০৮:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫, ২৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাল্যবিয়ের হাত থেকে রক্ষা পেল অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী

  • তারিখ : ১০:৪৮:৪৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২১
  • / 296

দিনাজপুর প্রতিনিধি :

দিনাজপুরের বিরল উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশের হস্তক্ষেপে বাল্যবিয়ের হাত থেকে রক্ষা পেল অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রী।

সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাতে বিরল পৌর শহরের নয়ামেলা গ্রামে অভিযান চালিয়ে পণ্ড করে দেওয়া হয় বিয়ের আয়োজন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পারিবারিকভাবে ওই স্কুলছাত্রীর (১৪) সঙ্গে একই উপজেলার বিরল ইউনিয়ন পরিষদের দুলোহরী গ্রামের মোজাম্মেল হকের ছেলে সাজ্জাদ হোসেনের (২৫) বিয়ে ঠিক হয়।

সেই মোতাবেক রোববার সন্ধ্যায় কনের গায়ে হলুদ অনুষ্ঠান সম্পন্ন করা হয়। সোমবার সন্ধ্যায় বরযাত্রী বিয়ে করতে কনের বাড়িতে আসে। খবর পেয়ে উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ বিয়ে পণ্ড করে দেয়।

বিরল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নজরুল ইসলাম বলেন, বাল্যবিয়ের বিষয়টি জানতে পেরে ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াজেদ মিঞা থানা পুলিশ ও মহিলা অধিদপ্তরকে বিষয়টি দেখার জন্য নির্দেশ দেন।

পরে আমি ও মহিলা অধিদপ্তরের হিসাবরক্ষণ কাম ক্রেডিট সুপারভাইজার পরেশ চন্দ্র, প্রশিক্ষক লুৎফর রহমান বিয়ে বাড়িতে যাই।

তিনি আরও বলেন, পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে বর ও কনের বাড়ির লোকজন পালিয়ে যান। পরে কনের অভিভাবকেরা ভবিষ্যতে নাবালিকা মেয়ের বিয়ের আয়োজন করবে না বলে মুচলেকা দিয়ে বিয়ের প্যান্ডেল অপসারণ করেন।

শেয়ার করুন

বাল্যবিয়ের হাত থেকে রক্ষা পেল অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী

তারিখ : ১০:৪৮:৪৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২১

দিনাজপুর প্রতিনিধি :

দিনাজপুরের বিরল উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশের হস্তক্ষেপে বাল্যবিয়ের হাত থেকে রক্ষা পেল অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রী।

সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাতে বিরল পৌর শহরের নয়ামেলা গ্রামে অভিযান চালিয়ে পণ্ড করে দেওয়া হয় বিয়ের আয়োজন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পারিবারিকভাবে ওই স্কুলছাত্রীর (১৪) সঙ্গে একই উপজেলার বিরল ইউনিয়ন পরিষদের দুলোহরী গ্রামের মোজাম্মেল হকের ছেলে সাজ্জাদ হোসেনের (২৫) বিয়ে ঠিক হয়।

সেই মোতাবেক রোববার সন্ধ্যায় কনের গায়ে হলুদ অনুষ্ঠান সম্পন্ন করা হয়। সোমবার সন্ধ্যায় বরযাত্রী বিয়ে করতে কনের বাড়িতে আসে। খবর পেয়ে উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ বিয়ে পণ্ড করে দেয়।

বিরল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নজরুল ইসলাম বলেন, বাল্যবিয়ের বিষয়টি জানতে পেরে ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াজেদ মিঞা থানা পুলিশ ও মহিলা অধিদপ্তরকে বিষয়টি দেখার জন্য নির্দেশ দেন।

পরে আমি ও মহিলা অধিদপ্তরের হিসাবরক্ষণ কাম ক্রেডিট সুপারভাইজার পরেশ চন্দ্র, প্রশিক্ষক লুৎফর রহমান বিয়ে বাড়িতে যাই।

তিনি আরও বলেন, পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে বর ও কনের বাড়ির লোকজন পালিয়ে যান। পরে কনের অভিভাবকেরা ভবিষ্যতে নাবালিকা মেয়ের বিয়ের আয়োজন করবে না বলে মুচলেকা দিয়ে বিয়ের প্যান্ডেল অপসারণ করেন।