০২:৫৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
হাদির ওপর হামলার ঘটনায় নির্বাচনে প্রভাব নিয়ে যা বললেন ইসি মাছউদ কুমিল্লা সদর দক্ষিণ ইউএনও’র প্রশংসনীয় উদ্যোগ অফিসে প্রবেশের জন্য অনুমতির প্রয়োজন নেই কুমিল্লা সদর দক্ষিণে সিএনজি উল্টে শিক্ষক নিহত কুমিল্লা সদর দক্ষিণে আশ্রয়ন প্রকল্পে মাদক বিরোধী যৌথ অভিযান, দুইজনের কারাদণ্ড কুমিল্লায় চমক দেখালেন মনিরুল হক চৌধুরী কুমিল্লা নামে বিভাগ চেয়ে এবার কাতার প্রবাসীদের স্মারকলিপি প্রদান ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগ অভিনেতার পৌর মেয়রসহ আ.লীগের ৫ নেতাকর্মী গ্রেফতার আহত না হয়েও ‘জুলাই যোদ্ধা’, বাতিল হলো ১২৮ জনের গেজেট নির্বাচন বানচালে হঠাৎ আক্রমণ আসার আশঙ্কা প্রধান উপদেষ্টার

ঈদে পর্যটকশূন্য কক্সবাজার

  • তারিখ : ০৯:১৯:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ মে ২০২০
  • / 396

ঈদুল ফিতরের ছুটিতে এবার পর্যটকশূন্য কক্সবাজার। ঈদের পরে লাখো পর্টকে মুখরিত হয়ে উঠত পর্যটন শহর কক্সবাজার, বিস্তীর্ণ সৈকতসহ বিনোদন কেন্দ্রগুলো ।

এবার ঈদুল ফিতর উদযাপিত হল করোনা পরিস্থিতির দীর্ঘ লকডাউনে। সম্ভবত এই প্রথম ঈদুল ফিতরের ছুটিতে পর্যটন শহর কক্সবাজারে কোন পর্যটক আসেননি। করোনাকালীন দীর্ঘ লকডাউনে এখনো ফাঁকা কক্সবাজার। পর্যটকশূন্য বিস্তীর্ণ সমুদ্র সৈকত।
হোটেল মোটেল গুলোতে বিরাজ করছে অন্যরকম পরিবেশ। এতেকরে মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়েছে কক্সবাজারের পর্যটন ব্যবসা। প্রতিবছর ঈদুল ফিতরের ছুটিতে পর্যটন শহর কক্সবাজার থাকে লোকে লোকারণ্য। লাখো পর্যটকের ভিড়ে কক্সবাজার হয়ে উঠে সরগরম।

এই বিশাল সংখ্যক পর্যটকদের থাকা খাওয়া ব্যবস্থাপনায় কক্সবাজারের পাঁচতারাকা হোটেল থেকে শুরু করে সাধারণ হোটেল-মোটেল, রেস্তোরাঁ, রেস্টহাউজ, গেষ্টহাউজ গুলোয় থাকে জমজমাট অবস্থা।

এসময় জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসনসহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনী পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খেয়ে উঠে। এই বিপুল সংখ্যক পর্যটকদের স্বাগত জানাতে হোটেল রেস্তোরাঁ গুলো পবিত্র রমজান মাস থেকেই প্রস্তুতি নিয়ে থাকত। কিন্তু এবার ঈদুল ফিতরের ছুটিতে কক্সবাজারে কোন পর্যটক আসছেননি। তাই হোটেল-মোটেল, রেস্তোরাঁ, রেস্টহাউজ, গেষ্টহাউজ গুলোয় গেইট বন্ধ, জ্বলছেনা বাতিও।

হোটেল মোটেল গেষ্টহাউজ সমিতির নেতা আলহাজ্ব আবুল কাসেম সিকদার এ বিষয়ে বলেন, বৈশ্বিক মহামারী করোনা পরিস্থিতিতে দীর্ঘ লকডাউন তো মেনে নিতেই হচ্ছে। তবে ঈদের ছুটিতে প্রতিদিন প্রায় ৫০ কোটি টাকার টার্ন ওভার বন্ধ হয়েগেছে। এছাড়াও ৫শ মত হোটেল-মোটেল, রেস্তোরাঁ, রেস্টহাউজ, গেষ্টহাউজ গুলো পর্যটন মৌসুমে ৫ শত কোটি টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।
তিনি আরো জানান, ঈদুল ফিতরের পরে করোনা সংক্রমণ নিরাপত্তা বিষয়ে হোটেল-মোটেল, রেস্তোরাঁ, রেস্টহাউজ, গেষ্টহাউজ গুলোর কর্মচারীদের নিয়ে তারা একটি সেমিনারের আয়োজন করতে যাচ্ছেন।

