খান মোহাম্মদ রুবেল হোসেন :
মাঠে মাঠে কৃষকের পাকা ধান। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে দেশে অঘোষিত লকডাউন অন্যদিকে শ্রমিক সঙ্কট। শ্রমিক সংকট এবং কৃষকের সমস্যা নিরসনে বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে ও বিশ্বসেরা অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এফসিএ লোটাস কামাল এমপির পরামর্শে কাঠ ফাটা রোদে স্বেচ্ছায় বিনা পারিশ্রমিকে কৃষকের পাশে দাঁড়িয়েছেন লালমাই উপজেলার আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, সেচ্ছাসেবকলীগ, সহ দলের অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
তারই ধারাবাহিকতায় উপজেলার বেলঘর দক্ষিণ ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি হারুনুর রশিদের নেতৃত্বে যুবলীগের নেতাকর্মীরা শ্রমিকবেশে কাজ করছেন মাঠে, কাস্তে হাতে কাটছেন ধান, মাথায় বয়ে নিয়ে তুলে দিচ্ছেন কৃষকের ঘরে ঘরে। আর শ্রমিক সঙ্কটে কৃষকের এমন দিনে কৃষকের পাশে দাঁড়ানোয় উপজেলার বিশিষ্টজন ও সাধারণ মানুষ প্রশংসাও করছেন বেলঘর দক্ষিণ ইউনিয়ন যুবলীগের নেতাকর্মীদের।
ধান কাটা অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করেন কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও প্রবাসে বাংলা পত্রিকার সম্পাদক অধ্যাপক আলমগীর হোসেন অপু এবং সদর দক্ষিণ ও লালমাই উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক মো: মোতালেব হোসেন ।
মঙ্গলবার ১২ এপ্রিল সকালে লালমাই উপজেলার বেলঘর দক্ষিণ ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের বিছনাখোলা গ্রামের প্রান্তিক কৃষক মো: শাহজাহানের ৩০শতক জমির ধান কেটে পৌঁছে দেয়া হয়েছে। এসময় ইউনিয়ন যুবলীগের প্রায় ১০/১২জন নেতাকর্মী ধান কাটায় অংশগ্রহন করেন।
এ সময় ধান কাটায় অংশগ্রহন করেন বেলঘর (দঃ) ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি হারুনুর রশিদ, সহ সভাপতি আবদুল জলিল, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের মজুমদার জিলানী বাবু,সাংগঠনিক সম্পাদক আবু জাফর হেলাল, যুগ্ন-সাধারন সম্পাদক মোক্তার হোসেন, যুগ্ন সাধারন সম্পাদক জহিরুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক আলী আশ্রাফ প্রমুখ।এ সময় যুবলীগ, ছাত্রলীগ, সেচ্ছাসেবকলীগসহ বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
কৃষক মো: শাহজাহান মিয়া জানান, করোনা ভাইরাসের কারনে ধান কাটতে কোন শ্রমিক না পাওয়ায় তাঁরা চিন্তিত ছিলেন, এ মুহুর্তে যুবলীগ নেতাকর্মীরা ধান কেটে দেয়ায় অনেক উপকার হয়েছে। স্থানীয় কৃষকরা জানান, এভাবে একজনের পাশে আরেকজন এগিয়ে আসলে তদের কষ্ট থাকবেনা।
কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক আলমগীর হোসেন অপু বলেন, কৃষকরা ধান কাটার শ্রমিক পাচ্ছিল না। বিষয়টি আমাদের নজরে আসার সঙ্গে সঙ্গে অতীতের ন্যায় আজকেও যুবলীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে আমরা কৃষকের ধান কাটতে সহযোগিতা করি। এছাড়া লালমাই উপজেলার অহংকার বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় অর্থমন্ত্রীর নির্দেশনা ছিল কৃষকের পাশে দাঁড়ানোর। আমরা উপজেলার প্রতিটি ইউয়িনে ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ, আওয়ামীলীগ ও দলের অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের নিয়ে কৃষকের পাকা ধান কেটে বাড়ি পৌঁছে দিই। লালমাই উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নে কৃষকের ধান কাটা অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।