আকবর হোসেন :
গত কিছুদিন পূর্বে কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলার হাসনাবাদ ইউনিয়নের নরপাইয়া গ্রামের অসহায় “প্রতিবন্ধী আনোয়ার হোসেনের বসত ঘর নেই” বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। ছোট একটি ভাঙ্গা ঘরে বাস করত প্রতিবন্ধী আনোয়ার, তার স্ত্রী ,এক ছেলে ও এক মেয়ে। প্রতিবন্ধী আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী ছেলে ও মেয়ে সবাই প্রতিবন্ধী। সামান্য বৃষ্টি হলেই পানি পড়তো তাদের ভাঙ্গা ঘরে।
প্রতিবন্ধী আনোয়ারের কষ্টের কথা শুনে তাৎক্ষণিক স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম এমপি’র পক্ষ থেকে বিভিন্ন সহযোগিতা করা হয়। এছাড়াও মনোহরগঞ্জ উপজেলা সমাজসেবা অফিসার ও প্রতিবন্ধী বিষয়ক কর্মকর্তা তাদেরকে প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড করে দেন।
তারপর নতুন ঘরটি নির্মাণের পর বিনামূল্যে মিটার লাগিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ দেন কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি- ৪ এর মনোহরগঞ্জ জোনাল অফিসের ডিজিএম। পত্রিকা ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খবরটি দেখে মনোহরগঞ্জ উপজেলার হাসনাবাদ ইউনিয়ন প্রবাসী আওয়ামী গোষ্ঠীর নেতৃবৃন্দ প্রতিবন্ধী আনোয়ারকে একটি ঘর করে দেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করেন।
ঘরটির নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ায় গতকাল বৃহস্পতিবার প্রতিবন্ধী আনোয়ার হোসেনের বসত ঘরটি শুভ উদ্বোধন করেন কুমিল্লা জেলা পরিষদের সদস্য ও মনোহরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোঃ আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মোঃ আরিফুল ইসলাম, প্রতিবন্ধী বিষয়ক কর্মকর্তা রাশেদুল ইসলাম, কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-৪ এর মনোহরগঞ্জ জোনাল অফিসের ডিজিএম কামাল পাশা প্লাবন, হাসনাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ কামাল হোসেন,
মনোহরগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের যুগ্ন আহ্বায়ক এম এইচ নোমান, পঞ্চগ্রাম স্কুল অ্যান্ড কলেজের ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক সাংবাদিক মোঃ আকবর হোসেন, হাসনাবাদ ইউপি সদস্য শামসুল আলম, মোঃ শাহজাহান, ডাঃ সায়েম, রিপন বেগম, সাবেক মেম্বার কবির হোসেনসহ আরো অনেকে।
এ সময় জুম এর মাধ্যমে প্রবাস থেকে সংযুক্ত হন হাসনাবাদ ইউনিয়ন প্রবাসী আওয়ামী গোষ্ঠীর নেতা মোঃ শামীম ভুঁইয়া, মোঃ শাহজাহান, সোহাগ হোসেন, শহীদুল ইসলাম, এসএম ওমর ফারুক, মুক্তার হোসেন, জুয়েল রানাসহ আরো অনেকে। বসত ঘর পেয়ে খুশি প্রতিবন্ধী আনোয়ার ও তার পরিবার।
কান্নাজড়িত কণ্ঠে প্রতিবন্ধী আনোয়ার বলেন, আমাকে সহযোগিতা করার জন্য মাননীয় এলজিআরডি মন্ত্রী মহোদয়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। এছাড়াও আমাকে একটি বসত ঘর করে দেওয়ার জন্য হাসনাবাদ ইউনিয়ন প্রবাসী আওয়ামী গোষ্ঠীর নেতৃবৃন্দের কাছেও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি এবং ধন্যবাদ জানাচ্ছি। এখন আর আমাকে বৃষ্টিতে ভিজতে হবেনা। আমি এই বসতঘরে বাস করবো আমার পরিবার নিয়ে। যারা আমাকে সহযোগিতা করেছেন আমি নামাজ পড়ে তাদের জন্য দোয়া করবো।