মাজহারুল ইসলাম বাপ্পি :
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আজ থেকে দেশজুড়ে সীমিত পরিসরে ‘লকডাউন’ শুরু হয়েছে। তবে গণপরিবহণ বন্ধ রেখে চালু রাখা হয়েছে সরকারি-বেসরকারি অফিস। এতেই বিপত্তি ঘটেছে।
সকাল থেকে রাস্তায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকেও গাড়ি পাননি অফিসগামীরা। এতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে।
সকাল ৭টার পর থেকে কুমিল্লা পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড, ক্যান্টমেন্ট, চান্দিনায় সড়কগুলোতে মানুষের ভিড় বাড়তে থাকে। মোড়ে মোড়ে শত শত অফিসগামীদের নিরিহভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। অনেককে উপায় না পেয়ে হেঁটে যেতে দেখা গেছে।
এদিকে বাস না থাকার সুযোগটা কাজে লাগাচ্ছেন সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালকরা। স্বল্প দূরত্বে ভাড়া হাকাচ্ছেন দ্বিগুণ-তিনগুণ। বাধ্য হয়েই অনেক যাত্রী ৫০ টাকার ভাড়া ১০০ টাকা দিয়ে গন্তব্যে যাচ্ছেন। তাও আবার এক সিএনজিতে চারজন বসে গাদাগাদি করে।
এদিকে গণপরিবহণের সংকটে সড়কে দাপট দেখাচ্ছে রিকশা। সুযোগ পেয়ে কয়েকগুণ ভাড়া হাঁকছেন তারা। পকেট কাটা যাচ্ছে সাধারণ মানুষের। গাড়ি না পেয়ে অনেকে বাড়তি ভাড়া দিয়েই গন্তব্যের দিকে রওনা হয়েছেন।
একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরিজীবি অন্তরা কবির বলেন, সকালে অফিসে যাওয়ার উদ্দেশে রাস্তায় নেমেই হতভম্ব হই। শুধু মানুষ আর মানুষ। কোনো বাস নেই। কোনো সিএনজি বা রিকশা দেখলেই হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন সবাই। ৩০ টাকার ভাড়া দিতে হল ৭০ টাকা।
এদিকে গাড়ি না পেয়ে কেউ কেউ পিকআপে উঠেও গন্তব্যে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন। গণপরিবহণ বন্ধ থাকায় এভাবেই কুমিল্লায় যাত্রীদের দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে।