০৫:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫, ২৬ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
পিস্তল নিয়ে গ্রেফতার হওয়া রাসেল সদর দক্ষিণ উপজেলা যুবদলের কেউ নয়- সায়েম মজুমদার  নাঙ্গলকোটে মহিলাদল আদ্রা উওর ইউনিয়ন কমিটি গঠন করার লক্ষে মহিলা সমাবেশ অনুষ্ঠিত কুমিল্লায় সুদের টাকা আদায়ে বৃদ্ধকে খুঁটিতে বেঁধে নির্যাতন কুমিল্লায় ৭ বছরের শিশুকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ, পুলিশ হেফাজতে কিশোর কুমিল্লায় চাঁদাবাজবিরোধী অভিযানে হামলা, আহত ৩ পুলিশ সদস্য ইউসুফ মোল্লা টিপুকে নিয়ে আপত্তিকর বক্তব্যের প্রতিবাদে যৌথ বিবৃতি কুমিল্লায় যুবককে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন, ভিডিও ভাইরাল কুমিল্লা সদর দক্ষিণে পিস্তলসহ যুবদল কর্মী আটক দুর্গাপূজায় ৯ দিনের ছুটিতে যাচ্ছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় হানিফ ফ্লাইওভারে বাস-সিএনজি সংঘর্ষ, নিহত ২

আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে ব্যর্থ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪ বিভাগ

  • তারিখ : ০২:৪২:৪০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • / 452

অনলাইন ডেস্ক :

বিশ্বব্যাপী উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর গড় অনুপাতের নূন্যতম মানদণ্ড ধরা হয় ১:২০। অর্থাৎ প্রতি ২০ জন শিক্ষার্থীর জন্য একজন করে শিক্ষক থাকতে হবে। তবে এই মানদণ্ড বজায় রাখতে ব্যর্থ হয়েছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) ১৪ বিভাগ। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সর্বশেষ প্রকাশিত ৪৮তম বার্ষিক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ পেয়েছে। শিক্ষক-শিক্ষার্থীর অনুপাত ঠিকমতো না থাকায় সময়মতো ক্লাস-পরীক্ষা না হওয়া, সেশনজটসহ বিভিন্ন সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়। প্রতিবেদনের তথ্যানুযায়ী, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক সংখ্যা ২৬৬। এর বিপরীতে বর্তমান শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৬ হাজার ৩৮৪। এতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর অনুপাত দাঁড়ায় ১:২৪।

আবার বিভিন্ন বিভাগের ৫৭ শিক্ষক রয়েছেন ছুটিতে। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ে দায়িত্বরত শিক্ষক সংখ্যা ২০৩। অর্থাৎ, প্রতি ৩১ জন শিক্ষার্থীর বিপরীতে শিক্ষক রয়েছেন একজন করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ও ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের সবগুলো বিভাগই আন্তর্জাতিক মানদণ্ড বজায় রাখতে ব্যর্থ। এছাড়া বিজ্ঞান অনুষদের দুটি, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের চারটি, প্রকৌশল অনুষদের একটি এবং আইন অনুষদের একটি বিভাগও রয়েছে আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের বাইরে।

এর মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগ শিক্ষক-শিক্ষার্থীর অনুপাতে সবচেয়ে পিছিয়ে। এই বিভাগে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর অনুপাত ১:৪৪। বিভাগটিতে ৩৯৮ জন শিক্ষার্থীর বিপরীতে শিক্ষক মাত্র ৯ জন। অর্থাৎ প্রতি ৪৪ জন শিক্ষার্থীর বিপরীতে রয়েছেন মাত্র একজন শিক্ষক। এরপরই আছে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ। বিভাগটিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর অনুপাত ১:৪৩।

এ ছাড়া যেসব বিভাগে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী শিক্ষক-শিক্ষার্থীর অনুপাত নেই। সেগুলো হলো- কলা অনুষদের বাংলা এবং ইংরেজি বিভাগ। সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের অর্থনীতি বিভাগ, নৃবিজ্ঞান বিভাগ এবং প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ। বিজ্ঞান অনুষদের গণিত এবং রসায়ন বিভাগ। ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের অ্যাকাউন্টিং, মার্কেটিং এবং ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগ। প্রকৌশল অনুষদের আইসিটি বিভাগ এবং আইন অনুষদের আইন বিভাগ। ভালো অবস্থানে আছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল অনুষদের কম্পিউটার সাইন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ। এ বিভাগে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর অনুপাত ১:১৭। অর্থাৎ প্রতি ১৭ জন শিক্ষার্থীর বিপরীতে একজন করে শিক্ষক রয়েছেন।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক ড. মোহা. হাবিবুর রহমান বলেন, বর্তমান প্রশাসন আন্তর্জাতিক মানদণ্ড বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর। এক্ষেত্রে যেসব বিভাগে শিক্ষক সংকট আছে; তারা যদি প্রশাসনের কাছে শিক্ষক চাহিদার কথা জানায় সে হিসেবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির বলেন, দেশের অধিকাংশ নতুন বিশ্ববিদ্যালয়েই শিক্ষকদের এই সংকট রয়েছে। তবে শিক্ষার গুণগত মান রক্ষার্থে আমাদের শিক্ষক-শিক্ষার্থীর এই অনুপাত কমানোর কোনো বিকল্প নেই। এক্ষেত্রে সরকারের কাছে আমাদের অনুরোধ, যেখানে যতজন শিক্ষক দরকার সেই হিসেবটা তারা যেন আমাদেরকে দেয়। তাহলে সে হিসেবে আমরা কাজ করতে পারবো।

