০৪:৩১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৫, ৮ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কুমিল্লা সদর দক্ষিণের ব্যবসায়ী দুলালকেখুন্তি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা ভাড়াটিয়া সুমি কুমিল্লার বেলতলীতে পিকআপ চাপায় পথচারী নিহত বিতর্কের মুখে সংসদের নির্বাচনী এলাকা সীমানা নির্ধারণ কারিগরি কমিটি কুমিল্লা সদর দক্ষিণে জুলাই পুনর্জাগরণে সমাজ গঠনে শপথ গ্রহন অনুষ্ঠান অপরাধী যে দলেরই হোক, কোনো ছাড় নেই- ওসি মোহাম্মদ সেলিম কুমিল্লা সদর দক্ষিণে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবসে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ ইয়ংস্টার সোশ্যাল অর্গানাইজেশন এর সদর দক্ষিন উপজেলার কমিটি গঠন নতুন পুরাতন বুঝি না,ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে-ডা. শফিকুর রহমান ছয় দফা দাবিতে কুমিল্লা সদর দক্ষিণে স্বাস্থ্য সহকারীদের অবস্থান কর্মসূচি সাবেক সিইসি নূরুল হুদাকে হেনস্তা: স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা হানিফ গ্রেফতার

শ্মশানে লাশ নিয়ে গেল ইসলামী আন্দোলন

  • তারিখ : ০৩:৩৬:০১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ জুন ২০২০
  • / 245

চাঁদপুরে আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সনাতন ধর্মের এক ব্যাক্তির মৃত্যু হয় সোমবার বিকেলে। পরিবারের লোকজন মুখ ফিরিয়ে নেওয়ার কারণে শ্মশানে সবদাহ সম্পন্ন করেছে ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ চাঁদপুর জেলা শাখার স্বেচ্ছাসেবক টিম। ২ জুন রাত ৮টায় এ সবদাহের কাজ করা হয়।

চাঁদপুর জেলার হাইমচর উপজেলার উত্তর আলগী কমলাপুর গ্রামের দাস বাড়ির বীরেশ্বর দাসের ছেলে সমীর চন্দ্র দাস (৪২) ২ জুন বিকেলে সদর হাসপাতালে করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যায়। সে উপজেলার আলগী বাজারে কাপড় স্ত্রির কাজ করতো।

ইসলামি আন্দোলন চাঁদপুর জেলা শাখার সেক্রেটারি ইয়াসিন রাসেদসানী জানান, আমাদের খবর দেয়া হলে আমরা হাসপাতালের আইসোলেসন ওয়ার্ড থেকে মৃত ব্যাক্তির মরদেহ তার ভাই রবি চন্দ্রের কথামতো চাঁদপুর মহা শশ্মানে নিয়ে যাই। শ্মশানের কাজে নিয়োজিত ব্যাক্তিদের সাথে নিয়ে আমরা এই প্রথম করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত সনাতন ধর্মের ব্যাক্তির সৎকাজ সম্পন্ন করলাম।

সৎকাজে সহযোগিতা করেন ইসলামী যুব আন্দোলন জেলা শাখার সভাপতি হেলাল আহমেদ, সেক্রেটারি মাও. মেহেদী হাসান, সদর উপজেলা স্বেচ্ছা সেবক টিমের সমম্বয়কারী আনোয়ার আল নোমান, ইমরান হোসাইন প্রমুখ।

ইসলামী আন্দোলন এযাবত চাঁদপুরে করোনা ও উপসর্গে মৃত ২৫ জনের লাশ দাফন করেছে । এরমধ্যে এটিই প্রথম সনাতন ধর্মের ব্যক্তির মরদেহ শ্মশানে নিয়ে দাফন কাজে সহযোগিতা করা।

