের করা মামলার আসামিরা এক মাসেও গ্রেফতার হয়নি। থানা পুলিশের সাথে সখ্যতার কারণে তারা গ্রেফতার এড়িয়ে এলাকায় প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং মামলাটি প্রত্যাহার করে নেয়ার জন্য নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে। গতকাল বুধবার দুপুরে নগরীর পদুয়ার বাজার এলাকায় একটি হোটেলে সাংবাদিক সম্মেলন করে ওই গৃহবধূর বাবা-মা ও পরিবারের সদস্যসহ স্বজনরা সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন। তবে পুলিশের দাবি, আসামিরা পলাতক রয়েছে, তাদের খুঁজে পাচ্ছি না।
লিখিত অভিযোগে গৃহবধূর বাবা সেনা সার্জেন্ট (অব.) মো. বাদশা আলম জানান, তাদের বাড়ি নোয়াখালীর সুধারাম থানার রামানন্দী গ্রামে। ৫ বছর আগে তার মেয়ে ইয়াসমিন আক্তার ঝর্নার (২২) সাথে কুমিল্লার লালমাই উপজেলার শানিচোঁ গ্রামের এসহাক মিয়ার ছেলে মো. আবু হান্নানের (৩৫) সাথে বিয়ে হয়। তাদের ইব্রাহিম নামে আড়াই বছরের এক ছেলে সন্তান রয়েছে। তিনি বলেন, বিয়ের পর ঝর্ণার স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন যৌতুকের দাবিতে তার মেয়েকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন শুরু করলে মেয়ের সুখের জন্য ৫ লাখ টাকা দেই। কয়েক মাস আগে থেকে হান্নান আরো ৪ লাখ টাকা যৌতুকের জন্য মেয়েকে চাপ সৃষ্টিসহ মারধর করলে সে অপারগতা জানায়। এরইমধ্যে হান্নান পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে এবং ঝর্ণার উপর অমানবিক নির্যাতন শুরু করে। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি হান্নান ও তার পরিবারের লোকজন পরিকল্পিতভাবে ঝর্ণাকে হত্যা করে। এ ঘটনায় ২০ ফেব্রুয়ারি ঝর্ণার স্বামী আবু হান্নান, তার মা নুরুন্নাহার, ভাই আবু হানিফ ও জয়নাল আবেদীনসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে লালমাই থানায় হত্যা মামলা দায়ের করি। তিনি বলেন, মামলা দায়েরের এক মাস পেরিয়ে গেলেও পুলিশ আসামিদের কাউকে গ্রেফতার করছে না এবং তারা প্রকাশ্যে এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। আমরা থানায় গেলেও তদন্তকারী কর্মকর্তার কোনো সহায়তা পাচ্ছি না। সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে ছিলেন নিহত ঝর্ণার মা আনজুমা বেগম, ভাই আবদুল্লাহ আল-আজমী জুয়েল, সেনা সদস্য আবদুল্লাহ আল জামিম, চাচা দুলা মিয়া, ফুফু বানোজা বেগম, জেঠাতো বোন মমতাজ বেগম মেম্বারসহ পরিবারের সদস্য ও স্বজনরা। তারা অবিলম্বে আসামিদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন। লালমাই থানার ওসি মোহাম্মদ আইয়ুব জানান, আসামিদের গ্রেফতারের জন্য আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি, আশা করি সহসাই তাদের গ্রেফতার হবে।