নিজস্ব প্রতিবেদক।।
কুমিল্লার লালমাই উপজেলায় প্রায় বিশ পরিবারের চলাচলের একটি রাস্তা বন্ধ করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার বাগমারা উত্তর ইউনিয়নের নাওড়া গ্রামের উত্তর পাড়া পূর্বশত্রুতার জেরে রহিম আলী বাবর্চির বাড়ির চলাচলের প্রায় বিশ বছর যাবৎ ব্যবহারের একমাত্র রাস্তাটি বন্ধ করে দেয়া হয়। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছে শিক্ষার্থীসহ কয়েকশ মানুষ।
পাশাপাশি কেউ মারা গেলে লাশ বের করতে ভোগান্তি পোহাতে হয় ওই পরিবার গুলোর। এছাড়া কেউ অসুস্থ হলে রোগী নিয়ে বের হতে চরম ভোগান্তির শিকার হতে হয় তাদের।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হারুনর রশীদ( ৯০) নামে এক ব্যক্তি গতকাল মারা যায় তার কফিন নিয়ে সরু রাস্তা দিয়ে বের হতে বিপাকে পড়তে হয় স্হানীয় মুসল্লীদের। এর আগে রাস্তার সমস্যার কারণে ওই বাড়ির মৃত দুই ব্যক্তিকে ঘরের টিনের বেড়া কেটে বের করে দাফন করা হয় বলে জানান।
আবদুল রফিক জানান, পূর্বে আকমত আলীর বাড়ির পাশ দিয়ে রাস্তা ছিল সেখানে দেওয়াল তোলায় রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। বিগত বিশ বছর ধরে ওই গ্রামের প্রবাসী আবদুল মোতালেবের স্ত্রী বাড়ির পাশ দিয়ে চলাচলকারী মানুষজনকে নানা কারণেই বকাঝকা করেন।
বেশ কিছুদিন আগে ওই বাড়ির চলাচলের একমাত্র রাস্তাটিতে গাছ-পালা লাগিয়ে সংকুচিত করে দেয়। এতে ওই রাস্তা দিয়ে রিকশা ও ভ্যানসহ কোনো যানবাহন প্রবেশ করতে পারে না। শুধু তাই নয় মানুষ মারাগেলেও লাশ নিয়ে বের হওয়া খুব কঠিন হয়ে পড়ে। এব্যাপারে স্হানীয় চেয়ারম্যান – মেম্বার বেশ কয়েকবার শালিসিতে বসে কিন্তু কোন ফয়সালা করতে পারেনি।
সর্দার রিয়াদ হোসেন বলেন আমি ব্যক্তিগতভাবে এ সমস্যার সমাধান করতে চেয়েছি, একটি পক্ষের গোরামির কারণে সমাধান করা যায়নি। চেয়ারম্যান ও মেম্বার আন্তরিকতার সহিত দেখলে বিষয়টি শেষ হবে বলে আমার বিশ্বাস।
ভুক্তভোগী ভ্যান চালক হারুনর রশীদ বলেন, ‘এই রাস্তাটি দিয়ে আমরা অনেকদিন যাবৎ চলাচল করি। আমাদের সংসারের একমাত্র আয় হয় ব্যাটারী চালিত ভ্যানের মাধ্যমে। নিজের বাড়িতে ভ্যান আনতে পারি না রাস্তাটার জন্য। অন্যের বাড়িতে রেখে চার্জ দিতে হয় এবং রাতে ঘুম হয় না কখন যানি আমার ভ্যানটি চুরি হয়ে যায়।
এবিষয়ে জানতে চাইলে স্হানীয় মেম্বার আবুল কাশেম বলেন, প্রবাসী আবদুল মোতালেবের স্ত্রী কারও কথা শুনেনা। চেয়ারম্যানের সাথে কথা বলে বিষয়টি সমাধান করবো।