০৫:১০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ অগাস্ট ২০২৫, ৯ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কুমিল্লা সদর দক্ষিণের ব্যবসায়ী দুলালকেখুন্তি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা ভাড়াটিয়া সুমি কুমিল্লার বেলতলীতে পিকআপ চাপায় পথচারী নিহত বিতর্কের মুখে সংসদের নির্বাচনী এলাকা সীমানা নির্ধারণ কারিগরি কমিটি কুমিল্লা সদর দক্ষিণে জুলাই পুনর্জাগরণে সমাজ গঠনে শপথ গ্রহন অনুষ্ঠান অপরাধী যে দলেরই হোক, কোনো ছাড় নেই- ওসি মোহাম্মদ সেলিম কুমিল্লা সদর দক্ষিণে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবসে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ ইয়ংস্টার সোশ্যাল অর্গানাইজেশন এর সদর দক্ষিন উপজেলার কমিটি গঠন নতুন পুরাতন বুঝি না,ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে-ডা. শফিকুর রহমান ছয় দফা দাবিতে কুমিল্লা সদর দক্ষিণে স্বাস্থ্য সহকারীদের অবস্থান কর্মসূচি সাবেক সিইসি নূরুল হুদাকে হেনস্তা: স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা হানিফ গ্রেফতার

কুমিল্লা সদর দক্ষিণে একের পর এক ডাকাতি, আতঙ্কে মানুষ

  • তারিখ : ১০:৫৬:২৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৭ জুলাই ২০২৪
  • / 608

মাজহারুল ইসলাম বাপ্পি।।

কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলায় একের পর এক ঘটছে ডাকাতির ঘটনা। এসব ডাকাত দলের প্রধান টার্গেট প্রবাসী ও বিত্তশালী পরিবার। ডাকাতের হাত থেকে বাঁচতে রাত জেগে পাহাড়াও দিচ্ছে গ্রামের মানুষ। গত শুক্রবার (৫ জুলাই) গভীর রাতেও উপজেলার চৌয়ারা ইউনিয়নের দুইটি বাড়িতে ডাকাতি হয়েছে। এ নিয়ে গত ২০/২৫ দিনের ব্যবধানে চৌয়ারা, বারপাড়া ও বিজয়পুর ইউনিয়নের ৭/৮টি বাড়িতে ডাকাতি হয়েছে। এ সময় ডাকাতদের হামলায় বেশ কয়েকজন আহতও হয়েছেন। এতে এলাকাবাসীর মধ্যে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।

উপজেলার চৌয়ারা ইউনিয়নের দিঘলগাঁও গ্রামের ব্যবসায়ী ফরিদ মিয়া জানান, শুক্রবার রাত আড়াইটার দিকে আমার ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে ৮/১০ জন ডাকাত দল। তারা আমাদেরকে বেঁধে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নগদ ১২ হাজার টাকা এবং ৭ ভরি স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যায়। দ্রুত ডাকাতদের গ্রেফতারের দাবি জানাই। একই রাতে পার্শ্ববর্তী গ্রাম দক্ষিণ সিন্ধুয়ার প্রবাসী জহিরের বাড়িতেও ডাকাতরা দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে তাদের মারধর করে মোবাইল ফোন নিয়ে যায়।

এছাড়াও কিছুদিন পূর্বে উপজেলার বারপাড়া ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর গ্রামের বাসিন্দা কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেকশন অফিসার নাজিম এর ঘরের ভেতরে ঢুকে পিস্তল ঠেকিয়ে জিম্মি করে ঘরের আসবাবপত্র তছনছ করে নগদ এক লাখ বাইশ হাজার পাঁচ’শ টাকা, দুইটি মোবাইল ফোন ও প্রায় পাঁচ ভরি স্বর্ণালঙ্কার লুটপাট করে নিয়ে যায়। এ ঘটনার সদর দক্ষিণ মডেল থানার একটি মামলাও করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

কয়েক দিনের ব্যবধানে পার্শ্ববর্তী গ্রাম যাত্রাপুরের শফিকের বাড়িতে দিনদুপুরে চুরি এবং একই গ্রামের নোয়াব মিয়ার বাড়িতে গভীর রাতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এসময় ডাকাতরা স্বর্নালংকার ও নগদ অর্থ নিয়ে যায়। এর পর থেকে ডাকাতিরোধে পুরো গ্রামের মানুষ এক হয়ে রাতে পাহাড়া দেয়ার ব্যবস্থা করেছে।

বিজয়পুর ইউনিয়নের হোসেনপুর দক্ষিণ পাড়ার মনু মিয়ার বাড়িতে এবং মধ্যম বিজয়পুরের রিপনের গভীর রাতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এসময় ডাকাতরা স্বর্নালংকার ও নগদ অর্থ নিয়ে যায় এবং রিপনকে চুরিকাঘাত করে।

এদিকে গত ২ জুলাই রাতে চৌয়ারা ইউনিয়নের দিঘলগাঁও চৌমুহনী মোহনের দোকান, কিং টঙ্গীরপাড় রাসেলের দোকান, হেমজোড়ার একটি দোকানের ডাকাতির ঘটনা ঘটে বলে জানায় স্থানীয়রা। এসময় দোকানের কসমেটিকসসহ মূল্যবান মালামাল ও নগদ অর্থ নিয়ে যায়। একের পর এক ডাকাতির ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।

