নিজস্ব প্রতিবেদক।।
আম্পানে দেশের ৬ জেলায় প্রাণ গেল ১২ জনের, ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত
নিম্নচাপে পরিণত হয়ে বাংলাদেশ অতিক্রম করার অপেক্ষায় ঘূর্ণিঝড় আম্পান। এই মুহূর্তে আছে রাজশাহী-পাবনা অঞ্চলে। সাতক্ষীরা, বাগেরহাটে সবচেয়ে ভয়াল থাবা দিয়ে উত্তর-উত্তর পূর্ব দিকে অগ্রসর হয় ঘূর্ণিঝড়টি। সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি, শ্যামনগর ও কালিগঞ্জ উপজেলার ২৩টি পয়েন্টে বাঁধ ভেঙে গেছে। বিধস্ত হয়েছে অনেক কাঁচা ঘরবাড়ি। এ পর্যন্ত ৬ জেলায় ১২ জনের প্রাণহানির খবর পাওয়া গেছে।
বুধবার রাতভর তান্ডব চালায় সুপার সাইক্লোন আম্পান। আম্পানে ক্ষতিগ্রস্থ হয় পুরো দেশ। সুপার সাইক্লোনের কারনে সাত জেলায় বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে বিদ্যুৎ। ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মোবাইল ও ইন্টারনেট নেটওয়ার্কও।
এছাড়া ভোলা, লক্ষীপুর ও নোয়াখালির উপকূলীয় এলাকার ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হওয়ায় খোলা আকাশের নিচে ঠাই হয়েছে অসহায় ও ছিন্নমূল মানুষের। মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গায় মৌসুমি ফলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতি হয়েছে ফসলেরও।
এই মুহূর্তে রাজশাহী-পাবনা অঞ্চলে অবস্থান করছে ঘূর্ণিঝড় আম্পান। যা গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে আবহাওয়া অফিসের ব্রিফিং এ বলা হয়, ঘূর্নিঝড় আম্পান গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে।
সব থেকে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সাতক্ষীরায়। জেলার আশাশুনি, শ্যামনগর ও কালিগঞ্জ উপজেলার ২৩টি পয়েন্টে বাঁধ ভেঙে গেছে। দিনভর বৃষ্টির কথা থাকলেও তাপমাত্রা থাকতে পারে ২৫ থেকে ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।