করোনায় আক্রান্ত হওয়া ব্যক্তির লাশ দাফনেও যখন পরিবারের লোকজন মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে, যখন মৃতের লাশ ঘরে ফেলে রেখে পরিবারের আপন মানুষগুলো পালিয়ে যাচ্ছে, ঠিক সেই ক্লান্তিকালে মানবতার অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন কর যাচ্ছেন এদেশের দাঁড়ি টুপিওয়ালা আলেম সমাজ।
.
তারা কেবল মুসলিম নয়, হিন্দুদের মৃতদেহ নিয়ে যাচ্ছেন শ্মশানে।তেমনই এক সাম্য ও সম্প্রীতির ঘটনার জন্ম দিয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চাঁদপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক টিম সর্বমহলে প্রশংসিত হচ্ছে।

শেয়ার করুন

শ্মশানে লাশ নিয়ে গেল ইসলামী আন্দোলন

তারিখ : ০৩:৩৬:০১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ জুন ২০২০

চাঁদপুরে আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সনাতন ধর্মের এক ব্যাক্তির মৃত্যু হয় সোমবার বিকেলে। পরিবারের লোকজন মুখ ফিরিয়ে নেওয়ার কারণে শ্মশানে সবদাহ সম্পন্ন করেছে ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশ চাঁদপুর জেলা শাখার স্বেচ্ছাসেবক টিম। ২ জুন রাত ৮টায় এ সবদাহের কাজ করা হয়।

চাঁদপুর জেলার হাইমচর উপজেলার উত্তর আলগী কমলাপুর গ্রামের দাস বাড়ির বীরেশ্বর দাসের ছেলে সমীর চন্দ্র দাস (৪২) ২ জুন বিকেলে সদর হাসপাতালে করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যায়। সে উপজেলার আলগী বাজারে কাপড় স্ত্রির কাজ করতো।

ইসলামি আন্দোলন চাঁদপুর জেলা শাখার সেক্রেটারি ইয়াসিন রাসেদসানী জানান, আমাদের খবর দেয়া হলে আমরা হাসপাতালের আইসোলেসন ওয়ার্ড থেকে মৃত ব্যাক্তির মরদেহ তার ভাই রবি চন্দ্রের কথামতো চাঁদপুর মহা শশ্মানে নিয়ে যাই। শ্মশানের কাজে নিয়োজিত ব্যাক্তিদের সাথে নিয়ে আমরা এই প্রথম করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত সনাতন ধর্মের ব্যাক্তির সৎকাজ সম্পন্ন করলাম।

সৎকাজে সহযোগিতা করেন ইসলামী যুব আন্দোলন জেলা শাখার সভাপতি হেলাল আহমেদ, সেক্রেটারি মাও. মেহেদী হাসান, সদর উপজেলা স্বেচ্ছা সেবক টিমের সমম্বয়কারী আনোয়ার আল নোমান, ইমরান হোসাইন প্রমুখ।

ইসলামী আন্দোলন এযাবত চাঁদপুরে করোনা ও উপসর্গে মৃত ২৫ জনের লাশ দাফন করেছে । এরমধ্যে এটিই প্রথম সনাতন ধর্মের ব্যক্তির মরদেহ শ্মশানে নিয়ে দাফন কাজে সহযোগিতা করা।

করোনায় আক্রান্ত হওয়া ব্যক্তির লাশ দাফনেও যখন পরিবারের লোকজন মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে, যখন মৃতের লাশ ঘরে ফেলে রেখে পরিবারের আপন মানুষগুলো পালিয়ে যাচ্ছে, ঠিক সেই ক্লান্তিকালে মানবতার অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন কর যাচ্ছেন এদেশের দাঁড়ি টুপিওয়ালা আলেম সমাজ।
.
তারা কেবল মুসলিম নয়, হিন্দুদের মৃতদেহ নিয়ে যাচ্ছেন শ্মশানে।তেমনই এক সাম্য ও সম্প্রীতির ঘটনার জন্ম দিয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চাঁদপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক টিম সর্বমহলে প্রশংসিত হচ্ছে।