হোটেল মোটেল জোন সরেজমিনে ঘুরে দেখাগেছে, পাঁচতারাকা হোটেল সীগাল, সইমান রিসোর্টসহ সব নামীদামী হোটেল থেকে শুরু করে সাধারণ হোটেল গুলোর গেইট বন্ধ। ভেতরে লাইটও জ্বলছেনা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হোটেল মালিক বলেন, পর্যটন মৌসুমে নতুন করে কর্মসংস্থান হতো সহস্র কর্মহীন মানুষের। পর্যটনকে ঘিরে চাঙ্গা হয়ে উঠত কক্সবাজারের সব ধরণের ব্যবসা বাণিজ্য। কিন্তু এবারে দীর্ঘ লকডাউনে কক্সবাজারের হোটেল রেস্তোরাঁ গুলো বন্ধ থাকায় কর্মহীন হয়েছে শত শত কর্মচারী। ব্যবসা বাণিজ্যতো লাঠে উঠেছে বহু আগেই।

শেয়ার করুন

ঈদে পর্যটকশূন্য কক্সবাজার

তারিখ : ০৯:১৯:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ মে ২০২০

ঈদুল ফিতরের ছুটিতে এবার পর্যটকশূন্য কক্সবাজার। ঈদের পরে লাখো পর্টকে মুখরিত হয়ে উঠত পর্যটন শহর কক্সবাজার, বিস্তীর্ণ সৈকতসহ বিনোদন কেন্দ্রগুলো ।

এবার ঈদুল ফিতর উদযাপিত হল করোনা পরিস্থিতির দীর্ঘ লকডাউনে। সম্ভবত এই প্রথম ঈদুল ফিতরের ছুটিতে পর্যটন শহর কক্সবাজারে কোন পর্যটক আসেননি। করোনাকালীন দীর্ঘ লকডাউনে এখনো ফাঁকা কক্সবাজার। পর্যটকশূন্য বিস্তীর্ণ সমুদ্র সৈকত।
হোটেল মোটেল গুলোতে বিরাজ করছে অন্যরকম পরিবেশ। এতেকরে মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়েছে কক্সবাজারের পর্যটন ব্যবসা। প্রতিবছর ঈদুল ফিতরের ছুটিতে পর্যটন শহর কক্সবাজার থাকে লোকে লোকারণ্য। লাখো পর্যটকের ভিড়ে কক্সবাজার হয়ে উঠে সরগরম।

এই বিশাল সংখ্যক পর্যটকদের থাকা খাওয়া ব্যবস্থাপনায় কক্সবাজারের পাঁচতারাকা হোটেল থেকে শুরু করে সাধারণ হোটেল-মোটেল, রেস্তোরাঁ, রেস্টহাউজ, গেষ্টহাউজ গুলোয় থাকে জমজমাট অবস্থা।

এসময় জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসনসহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনী পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খেয়ে উঠে। এই বিপুল সংখ্যক পর্যটকদের স্বাগত জানাতে হোটেল রেস্তোরাঁ গুলো পবিত্র রমজান মাস থেকেই প্রস্তুতি নিয়ে থাকত। কিন্তু এবার ঈদুল ফিতরের ছুটিতে কক্সবাজারে কোন পর্যটক আসছেননি। তাই হোটেল-মোটেল, রেস্তোরাঁ, রেস্টহাউজ, গেষ্টহাউজ গুলোয় গেইট বন্ধ, জ্বলছেনা বাতিও।

হোটেল মোটেল গেষ্টহাউজ সমিতির নেতা আলহাজ্ব আবুল কাসেম সিকদার এ বিষয়ে বলেন, বৈশ্বিক মহামারী করোনা পরিস্থিতিতে দীর্ঘ লকডাউন তো মেনে নিতেই হচ্ছে। তবে ঈদের ছুটিতে প্রতিদিন প্রায় ৫০ কোটি টাকার টার্ন ওভার বন্ধ হয়েগেছে। এছাড়াও ৫শ মত হোটেল-মোটেল, রেস্তোরাঁ, রেস্টহাউজ, গেষ্টহাউজ গুলো পর্যটন মৌসুমে ৫ শত কোটি টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।
তিনি আরো জানান, ঈদুল ফিতরের পরে করোনা সংক্রমণ নিরাপত্তা বিষয়ে হোটেল-মোটেল, রেস্তোরাঁ, রেস্টহাউজ, গেষ্টহাউজ গুলোর কর্মচারীদের নিয়ে তারা একটি সেমিনারের আয়োজন করতে যাচ্ছেন।

হোটেল মোটেল জোন সরেজমিনে ঘুরে দেখাগেছে, পাঁচতারাকা হোটেল সীগাল, সইমান রিসোর্টসহ সব নামীদামী হোটেল থেকে শুরু করে সাধারণ হোটেল গুলোর গেইট বন্ধ। ভেতরে লাইটও জ্বলছেনা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হোটেল মালিক বলেন, পর্যটন মৌসুমে নতুন করে কর্মসংস্থান হতো সহস্র কর্মহীন মানুষের। পর্যটনকে ঘিরে চাঙ্গা হয়ে উঠত কক্সবাজারের সব ধরণের ব্যবসা বাণিজ্য। কিন্তু এবারে দীর্ঘ লকডাউনে কক্সবাজারের হোটেল রেস্তোরাঁ গুলো বন্ধ থাকায় কর্মহীন হয়েছে শত শত কর্মচারী। ব্যবসা বাণিজ্যতো লাঠে উঠেছে বহু আগেই।