কুমিল্লা সদর দক্ষিণের ব্যবসায়ী দুলালকেখুন্তি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা ভাড়াটিয়া সুমি
- তারিখ : ১১:২৬:১৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১২ অগাস্ট ২০২৫
- / 372

{"remix_data":[],"remix_entry_point":"challenges","source_tags":["local"],"origin":"unknown","total_draw_time":0,"total_draw_actions":0,"layers_used":0,"brushes_used":0,"photos_added":0,"total_editor_actions":{},"tools_used":{"transform":1,"effects":1,"curves":1},"is_sticker":false,"edited_since_last_sticker_save":true,"containsFTESticker":false}
কুমিল্লা সদর দক্ষিণের চাঁদপুরের ব্যবসায়ী দুলাল মিয়াকে খুন্তি দিয়ে মাথায় আঘাত করে নৃশংসভাবে হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে ভাড়াটিয়া সুমি আক্তার। কুমিল্লার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট দিদারুল আলমের নিকট ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন সুমি আক্তার ও তার স্বামী শাকিব ওরফে ইমন। আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নেয়ার পর হত্যা মামলার আসামী ওই দম্পতিকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সূত্রে জানা যায়, ব্যবসায়ী দুলাল মিয়া প্রতিদিন রাতে দোকান বন্ধ করে বাড়িতে ফিরলেও গত শনিবার রাতে তিনি বাড়িতে ফিরেননি। পরদিন রোববার (১০ আগষ্ট) ভোর থেকে অনেক জায়গায় খোঁজাখুজির পর সকালে কুমিল্লা সদর দক্ষিণের চাঁদপুর হাই স্কুলের বিপরীত পার্শ্বে তার ওয়ার্কশপের পিছনের একটি ঘর থেকে মাথায় কোপের আঘাতের চিহ্নসহ রক্তাক্ত অবস্থায় দুলাল মিয়ার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওই বাড়ির ভাড়াটিয়া ব্রাহ্মনবাড়িয়া জেলার কসবার শাকিব ওরফে ইমন ও তার স্ত্রী সুমিকে আটক করে পুলিশ।
রোববার বিকালে নিহত দুলাল মিয়ার স্ত্রী হনুফা বেগম বাদী হয়ে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মোঃ মোস্তফা কামাল জানান, গত শনিবার রাত ১১ টার দিকে ভাড়াটিয়া সুমি আক্তারের বাসায় ব্যবসায়ী দুলাল মিয়া ভাড়া সংগ্রহের জন্য গেলে ভাড়া নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে ভাড়াটিয়া সুমি আক্তার দুলাল মিয়াকে তার ঘরে থাকা খুন্তি দিয়ে মাথায় কোপ দেয় এবং লাঠি দিয়ে আঘাত করে। দুলাল মিয়া কিছুটা সামনে গিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে তার মাথা থেকে প্রচুর পরিমাণ রক্ত ক্ষরণ হয়ে মারা যায়। ওই রাত সাড়ে ১২ টার দিকে সুমির স্বামী ইমন বাসায় এসে স্ত্রী সুমিকে কিছুটা অস্থির অবস্থায় দেখতে পান। অনেক জিজ্ঞাসাবাদের পর স্বামী ইমনকে হত্যার বিষয়টি জানায় স্ত্রী সুমি আক্তার । হত্যার বিষয়টি ধামাচাপা দিতে স্বামী ইমনের সহযোগিতার রাত সাড়ে ৩ টার দিকে দুলাল মিয়ার লাশটি ওই ঘরের পাশে একটি কক্ষে বিছানায় শুইয়ে রাখেন এবং দুজনে মিলে রক্তাক্ত কাপড়গুলো খুলে বাথরুমে রাখেন। ঘরের বাহিরে পড়ে থাকা রক্ত গুলো নিজেই পরিষ্কার করেন সুমি। পরে সকাল বেলায় এলাকাবাসীর কাছে মিথ্যা তথ্য দিয়ে বাঁচার চেষ্টা করলেও পুলিশ ওই দম্পতিকে আটক করে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে।
সোমবার কুমিল্লার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দিতে হত্যার দায় স্বীকার করেন সুমি আক্তার।
দুলাল মিয়া হত্যাকারীর সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানিয়েছেন নিহতের পরিবারসহ এলাকাবাসী।
এবিষয়ে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সেলিম জানান, আদালতে দুলাল মিয়া হত্যার দায় স্বীকারের পর দম্পতিকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।