সূত্র: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর

শেয়ার করুন

আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে ব্যর্থ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪ বিভাগ

তারিখ : ০২:৪২:৪০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

অনলাইন ডেস্ক :

বিশ্বব্যাপী উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর গড় অনুপাতের নূন্যতম মানদণ্ড ধরা হয় ১:২০। অর্থাৎ প্রতি ২০ জন শিক্ষার্থীর জন্য একজন করে শিক্ষক থাকতে হবে। তবে এই মানদণ্ড বজায় রাখতে ব্যর্থ হয়েছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) ১৪ বিভাগ। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সর্বশেষ প্রকাশিত ৪৮তম বার্ষিক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ পেয়েছে। শিক্ষক-শিক্ষার্থীর অনুপাত ঠিকমতো না থাকায় সময়মতো ক্লাস-পরীক্ষা না হওয়া, সেশনজটসহ বিভিন্ন সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়। প্রতিবেদনের তথ্যানুযায়ী, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক সংখ্যা ২৬৬। এর বিপরীতে বর্তমান শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৬ হাজার ৩৮৪। এতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর অনুপাত দাঁড়ায় ১:২৪।

আবার বিভিন্ন বিভাগের ৫৭ শিক্ষক রয়েছেন ছুটিতে। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ে দায়িত্বরত শিক্ষক সংখ্যা ২০৩। অর্থাৎ, প্রতি ৩১ জন শিক্ষার্থীর বিপরীতে শিক্ষক রয়েছেন একজন করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ও ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের সবগুলো বিভাগই আন্তর্জাতিক মানদণ্ড বজায় রাখতে ব্যর্থ। এছাড়া বিজ্ঞান অনুষদের দুটি, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের চারটি, প্রকৌশল অনুষদের একটি এবং আইন অনুষদের একটি বিভাগও রয়েছে আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের বাইরে।

এর মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগ শিক্ষক-শিক্ষার্থীর অনুপাতে সবচেয়ে পিছিয়ে। এই বিভাগে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর অনুপাত ১:৪৪। বিভাগটিতে ৩৯৮ জন শিক্ষার্থীর বিপরীতে শিক্ষক মাত্র ৯ জন। অর্থাৎ প্রতি ৪৪ জন শিক্ষার্থীর বিপরীতে রয়েছেন মাত্র একজন শিক্ষক। এরপরই আছে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ। বিভাগটিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর অনুপাত ১:৪৩।

এ ছাড়া যেসব বিভাগে আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী শিক্ষক-শিক্ষার্থীর অনুপাত নেই। সেগুলো হলো- কলা অনুষদের বাংলা এবং ইংরেজি বিভাগ। সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের অর্থনীতি বিভাগ, নৃবিজ্ঞান বিভাগ এবং প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ। বিজ্ঞান অনুষদের গণিত এবং রসায়ন বিভাগ। ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের অ্যাকাউন্টিং, মার্কেটিং এবং ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগ। প্রকৌশল অনুষদের আইসিটি বিভাগ এবং আইন অনুষদের আইন বিভাগ। ভালো অবস্থানে আছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল অনুষদের কম্পিউটার সাইন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ। এ বিভাগে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর অনুপাত ১:১৭। অর্থাৎ প্রতি ১৭ জন শিক্ষার্থীর বিপরীতে একজন করে শিক্ষক রয়েছেন।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক ড. মোহা. হাবিবুর রহমান বলেন, বর্তমান প্রশাসন আন্তর্জাতিক মানদণ্ড বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর। এক্ষেত্রে যেসব বিভাগে শিক্ষক সংকট আছে; তারা যদি প্রশাসনের কাছে শিক্ষক চাহিদার কথা জানায় সে হিসেবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির বলেন, দেশের অধিকাংশ নতুন বিশ্ববিদ্যালয়েই শিক্ষকদের এই সংকট রয়েছে। তবে শিক্ষার গুণগত মান রক্ষার্থে আমাদের শিক্ষক-শিক্ষার্থীর এই অনুপাত কমানোর কোনো বিকল্প নেই। এক্ষেত্রে সরকারের কাছে আমাদের অনুরোধ, যেখানে যতজন শিক্ষক দরকার সেই হিসেবটা তারা যেন আমাদেরকে দেয়। তাহলে সে হিসেবে আমরা কাজ করতে পারবো।

সূত্র: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর