১০:১৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৯ নভেম্বর ২০২৫, ২৫ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে গণপরিবহন চালুর দাবি

  • তারিখ : ০৩:২১:৫৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মে ২০২০
  • / 299

করোনাভাইরাসের এই পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে গণপরিবহন সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে চালুর দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।

বৃহস্পতিবার (২৮ মে) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সংগঠনের মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী এ দাবি জানান।
তিনি বলেন, অতীত অভিজ্ঞতা বলে, দেশের গণপরিবহন ব্যবস্থাকে আইন মানানো সবচেয়ে কঠিন কাজ। তাছাড়া দীর্ঘদিন পরিবহন বন্ধ থাকায় নিদারুণ আর্থিক সংকটে আছেন মালিক ও শ্রমিকরা। তাদের বেঁচে থাকার একমাত্র সম্বল এই সেক্টর।

এমন অবস্থায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে তাদের পক্ষে পরিবহন পরিচালনা করা কতটুকু সম্ভব তা নিয়ে শঙ্কা থেকেই যায়। অন্যদিকে বিভিন্ন সড়কে যারা বৈধ-অবৈধ চাঁদাবাজি করেন, তারাও আবার সক্রিয় হয়ে উঠবে। ফলে মালিক, শ্রমিক ও যাত্রী সাধারনের জন্য আরোপিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে গণপরিবহন পরিচালনা করা কঠিন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে।

বিবৃতিতে শঙ্কা প্রকাশ করে বলা হয়, গণপরিবহনগুলো সাধারণত দৈনিক ইজারাভিত্তিক পরিচালিত হয়ে থাকে। ফলে মালিক সমিতি, বাস শ্রমিক সংগঠনের নিয়ন্ত্রণের পরিবর্তে নিজ নিজ পরিবহনের শ্রমিকরাই নিয়ন্ত্রণ করে থাকেন। করোনা সংকটেও এভাবে চললে বেশি যাত্রী তোলা ও অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের একটি অসম প্রতিযোগিতা তৈরি হতে পারে।

তাই করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে গণপরিবহন পরিচালনার দায়িত্ব সেনাবাহিনীর হাতে দিলেই কেবল সড়কে শৃঙ্খলা ও স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন করা সম্ভব বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।

শেয়ার করুন

সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে গণপরিবহন চালুর দাবি

তারিখ : ০৩:২১:৫৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মে ২০২০

করোনাভাইরাসের এই পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে গণপরিবহন সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে চালুর দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।

বৃহস্পতিবার (২৮ মে) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সংগঠনের মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী এ দাবি জানান।
তিনি বলেন, অতীত অভিজ্ঞতা বলে, দেশের গণপরিবহন ব্যবস্থাকে আইন মানানো সবচেয়ে কঠিন কাজ। তাছাড়া দীর্ঘদিন পরিবহন বন্ধ থাকায় নিদারুণ আর্থিক সংকটে আছেন মালিক ও শ্রমিকরা। তাদের বেঁচে থাকার একমাত্র সম্বল এই সেক্টর।

এমন অবস্থায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে তাদের পক্ষে পরিবহন পরিচালনা করা কতটুকু সম্ভব তা নিয়ে শঙ্কা থেকেই যায়। অন্যদিকে বিভিন্ন সড়কে যারা বৈধ-অবৈধ চাঁদাবাজি করেন, তারাও আবার সক্রিয় হয়ে উঠবে। ফলে মালিক, শ্রমিক ও যাত্রী সাধারনের জন্য আরোপিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে গণপরিবহন পরিচালনা করা কঠিন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে।

বিবৃতিতে শঙ্কা প্রকাশ করে বলা হয়, গণপরিবহনগুলো সাধারণত দৈনিক ইজারাভিত্তিক পরিচালিত হয়ে থাকে। ফলে মালিক সমিতি, বাস শ্রমিক সংগঠনের নিয়ন্ত্রণের পরিবর্তে নিজ নিজ পরিবহনের শ্রমিকরাই নিয়ন্ত্রণ করে থাকেন। করোনা সংকটেও এভাবে চললে বেশি যাত্রী তোলা ও অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের একটি অসম প্রতিযোগিতা তৈরি হতে পারে।

তাই করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে গণপরিবহন পরিচালনার দায়িত্ব সেনাবাহিনীর হাতে দিলেই কেবল সড়কে শৃঙ্খলা ও স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন করা সম্ভব বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।