নিজস্ব প্রতিবেদক।।
পৃথিবীর আলো দেখার পর আর মায়ের দেখা পায়নি নবজাতক। সন্তান জন্ম দেওয়ার পর থেকেই আর দেখা নেই ওই নারীর। তবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ওসির চেষ্টায় বেঁচে থাকার ঠিকানা পেয়েছে পিতৃপরিচয়হীন জন্ম নেওয়া ওই নবজাতক। পেয়েছে নতুন নামও।
সকল আইনি প্রক্রিয়া শেষে ১৯ জানুয়ারী বৃহস্পতিবার পরিচয়হীন ওই নবজাতকটিকে নিঃসন্তানসন্তান এক দম্পতির হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। নাম রাখা হয়েছে জয়িতা।
জয়িতার জন্ম গত ১৬ জানুয়ারি। কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলার গলিয়ারা উত্তর ইউনিয়ন পরিষদ এবং ভূমি অফিসসংলগ্ন জমিতে শুয়ে মানসিক ভারসাম্যহীন এক নারী প্রসব বেদনায় কাতরাচ্ছিলেন। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় ফুটফুটে এক কন্যা সন্তানের জন্ম দেন ওই নারী। সন্তান প্রসবের পরেও ওই নারীর পেট ফুলে থাকায় স্থানীয়রা তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। তবে ওইদিন ওই নারী হাসপাতাল থেকে উধাও হয়ে যায় বলে জানা যায়।
কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলা নির্বাহী অফিসার শুভাশিস ঘোষ জানান, জন্মের পর দু’দিন ধরে হাসপাতালে ওই নবজাতকের দেখাশোনা করেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নিঃসন্তানসন্তান এক ব্যবসায়ী দম্পত্তি। এ সময় নিজ সন্তানের মতো ওই দম্পতি ওষুধসহ সব বিষয়ে দায়িত্ব পালন করেন। তাদের ইচ্ছার পরিপ্রেক্ষিতে ওই দম্পতিকে জয়িতার দায়িত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। পরে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া শেষে এবং ১৮ বছর পর্যন্ত প্রতি ৩ মাস পর পর উপজেলায় হাজির হওয়ার মতো নানা শর্ত মেনে ওই দম্পতি জয়িতার দায়িত্ব নেন।
সদর দক্ষিণ মডেল থানার ওসি দেবাশীষ চৌধুরী বলেন, শিশুটির দায়িত্ব নিতে এলাকায় অনেকেই আগ্রহ দেখিয়েছে। তবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা ও সমাজসেবা কর্মকতার সহায়তায় আইনি প্রক্রিয়া শেষে একটি নিঃসন্তানসন্তান দম্পতির হাতে জয়িতার দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়।