বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলায় বৃদ্ধা শাশুড়িকে মারধর ও নির্যাতনের অভিযোগে এক পুত্রবধূকে গ্রেফতার করে কারগারে পাঠানো হয়েছে। এঘটনায় আগৈলঝাড়া থানায় একটি মামলাও হয়েছে।
আগৈলঝাড়া থানার ওসি আফজাল হোসেন জানান, স্বামীর মৃত্যুর পর একমাত্র ছেলে জগদীশ সরকারের সাথে বসবাস করতেন উপজেলার বারপাইকা গ্রামের নব্বই ঊর্ধ্ব বৃদ্ধা জ্ঞানদা রানী সরকার।
নানা কারণে বিভিন্ন সময় তার উপর নির্যাতন চালাতো পুত্রবধূ শিখা রানী সরকার। আত্মসাত করেছে সরকার থেকে পাওয়া জ্ঞানদা রানীর বয়স্ক ভাতার টাকাও। প্রায় দুই মাস আগে জ্ঞানদা রানী জ্বর-সর্দিতে আক্রান্ত হলে করোনাভাইরাসের সন্দেহে তাকে ঘর থেকে বের করে দেয় পুত্রবধূ শিখা রানী। বৃদ্ধার স্থান হয় বাড়ির সামনে একটি মন্দিরের বারান্দায়।
গতকাল দুপুরে পেটের ক্ষুধা সইতে না পেরে ছেলে ও ছেলের বউয়ের কাছে খাবার চায় জ্ঞানদা রানী। কিন্তু তারা খাবার না দেয়ায় তাদের কাছে গচ্ছিত বয়স্ক ভাতার টাকা ফেরত চায় বৃদ্ধা। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে মারধর করে শিখা রানী। রাতে পুলিশ ঘটনা শুনে শিখা রানীকে আটক করে।
জ্ঞানদা রানীতে নির্যাতনের অভিযোগে থানায় মামলা করেছেন তার মেয়ের ঘরের নাতি চন্দন সরকার। ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে শিখা রানীকে বুধবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এদিকে, বৃদ্ধা জ্ঞানদা রানী সরকারকে উদ্ধার করে তাকে তার মেয়ের বাড়িতে পৌছে দিয়েছে পুলিশ। তার চিকিৎসা ও ভরণ-পোষণের দায়িত্ব নিয়েছেন আগৈলঝাড়া থানার ওসি আফজাল হোসেন।