স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ‘যারা বিদেশে আছেন তারা দেশে না আসলে ভালো হয়। প্রবাসীদের প্রয়োজন ছাড়া দেশে আসার দরকার নেই।’
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়ের কনফারেন্স রুমে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘প্রবাসীরা দেশে আসলে তাদেরকে কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। ১৪ দিনের আগে তারা স্বজনদের সঙ্গে মিশতে পারবেন না।’
তিন করোনা রোগীর স্বাস্থ্য বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘করোনা আক্রান্ত তিন জন রোগীই ভাল আছেন। এদের মধ্যে দুজন পুরোপুরি সুস্থ্য হয়েছেন। শিগগিরই তাদের ছেড়ে দেয়া হবে। তাদের সংস্পর্শে আসা যাদেরকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে তারা সবাই অসুস্থ নয়। দুজন কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন তাদের শরীরে পরীক্ষা করে দেখা গেছে তারা করোনায় আক্রান্ত নয়।’
থার্মাল স্ক্যানারের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘সামিট গ্রুপ থেকে ৫টি থার্মাল স্ক্যানার দিয়েছেন। এই সময়ে এটাই সবচেয়ে বড় দরকার ছিল। তদের পাঁচটিপসহ এখন সব মিলিয়ে ১০টি স্ক্যানার আছে আমাদের।’
তবে স্ক্যানারে করোনা ধরা পড়ে না বলে জানান স্বাস্থমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘স্ক্যানারের কাজ শরীরের তাপমাত্রা মাপা। করোনা ছাড়াও নানা কারণে তাপমাত্রা বাড়তে পারে। তবে এখন আমরা বেশ সতর্ক অবস্থানে আছি। স্ক্যানারে প্রবাসীদের কারো টেম্পারেচার বেশি পেলে তখন তাকে কোয়ারেন্টাইনে নেয়া হয়।’
করোনাভাইরাস এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে সেভাবে সংক্রমিত হয়নি বলে বক্তব্য দেন জাহিদ মালেক।
তিনি বলেন, ‘বিশ্বের বড় বড় দেশ করোনাভাইরাস নিয়ে সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন। সে সব দেশে করোনা মহামারী রূপ নিচ্ছে। কিন্তু সে তুলনায় বাংলাদেশ অনেক নিরাপদ রয়েছে এখনও। দুইমাস ধরে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে চীনকে অনুসরণ করে কাজ করছি আমরা। তাই এটি সম্ভব হয়েছে।’
এরপর মন্ত্রী বলেন, ‘এই দেশের সবাই যার যার অবস্থান থেকে আমাদের সহযোগিতা করুন। সবাই সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এ দুর্যোগ থেকে আমাদের সোনার বাংলাকে বাঁচাতে পারব।’