নাঙ্গলকোট (কুমিল্লা) প্রতিনিধি :
ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে কুমিল্লার নাঙ্গলকোটের পেরিয়া ইউনিয়নে আওয়ামীলীগ বিদ্রোহী প্রার্থী এম এ হামিদের নির্বাচনী পথ সভায় সন্ত্রাসী হামলায় বৃহস্পতিবার রাত ৯টায় আশারকোটা গ্রামের আবুল খায়েরের ছেলে শাকিল হোসেন (২২) নামে এক যুবক নিহত হয়েছে।
এ সময় ধারালো অস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রের আঘাতে আরো ১৪ জন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
জানা যায়, উপজেলার পেরিয়া ইউনিয়নের মাধবপুর গ্রামে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী উপজেলা আওয়ামীলীগ উপদেষ্টা সাবেক চেয়ারম্যান এম এ হামিদের পথ সভা চলা কালে বুধবার রাতে আ’লীগ প্রার্থী হুমায়ুন কবির মজুমদারের সমর্থক বাবুল গাজী মেম্বার,
তার ভাই সোহরাব, সাহাব উদ্দিন, একই গ্রামের অলি উল্লাহ, হুমায়ুন, কাউসার, মনির, স্বপন’সহ ২০-৩০ জনের সন্ত্রাসী বাহিনী হামলা চালায়। হামলায় বিদ্রোহী প্রার্থী এম এ হামিদের অন্তত ১৫ সমর্থক আহত হন, আহতদের মধ্যে আশারকোটা গ্রামের শাকিল হোসেন, কাজী জোড়পুকুরীয়া গ্রামের প্রবাসী মোহাম্মদ ফরিদ ও ফরহাদ হোসেনকে নাঙ্গলকোট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
গুরুতর আহত শাকিল হোসেনের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে প্রথমে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। পরে বৃহস্পতিবার রাত ৯টায় তার মৃত্যু হয়।
নিহত শাকিল হোসেন ঢাকায় ফুলকলি নামে একটি বেকারীতে কর্মরত, তার আব্দুল্লাহ নামে ১ বছরের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে। ৪ ভাই বোনের মধ্যে শাকিল সবার ছোট বলে জানা গেছে।
চেয়ারম্যানপ্রার্থী এম এ হামিদ বলেন, পেরিয়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান প্রার্থী হুমায়ুন কবির মজুমদার তার লোকজন’সহ ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে পরামর্শ করে আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে বাবুল গাজী মেম্বারের নেতৃত্বে ২০-৩০ জনের সন্ত্রাসী বাহিনী ধারালো অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা করে আমার ১৫জন সমর্থককে আহত করে।
আহতদের মধ্যে ৩জনের অবস্থা গুরুতর। এদের মধ্যে শাকিল হোসেন ঢাকা মেডিকেলে মারা যায়। আমি এ ঘটনায় হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবী করছি।
এ ব্যাপারে নাঙ্গলকোট থানা অফিসার ইনচার্জ ফারুক হোসেন বলেন, আমি লোকমুখে বিষয়টি জেনেছি, তবে এখনো কোন অভিযোগ পাইনি।