০১:৩৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৬ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
হানিফ ফ্লাইওভারে বাস-সিএনজি সংঘর্ষ, নিহত ২ লালমাইয়ে বিয়ের নাম ভাঙ্গিয়ে মারধর ও লুটপাটের ঘটনায় থানায় মামলা কুমিল্লা সদর দক্ষিণের ব্যবসায়ী দুলালকেখুন্তি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা ভাড়াটিয়া সুমি কুমিল্লার বেলতলীতে পিকআপ চাপায় পথচারী নিহত বিতর্কের মুখে সংসদের নির্বাচনী এলাকা সীমানা নির্ধারণ কারিগরি কমিটি কুমিল্লা সদর দক্ষিণে জুলাই পুনর্জাগরণে সমাজ গঠনে শপথ গ্রহন অনুষ্ঠান অপরাধী যে দলেরই হোক, কোনো ছাড় নেই- ওসি মোহাম্মদ সেলিম কুমিল্লা সদর দক্ষিণে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবসে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ ইয়ংস্টার সোশ্যাল অর্গানাইজেশন এর সদর দক্ষিন উপজেলার কমিটি গঠন নতুন পুরাতন বুঝি না,ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে-ডা. শফিকুর রহমান

গরু কচুরিপানা খেতে পারলে আমরা কেন পারব না

  • তারিখ : ০৪:৫২:১৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২০
  • / 999

নিজস্ব প্রতিবেদক :

সব ধরনের কৃষিপণ্যের সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিতের কথা বলতে গিয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, গরু কচুরিপানা খেতে পারলে আমরা খেতে পারব না কেন? গতকাল বিকালে ঢাকার শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে আরডিএফ রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট ফোরামের ‘রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট অ্যাওয়ার্ড ২০১৯’ প্রদান অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় রূপান্তর কৃষিতেই হয়েছে। ওখান থেকে অন্যান্য ক্ষেত্রে ছড়িয়ে পড়েছে।’ মন্ত্রী বলেন, ‘পোস্ট হারভেস্ট লস্ট (উৎপাদন পরবর্তী খাদ্যের অপচয়) কীভাবে কমানো যায়, এ বিষয়ে গবেষণা করুন। আমাদের প্রধানমন্ত্রী প্রায়ই ক্ষোভ প্রকাশ করেন, কেন বেশি গবেষণা হচ্ছে না। গবেষণার জন্য সরকার উন্মুখ হয়ে আছে।’ তিনি বলেন, ‘কচুরিপানা নিয়ে কিছু করা যায় কি-না। কচুরিপানার পাতা খাওয়া যায় না কোনো মতে? গরু তো খায়। গরু খেতে পারলে আমরা খেতে পারব না কেন?’ এ বিষয়ে গবেষণারও তাগিদ দেন মন্ত্রী। অর্থনীতিতে অবদানের জন্য পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য (সিনিয়র সচিব) ড. শামসুল আলম এবং কৃষিতে অবদানের জন্য বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের হর্টিকালচার বিভাগের অধ্যাপক ড. এম এ রহিমকে অনুষ্ঠানে ‘রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট অ্যাওয়ার্ড ২০১৯’ পুরস্কার দেওয়া হয়। এ ছাড়া চার শিক্ষার্থীকে স্কলারশিপ দেয় আরডিএফ রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট ফোরাম।

জনশুমারি ও গৃহগণনা নিয়ে প্রশ্ন থাকবে না : পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, নিখুঁত ও গুণগত মান ঠিক করেই জনশুমারি ও গৃহগণনা প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। পরিসংখ্যান বিশ্বমানের পর্যায়ে নিয়ে যাব। আমাদের পরিসংখ্যান নিয়ে এর আগে নানা প্রশ্ন উঠেছে। তবে এবার জনশুমারি ও গৃহগণনা নিয়ে কোনো প্রশ্ন থাকবে না, চমৎকার ফল আসবে।
গতকাল ঢাকার শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে ‘জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২১’ নিয়ে মতবিনিময় সভায় মন্ত্রী এ কথা বলেন।