বিজয়পুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান তানভীর হোসেন পারভেজ জানান, বিজয়পুর ও আশপাশের ইউনিয়নে ডাকাতির ঘটনা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। ডাকাত আতঙ্কে রয়েছে সাধারণ মানুষ।  প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

আইন শৃঙ্খলার পরিস্থিতির অবনতি দাবি করে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান আব্দুল হাই বাবলু ডাকাতির ঘটনার সাথে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানান।

এ বিষয়ে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আলমগীর ভূইয়া জানান, ডাকাতির ঘটনায় দুই ডাকাতকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ চক্রের অন্যান্যদের সনাক্ত করা হয়েছে। তাদের গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

শেয়ার করুন

কুমিল্লা সদর দক্ষিণে একের পর এক ডাকাতি, আতঙ্কে মানুষ

তারিখ : ১০:৫৬:২৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৭ জুলাই ২০২৪

মাজহারুল ইসলাম বাপ্পি।।

কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলায় একের পর এক ঘটছে ডাকাতির ঘটনা। এসব ডাকাত দলের প্রধান টার্গেট প্রবাসী ও বিত্তশালী পরিবার। ডাকাতের হাত থেকে বাঁচতে রাত জেগে পাহাড়াও দিচ্ছে গ্রামের মানুষ। গত শুক্রবার (৫ জুলাই) গভীর রাতেও উপজেলার চৌয়ারা ইউনিয়নের দুইটি বাড়িতে ডাকাতি হয়েছে। এ নিয়ে গত ২০/২৫ দিনের ব্যবধানে চৌয়ারা, বারপাড়া ও বিজয়পুর ইউনিয়নের ৭/৮টি বাড়িতে ডাকাতি হয়েছে। এ সময় ডাকাতদের হামলায় বেশ কয়েকজন আহতও হয়েছেন। এতে এলাকাবাসীর মধ্যে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।

উপজেলার চৌয়ারা ইউনিয়নের দিঘলগাঁও গ্রামের ব্যবসায়ী ফরিদ মিয়া জানান, শুক্রবার রাত আড়াইটার দিকে আমার ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে ৮/১০ জন ডাকাত দল। তারা আমাদেরকে বেঁধে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নগদ ১২ হাজার টাকা এবং ৭ ভরি স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যায়। দ্রুত ডাকাতদের গ্রেফতারের দাবি জানাই। একই রাতে পার্শ্ববর্তী গ্রাম দক্ষিণ সিন্ধুয়ার প্রবাসী জহিরের বাড়িতেও ডাকাতরা দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে তাদের মারধর করে মোবাইল ফোন নিয়ে যায়।

এছাড়াও কিছুদিন পূর্বে উপজেলার বারপাড়া ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর গ্রামের বাসিন্দা কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেকশন অফিসার নাজিম এর ঘরের ভেতরে ঢুকে পিস্তল ঠেকিয়ে জিম্মি করে ঘরের আসবাবপত্র তছনছ করে নগদ এক লাখ বাইশ হাজার পাঁচ’শ টাকা, দুইটি মোবাইল ফোন ও প্রায় পাঁচ ভরি স্বর্ণালঙ্কার লুটপাট করে নিয়ে যায়। এ ঘটনার সদর দক্ষিণ মডেল থানার একটি মামলাও করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

কয়েক দিনের ব্যবধানে পার্শ্ববর্তী গ্রাম যাত্রাপুরের শফিকের বাড়িতে দিনদুপুরে চুরি এবং একই গ্রামের নোয়াব মিয়ার বাড়িতে গভীর রাতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এসময় ডাকাতরা স্বর্নালংকার ও নগদ অর্থ নিয়ে যায়। এর পর থেকে ডাকাতিরোধে পুরো গ্রামের মানুষ এক হয়ে রাতে পাহাড়া দেয়ার ব্যবস্থা করেছে।

বিজয়পুর ইউনিয়নের হোসেনপুর দক্ষিণ পাড়ার মনু মিয়ার বাড়িতে এবং মধ্যম বিজয়পুরের রিপনের গভীর রাতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এসময় ডাকাতরা স্বর্নালংকার ও নগদ অর্থ নিয়ে যায় এবং রিপনকে চুরিকাঘাত করে।

এদিকে গত ২ জুলাই রাতে চৌয়ারা ইউনিয়নের দিঘলগাঁও চৌমুহনী মোহনের দোকান, কিং টঙ্গীরপাড় রাসেলের দোকান, হেমজোড়ার একটি দোকানের ডাকাতির ঘটনা ঘটে বলে জানায় স্থানীয়রা। এসময় দোকানের কসমেটিকসসহ মূল্যবান মালামাল ও নগদ অর্থ নিয়ে যায়। একের পর এক ডাকাতির ঘটনায় এলাকাবাসীর মধ্যে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।

বিজয়পুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান তানভীর হোসেন পারভেজ জানান, বিজয়পুর ও আশপাশের ইউনিয়নে ডাকাতির ঘটনা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। ডাকাত আতঙ্কে রয়েছে সাধারণ মানুষ।  প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

আইন শৃঙ্খলার পরিস্থিতির অবনতি দাবি করে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান আব্দুল হাই বাবলু ডাকাতির ঘটনার সাথে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানান।

এ বিষয়ে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আলমগীর ভূইয়া জানান, ডাকাতির ঘটনায় দুই ডাকাতকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ চক্রের অন্যান্যদের সনাক্ত করা হয়েছে। তাদের গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।