কুবি প্রতিনিধি :
পূর্ব শত্রুতার জের ধরে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) শাখা ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে ২ জন আহত হয়েছেন। সোমবার রাত ১০ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনের সামনে এ ঘটনা ঘটে। এতে আহতরা হলেন, ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের ১১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল ছাত্রলীগ কর্মী সোহেল হাওলাদার ও একাউন্টিং এন্ড সিস্টেমস বিভাগের ১২ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ও শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হল ছাত্রলীগ কর্মী প্রীতম সেন।
প্রতক্ষ্যদর্শী সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হল ছাত্রলীগ কর্মী ও ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং বিভাগের ১২ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী সালমান চৌধুরীর সাথে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল ছাত্রলীগ কর্মী ও ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সোহেল হাওলাদারের মাঝে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে সালমানের নেতৃত্বে দত্ত হল ছাত্রলীগ নেতা প্রীতম সেন, সিফাত, সোহাগ, আল-আমিন সরকার মামুন, তানজিম হোসেন সোহাগ, অভিসহ ১০-১২ জন নেতা-কর্মী সোহেলের উপর হামলা করে।
এ সময় সোহেলের বাম চোখের উপরের অংশ আঘাতপ্রাপ্ত হয়। পরে সোহেলের সাথে থাকা বঙ্গবন্ধু হল ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সত্যজিৎ সাহা সেতু, হল ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ওয়াসিফুল ইসলাম সাদিফ, সৌমিকসহ কয়েকজন প্রতিরোধ করতে গেলে তাদের সাথে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এতে দত্ত হলের প্রীতম সেন আহত হয়।
আহত সোহেল হাওলাদার বলেন, পূর্ব ঘটনার জের ধরে দত্ত হলের ১২ তম ব্যাচে শিক্ষার্থীরা আমার উপর হামলা করে। হোটেল থেকে খাবার খেয়ে হলে ফেরার পথে তারা পেছন থেকে ১৫-২০ জন এসে আমাকে এলোপাথাড়ি মারতে থাকে। পূর্বে তাদের সাথে আমাদের ঝামেলা হয় তখন ইলিয়াস ভাই-মাজেদ ভাই মীমাংসা করে দেয়।
অন্যদিকে আহত প্রীতম সেন বলেন, আমি হলে যাচ্ছিলাম, এসময় দেখি কয়েকজন বাকবিতন্ডা করছে। কৌতূহলবসত আমি দেখতে গেলে ওয়াসিভাই ও তার বন্ধুরা আমি কিছু বুঝে না ওঠার আগে আমাকে কোনো কারণ ছাড়াই মারধর করে।
তবে বঙ্গবন্ধু হল ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ওয়াসিফুল ইসলাম সাদিফ বলেন, আমরা সোহেলসহ হলের দিকে যাচ্ছিলাম। এসময় কয়েকজন সোহেলের উপর হামলা চালায়। সোহেলকে বাঁচাতে গিয়ে আমরা তাদের প্রতিহত করি।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে দত্ত হল ছাত্রলীগ কর্মী সালমান চৌধুরী বলেন, এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা। আমি মারামারি দেখে ওখানে গিয়েছি। যারা আমাকে জড়িয়েছে তারা ননসেন্স। আমি এ বিষয়ে কিছুই জানিনা।
এ বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. রেজাউল ইসলাম মাজেদ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ, তারপরেও যে ঘটনা ঘটেছে আমরা সাংগঠনিকভাবে উপযুক্ত ব্যাবস্থা গ্রহণ করবো।
সভাপতি ইলিয়াস হোসেন সবুজ বলেন, এ ঘটনায় জড়িত সবার বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেয়া হবে। আগামীকালের মধ্যেই আমরা একটি সুরাহা করবো।
এ বিষয়ে প্রক্টর ড. কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন বলেন, ঘটনাস্থলে প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা যেয়ে আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছে। আগামীকাল ছাত্রপ্রতিনিধিদের নিয়ে সব পক্ষের সাথে বসে বিষয়টি মীমাংসা করা হবে।