কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যসহ তিন কর্মকর্তার কার্যালয়ে তালা

২৪ ঘণ্টার মধ্যে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাত দফা দাবি বাস্তবায়ন না হওয়ায় পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য-ট্রেজারার ও প্রক্টরকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করে কার্যালয়ে তালা দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকালে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির নেতারা প্রশাসনির ভবনের তিন দপ্তরে তালা দেন।

সরেজমিনে জানা যায়, গত ২৩ এপ্রিল শিক্ষক সমিতির নেতারা বিশ্বিবিদ্যায় উপাচার্য বরাবর ৭ দফা দাবি নিয়ে লিখিত অভিযোগ করেন। দাবিসমূহ বাস্তবায়নের জন্য ২৪ ঘণ্টা সময় দেওয়া হয়। কিন্তু এ সময়ের মধ্যে কোনো প্রকার পদক্ষেপ না নেওয়ায় বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকালের দিকে শিক্ষক সমিতির একাধিক নেতা প্রক্টর ড. কাজী ওমর সিদ্দিকী, ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মো. আসাদুজ্জামান, উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈনের দপ্তরে গিয়ে তালা ঝুলিয়ে দেন। তবে এসময় ওই তিন দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন না।

৭ দফা দাবির প্রথমটা হলো, বিশ্ববিদ্যায় উপাচার্য কার্যালয়ে মাননীয় উপাচার্যের উপস্থিতিতে কিছু উচ্ছৃঙ্খল কর্মকর্তা, বহিরাগত সন্ত্রাসী ও কিছু অছাত্র কর্তৃক শিক্ষকদের উপর ন্যাক্কারজনক হামলায় নেতৃত্ব দানকারী কর্মকর্তা মো. জাকির হোসেনের সাময়িক বহিষ্কারপূর্বক সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে তার ও জড়িত সকলের সর্বোচ্চ শান্তি নিশ্চিতকরণ এবং হামলায় মদ্যদানকারী প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকীর অপসারণ, ঢাকাস্থ গেস্টহাউজ শিক্ষক-কর্মকর্তাদের জন্য উন্মুক্ত করা।

এ বিষয়ে শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. আবু তাহের বলেন, গত ২৩ এপ্রিল ৭ ধফা দাবি নিয়ে আমরা ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছিলাম। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আমাদের বেঁধে দেওয়া দাবি না মানায় পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী আমরা উপাচার্যসহ তিন দপ্তরে তালা দিয়েছি। আমাদের দাবি মেনে না নেওয়া পর্যন্ত তালা খুলবো না।

এ বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈনকে একাধিকবার ফোন ও ক্ষুদে বার্তা পাঠিয়েও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

 

জাগো নিউজ

     আরো পড়ুন....

পুরাতন খবরঃ

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
error: ধন্যবাদ!