মাজহারুল ইসলাম বাপ্পি:
কুমিল্লা সদর দক্ষিণের বিজয়পুর হাই স্কুলের শিক্ষক সাহেদ কর্তৃক ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী রিতাকে (ছদ্ম নাম) যৌন হয়রানির অভিযোগে অভিযুক্ত শিক্ষককে গণধোলাই দিয়েছে স্থানীয়রা। এ ঘটনার পর থেকে স্কুলের শিক্ষার্থী,অভিভাবক ও স্থানীয়দের মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে। শিক্ষক সাহেদ আলম এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন অভিভাবকসহ স্থানীয় সচেতন মহল। এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে সদর দক্ষিণ মডেল থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
জানা যায়, কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার বিজয়পুর হাই স্কুলের শিক্ষক শাহেদ এর বাসায় সকাল ৭টা থেকে ৯টা পর্যন্ত ওই স্কুলের ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী রিতা (ছদ্ম নাম) প্রাইভেট পড়াতো। বুধবার স্কুল বন্ধ থাকার সুযোগে ওই শিক্ষক প্রাইভেটের তিন ছাত্রী ছুটি দিয়ে রিতাকে (ছদ্ম নাম) আটকে রেখে গায়ে হাত দেয়াসহ যৌন হয়রানি করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শিক্ষক কর্তৃক ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী যৌন হয়রানির বিষয়টি অভিভাবক মহলে ছড়িয়ে পড়লে বৃহস্পতিবার দুপুরে অভিভাবকসহ স্থানীয়রা অভিযুক্ত শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে স্কুলে অবস্থান নেয়। স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির পক্ষ থেকে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহনের আশ^াসে স্থানীয়রা সাময়িক সময়ের জন্য শান্ত হয়। প্রাইভেট পড়ানোর নামে এ শিক্ষকের বিরুদ্ধে এর আগেও অনেক ছাত্রীকে হয়রানির অভিযোগ পাওযা গেছে।
এ ব্যাপারে স্কুলের প্রধান শিক্ষক মো: মোকশেদ আলী বলেন, শিক্ষক কর্তৃক ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত কমিটি করা হয়েছে, দোষী প্রমানিত হলে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিজয়পুর হাই স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিন মজুমদার বলেন, একজন শিক্ষক পিতার সমতুল্য। যৌন হয়রানির বিষয়ে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি করে তিন দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়েছে। অভিযোগ প্রমানিত হলে তার বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
স্থানীয় বারপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সেলিম আহম্মেদ বলেন, একজন শিক্ষকের কাছ থেকে আমরা কখনোই এ রকম আচরণ আশা করি না। সে শিক্ষক নামের কলঙ্ক। উপযুক্ত বিচারের জোড় দাবি জানাচ্ছি।
সদর দক্ষিণ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো: শাহাজালাল জানান,তদন্ত রিপোর্টে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ ব্যাপারে সদর দক্ষিণ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিয়া মোহাম্মাদ কেয়ামউদ্দিন জানান,অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি প্রমানিত হলে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে। কোন ভাবেই তাকে ছাড় দেয়া হবে না।