সার্স মোকাবেলায় সংগ্রহ করা একটি অ্যান্টিবডি থেকে বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাসের দুর্বলতার খোঁজ পাওয়ার দাবি করেছেন বিজ্ঞানীরা।
দুই হাজার সালের শুরুর দিকে সার্স মহামারী থেকে বেঁচে যাওয়া এক ব্যক্তির শরীর থেকে এটি নেয়া হয়েছিল। এবার সেখান থেকেই কোভিড-১৯ ভাইরাসের সম্ভাব্য দুর্বল জায়গাটির সন্ধান পাওয়া গেল।
এমন এক সময় এই তথ্য এসেছে, যখন করোনাভাইরাসে সারা বিশ্বে ৬৪ হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আর আক্রান্ত হয়েছেন ১২ লাখ ৩৪ হাজারের মতো।
গবেষকরা বলছেন, এই অ্যান্টিবডি ভাইরাসটির একটি নির্দিষ্ট অংশের সঙ্গে নিজেকে যুক্ত করেছে। এবার তা কোভিড-১৯ এর ক্ষেত্রেও পুনরাবৃত্তি করতে সক্ষম হবে। এ বিষয়টির খোঁজ করতে গিয়ে করোনাভাইরাসের দুর্বল জায়গাটি পাওয়া গেছে।
স্ক্রিপস রিসার্চের বিজ্ঞানীরা এবার এমন দাবিই করেছেন। সায়েন্স সাময়িকীতে প্রকাশিত নিবন্ধে দেখা গেছে, পরমাণু-মাত্রার রেজালুশনে নতুন করোনাভাইরাসের সঙ্গে মানুষের একটি অ্যান্টিবডির মিথষ্ক্রিয়ার প্রথম মানচিত্র হতে যাচ্ছে এটি।
যদিও সার্স সংক্রমণের মোকাবেলায় এই অ্যান্টিবডি উৎপাদন করা হয়েছিল। সার্সের জন্য দায়ী সার্স-কভ ভাইরাস। আর করোনাভাইরাসের সঙ্গে গভীরভাবে সম্পর্কীত সার্স-কভ-২। যেটার কারণে কোভিড-১৯ ভাইরাসের বিস্তার ঘটেছে। ওই অ্যান্টিবডির সঙ্গে এটির একটি আন্তঃসম্পর্ক রয়েছে।
গবেষকেরা বলছেন, করোনাভাইরাসের দুর্বলতা খুঁজে পাওয়ার ঘটনা চিকিৎসাক্ষেত্রে খুব ভালো খবর হয়ে আসতে পারে। এ থেকে ভাইরাসের নতুন টিকা তৈরির পথ খুলে যেতে পারে।
জীববিজ্ঞানী ইয়ান উইলসনের মতে, করোনাভাইরাসের মতো অতি সংক্রামকের ওপর আঘাত হানার জন্য নির্দিষ্ট দুর্বল অঞ্চল খুঁজে বের করা তাৎপর্যপূর্ণ।
নিউইয়র্ক পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, করোনাভাইরাসের দুর্বল জায়গা নিয়ে আরও গবেষণা চালানোর কথা বলেছেন গবেষকেরা।
তারা বিষয়টিকে আরও জানার জন্য অ্যান্টিবডির খোঁজ শুরু করেছেন। এ জন্য কোভিড-১৯ থেকে সুস্থ হওয়া ব্যক্তির রক্তের খোঁজ করছেন তারা। এ রক্ত থেকে সম্ভাব্য কার্যকর অ্যান্টিবডি কাজে লাগানোর পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।
সব মানুষের পাঁচ ধরনের অ্যান্টিবডি রয়েছে। তবে এসব গ্রুপের মধ্যে প্রচুর পার্থক্য রয়েছে। বিজ্ঞানীরা এমন একটির সন্ধান করছেন যা ভাইরাস শনাক্তকরণ এবং তাকে নিষ্ক্রিয় করার জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত হবে।