স্বকৃত গালিব :
২০১৭ সাল থেকে ইউরিনারি ব্লাডারে ক্যান্সার আক্রান্ত কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ কলেজের প্রভাষক শাফায়েত উল্লাহ মজুমদার। প্রাথমিক ভাবে দেশে, পরে ভারতে চিকিৎসা নিয়ে অনেকটাই সুস্থ হয়েছিলেন তিনি।
সে সময় ব্যয়বহুল এ চিকিৎসার খরচ চালিয়েছেন সহায় সম্পদ বিক্রির অর্থ, আত্মীয়-স্বজন ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের অনুদানের টাকায়।
কিন্তু চলতি বছরের এপ্রিল থেকে আবারও একই সমস্যা দেখা দিয়েছে শাফায়েত উল্লাহ মজুমদারের শরীরে। বর্তমানে রাজধানীর শ্যামলীতে বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হসপিটালে অধ্যাপক কামরুজ্জামান চৌধুরীর তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা চলছে এ শিক্ষকের।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, দ্বিতীয় ধাপের এ চিকিৎসায় তার ব্যয় হতে পারে প্রায় ১০ লাখ টাকা। কিন্তু ব্যয়বহুল এ চিকিৎসার ব্যয় বহন করা এ কলেজ শিক্ষকের পক্ষে একেবারেই অসম্ভব।
শাফায়েত উল্লাহ মজুমদার তিন সন্তানের জনক। বড় মেয়ে লাকসামের নবাব ফয়জুন্নেসা বদরুন্নেসা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণি ও মেজ মেয়ে স্থানীয় একটি মাদরাসার তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী। একমাত্র ছেলের বয়স তিন বছর।
দীর্ঘদিন ধরে ক্যান্সারের চিকিৎসা করতে গিয়ে এখন মানবেতন জীবন যাপন করতে হচ্ছে শাফায়েত উল্লাহ মজুমদারকে। বন্ধের উপক্রম তার কোমলমতি সন্তানদের পড়াশোনা।
শাফায়েত উল্লাহ মজুমদার বলেন, প্রথম পর্যায়ের চিকিৎসায় অনেকটা সুস্থ হলেও এখন অবনতি হয়েছে। শুরুতে চিকিৎসায় নিজের কিছু জমানো টাকা, বাড়ির জমি বিক্রি আর প্রিয়জনদের অনুদানের টাকায় চালিয়ে নিতে পেরেছি। তার পরও ঋণ করতে হয়েছে প্রায় ১০ লাখ টাকা। এবার খরচ আরও বেশি। করোনার এ সময়ে কার কাছে হাত পাতবো? তার ওপর যখন ফুটফুটে তিনটি সন্তানের চেহারা সামনে ভেসে ওঠে তখন আর সইতে পারি না। নিরূপায় হয়েই সমাজের বিত্তবানদের সহায়তা দরকার আমার। কথা বলতে বলেত চোখ ভিজে যায় শিক্ষক শাফায়েতের।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, নিয়মিত কেমোথেরাপি চালিয়ে গেলে সুস্থ হয়ে উঠবেন তিনি।
এ বিষয়ে বিস্তারিত কথা বলা যাবে শাফায়েত উল্লাহ মজুমদারের সঙ্গে। মোবাইল- ০১৭১২৯০৬৮০৩ (বিকাশ)। সহযোগিতা পাঠানো যাবে, মো. সাফায়েত উল্লাহ, হিসাব নং ১৩৩৬১০০০০৩০২৬, সোনালী ব্যাংক লি:, মনোহরগঞ্জ শাখা।