জানা গেছে, খানা তালিকা প্রস্তুতের জন্য প্রথমবারের মতো এ শুমারিতে মূল শুমারির পূর্বে লিস্টিং অপারেশন পরিচালনা করা হবে এবং প্রতিটি খানার (পরিবার) জন্য একটি ইউনিক হাউজহোল্ড আইডি দেওয়া হবে। দেশব্যাপী শুমারির মূল গণনা কার্যক্রম ২০২১ সালের ২ থেকে ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত পরিচালিত হবে। জনশুমারিতে কেউ বাদ যাবে না। প্রবাসী ও দেশে অবস্থানরত বিদেশিদের গণনা করা হবে। বিবিএস সচিব সৌরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী বলেন, এবার জনশুমারিতে বিদেশে কয়জন বাংলাদেশি রয়েছেন, দেশে কয়জন বিদেশি আছেন, সবই গণনা করা হবে। আমরা শুমারির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে যা চেয়েছি তাই পেয়েছি। আশা করি সবার সহযোগিতায় একটি চমৎকার শুমারি উপহার দিতে পারব।

শেয়ার করুন

গরু কচুরিপানা খেতে পারলে আমরা কেন পারব না

তারিখ : ০৪:৫২:১৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদক :

সব ধরনের কৃষিপণ্যের সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিতের কথা বলতে গিয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, গরু কচুরিপানা খেতে পারলে আমরা খেতে পারব না কেন? গতকাল বিকালে ঢাকার শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে আরডিএফ রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট ফোরামের ‘রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট অ্যাওয়ার্ড ২০১৯’ প্রদান অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় রূপান্তর কৃষিতেই হয়েছে। ওখান থেকে অন্যান্য ক্ষেত্রে ছড়িয়ে পড়েছে।’ মন্ত্রী বলেন, ‘পোস্ট হারভেস্ট লস্ট (উৎপাদন পরবর্তী খাদ্যের অপচয়) কীভাবে কমানো যায়, এ বিষয়ে গবেষণা করুন। আমাদের প্রধানমন্ত্রী প্রায়ই ক্ষোভ প্রকাশ করেন, কেন বেশি গবেষণা হচ্ছে না। গবেষণার জন্য সরকার উন্মুখ হয়ে আছে।’ তিনি বলেন, ‘কচুরিপানা নিয়ে কিছু করা যায় কি-না। কচুরিপানার পাতা খাওয়া যায় না কোনো মতে? গরু তো খায়। গরু খেতে পারলে আমরা খেতে পারব না কেন?’ এ বিষয়ে গবেষণারও তাগিদ দেন মন্ত্রী। অর্থনীতিতে অবদানের জন্য পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য (সিনিয়র সচিব) ড. শামসুল আলম এবং কৃষিতে অবদানের জন্য বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের হর্টিকালচার বিভাগের অধ্যাপক ড. এম এ রহিমকে অনুষ্ঠানে ‘রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট অ্যাওয়ার্ড ২০১৯’ পুরস্কার দেওয়া হয়। এ ছাড়া চার শিক্ষার্থীকে স্কলারশিপ দেয় আরডিএফ রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট ফোরাম।

জনশুমারি ও গৃহগণনা নিয়ে প্রশ্ন থাকবে না : পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, নিখুঁত ও গুণগত মান ঠিক করেই জনশুমারি ও গৃহগণনা প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। পরিসংখ্যান বিশ্বমানের পর্যায়ে নিয়ে যাব। আমাদের পরিসংখ্যান নিয়ে এর আগে নানা প্রশ্ন উঠেছে। তবে এবার জনশুমারি ও গৃহগণনা নিয়ে কোনো প্রশ্ন থাকবে না, চমৎকার ফল আসবে।
গতকাল ঢাকার শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে ‘জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২১’ নিয়ে মতবিনিময় সভায় মন্ত্রী এ কথা বলেন।

জানা গেছে, খানা তালিকা প্রস্তুতের জন্য প্রথমবারের মতো এ শুমারিতে মূল শুমারির পূর্বে লিস্টিং অপারেশন পরিচালনা করা হবে এবং প্রতিটি খানার (পরিবার) জন্য একটি ইউনিক হাউজহোল্ড আইডি দেওয়া হবে। দেশব্যাপী শুমারির মূল গণনা কার্যক্রম ২০২১ সালের ২ থেকে ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত পরিচালিত হবে। জনশুমারিতে কেউ বাদ যাবে না। প্রবাসী ও দেশে অবস্থানরত বিদেশিদের গণনা করা হবে। বিবিএস সচিব সৌরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী বলেন, এবার জনশুমারিতে বিদেশে কয়জন বাংলাদেশি রয়েছেন, দেশে কয়জন বিদেশি আছেন, সবই গণনা করা হবে। আমরা শুমারির বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে যা চেয়েছি তাই পেয়েছি। আশা করি সবার সহযোগিতায় একটি চমৎকার শুমারি উপহার দিতে পারব।