স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো: তাজুল ইসলামের নির্দেশে- সেই অসহায় আকলিমাকে ঘর করে দেওয়ার জন্য জমি নির্ধারণ করতে গেলেন মনোহরগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন

আকবর হোসেন, মনোহরগঞ্জ (কুমিল্লা) প্রতিনিধি:

কুমিল্লার মনোহরগঞ্জে “ঘর নাই অসহায় বিধবা আকলিমা বেগমের” এরকম একটি সংবাদ স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো: তাজুল ইসলামের নজরে আসে। বিধবা আকলিমা বেগমের ঘরের বিষয়টি স্থানীয় সরকার মন্ত্রীকে অবহিত করার পর, সাথে সাথে মন্ত্রী ওই বিধবা আকলিমা বেগমকে ঘর করে দেওয়ার নির্দেশ প্রদান করেন। মন্ত্রী মহোদয়ের নিজস্ব তহবিল থেকে অসহায় আকলিমা বেগমকে ঘর করে দেওয়া হবে। মন্ত্রী মহোদয়ের নির্দেশে ঘরটির নির্মাণ কাজ তদারকি ও বাস্তবায়ন করবেন মনোহরগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন। এছাড়াও বিধবা আকলিমা বেগমকে আর্সেনিক মুক্ত গভীর নলকূপ বসিয়ে দেওয়া হবে। গতকাল সোমবার বিধবা আকলিমা বেগমকে ঘর করে দেওয়ার জন্য জমি নির্ধারণ করতে সরেজমিনে আকলিমার বাড়িতে গেলেন মনোহরগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন। এসময় উত্তর হাওলা ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে অসহায় আকলিমাকে শীতের কম্বল বিতরণ করা হয়। গুরুত্বপূর্ণ একটি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করার পরেও গ্রামের পাড়া-মহল্লার খবর রাখেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো: তাজুল ইসলাম। মন্ত্রণালয়, জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদের বরাদ্দের পাশাপাশি তিনি তার নির্বাচনী আসন কুমিল্লা-৯ (লাকসাম-মনোহরগঞ্জ) এই দুই উপজেলার শত শত গরিব ও অসহায় পরিবারকে তার নিজস্ব তহবিল থেকে সবসময় সাহায্য ও সহযোগীতা করে থাকেন। তেমনি মনোহরগঞ্জ উপজেলার উত্তর হাওলা ইউনিয়নের দক্ষিণ ফেনুয়া মিজি বাড়ির বিধবা আকলিমা বেগমের ঘরের বিষয়টি জানতে পেরে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী সাথে সাথে তাকে ঘর করে দেওয়ার ঘোষণা দেন। ঘর করে দেওয়ার আগে ওই অসহায় বিধবাকে বিদ্যুৎ সংযোগ পৌঁছে দেওয়ার জন্য তাৎক্ষনিক কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-৪ এর জিএম কে নির্দেশ প্রদান করেন। মন্ত্রী মহোদয়ের নির্দেশে দুই দিনের মধ্যে বিদ্যুৎতের আলো পৌঁছে গেলো সেই বিধবার ঘরে। বিধবা আকলিমা বেগম জানান, আমি অসুস্থ মানুষ। আমার একটি ঘর নাই এই খবরটি আমি আমাদের মন্ত্রী সাহেবকে জানানোর পর সাথে সাথে মন্ত্রী সাহেব আমাকে ঘর করে দেওয়াসহ সকল সহযোগিতা করার আশ^াস দেন। খবরটি পেয়ে সাথে সাথে উনার পক্ষ থেকে আমাকে আর্থিক সহযোগীতা করা হয়েছে। অসুস্থতার কারণে কারো কাছে যেতে পারিনি। বলতে পারিনি নিজের মনের কথা। পরবর্তীতে লোক মারফতে আমাদের মন্ত্রী সাহেব আমার দুঃখের কথা শুনে আমাকে সহযোগীতা করার আশ^াস দেন। এছাড়াও আমি ইউনিয়ন পরিষদ থেকে বিধবা ভাতা পাই, ১০ টাকা কেজিতে মাসে ৩০ কেজি চাউল পাই। এতোদিন ঘরে বিদ্যুৎ ছিল না। এখন মন্ত্রী সাহেবের নির্দেশে আমার ঘরে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়েছে। আমার কাছে টাকা না থাকায় আমি ঘর ওয়ারিং করতে পারিনি। সে জন্য আমি ঘরে বিদ্যুৎ আনতে পারিনি। পরবর্তীতে আমাদের মন্ত্রী সাহেবের পক্ষ থেকে বিনা মূল্যে ঘর ওয়ারিং, ঘরে লাইট ও ফ্যান এবং বিদ্যুৎ এর মিটারসহ বিদ্যুৎ সংযোগ এর ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়। আমি খুবই খুশি এবং আমি মন্ত্রী সাহেবের কাছে কৃতজ্ঞ। মহান আল্লাহ যাতে উনাকে দীর্ঘজীবি করেন। গতকাল রবিবার বিধবা আকলিমা বেগমের বাড়িতে পৌঁছে তাকে ঘর করে দেওয়ার জন্য জমি নির্ধারণ করেন মনোহরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সোহেল রানা ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো: ওয়াসিম। এসময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার দুঃখিনী আকলিমা বেগমের জীবনের গল্প শুনেন। আকলিমা বেগমের বড় ছেলে প্রতিবন্ধী। গত ছয় মাস থেকে তার কোনো খোঁজ নাই। ছোট ছেলেটি লাকসাম একটি এতিমখানা মাদ্রাসায় লেখাপড়া করছেন। খেয়ে না খেয়ে জীবন অতিবাহিত করছেন বিধবা আকলিমা বেগম। তার দুঃখের কথা শুনে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী উনার নিজস্ব তহবিল থেকে তাকে ঘর করে দেওয়ার জন্য সকল ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। এছাড়াও মন্ত্রী মহোদয়ের পক্ষ থেকে তাকে সকল ধরনের সহযোগীতা করার আশ^াস প্রদান করা হয়। গতকাল সোমবার অসহায় বিধবা আকলিমা বেগমের বাড়িতে উপস্থিত হয়ে তার ঘর করে দেওয়ার জন্য জমি নির্ধারণ করার পর তাকে ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে শীতের কম্বল বিতরণ করা হয়। এছাড়াও উত্তর হাওলা ইউপি চেয়ারম্যান মো: আবদুল হান্নান হিরো তার ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে সকল ধরনের সহযোগীতা করার আশ^াস প্রদান করেন। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন উত্তর হাওলা ইউপি চেয়ারম্যান মো: আবদুল হান্নান হিরো, উত্তর হাওলা ইউপি সচিব জাহাঙ্গীর আলম সেলিম, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সিনিয়র সদস্য রিপন হোসেন, সাংবাদিক আকবর হোসেন, স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার মো: আলা উদ্দিন, বিশিষ্ট সমাজসেবক আবুল বাশার, ছাত্র নেতা জোনায়েদ হোসেন জিসান, আশ্রাফুল ইসলাম শুভ, মামুন হোসেনসহ আরো অনেকে।

     আরো পড়ুন....

পুরাতন খবরঃ

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০  
error: ধন্যবাদ!