জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গঠনে নজরুল ও পাঠাগার অবিচ্ছেদ্য অংশ – স্থানীয় সরকার মন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক :

গতকাল ২৫ মে, ২০২১ খ্রিঃ রোজ: মঙ্গলবার সন্ধ্যা ০৮ঃ০০ টায় “জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম এর শুভ জন্ম জয়ন্তী উপলক্ষে একটি অনলাইন আলোচনা সভা আয়োজন করে ” পাঠাগার আন্দোলন বাংলাদেশ”। এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির প্রধান পৃষ্ঠপোষক কুমিল্লা মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সদর আসনের সাংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা আ ক ম বাহাউদ্দীন বাহার।
প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম, এমপি।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী বলেন:” বাঙালির হৃদয়ে বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম এক প্রগতিশীলতার প্রতীক। আমাদের সমস্ত অস্তিত্ব জুড়ে বিদ্রোহী কবি রয়েছেন সগৌরবে। কাজী নজরুল ইসলাম এর অসাম্প্রদায়িক চেতনাবোধ আমাদেরকে পথ দেখায়। পাঠাগার আন্দোলন কর্তৃক জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম কে স্মরণ করার এমন সৃজনশীল উদ্যোগ কে স্বাগত জানাই। জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গঠনে এমন আয়োজন সকল কে সমৃদ্ধ করবে।

সভাপতির বক্তব্যে কুমিল্লা সদর আসনের সাংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা আ ক ম বাহাউদ্দীন বাহার বলেন “নজরুল কুমিল্লার! একজন মানুষের জীবনের শ্রেষ্ঠ সময় যৌবন ; নজরুল তার জীবনের শ্রেষ্ঠ সময় কাটিয়েছেন কুমিল্লায়। তিনি কুমিল্লা কে ধারণ করে ধারণ করেছেন তার সাহিত্যে সংগ্রামে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কাজী নজরুল ইসলাম কে জাতীয় কবির স্বীকৃতি দিয়েছেন। আমাদের ” জয় বাংলা”ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু নিয়েছেন নজরুলের সৃষ্টি থেকে। সুতরাং অসাম্প্রদায়িক নজরুল কে আমাদের কে ধারণ করতে হবে। তিনি পাঠাগার আন্দোলন বাংলাদেশ কর্তৃক এমন সৃজনশীল উদ্যোগের জন্য সংশ্লিষ্ট সকল কে ধন্যবাদ জানান এবং অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী প্রধান অতিথি সহ সকল আলোচাকবৃন্দ স্বাগত জানান।

মূখ্য আলোচকের বক্তব্যে মালিক খসরু পিপিএম বলেন “একটি অসাম্প্রদায়িক হিন্দু মুসলিম জাতি গড়তে নজরুল আমাদের মাঝে অনন্তকাল উদাহরণ স্বরূপ বেঁচে থাকবেন৷ তিনি কবি নজরুল এর একটি পঙক্তি উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন ” আমি চির তরে চলে যাব, তবুও দেব না আমাকে ভুলিতে”। যুগে যুগে নজরুলের চেতনাবোধ আমাদের জাগ্ররিত করেছে। কবি নজরুল তার সৃজনশীলতা দিয়ে এপার ওপার বাংলার মানুষের মাঝে মেলবন্ধন সৃষ্টি করেছেন। পাঠাগার আন্দোলন আজ সমগ্র দেশে একটি জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গঠনের জন্য বিপ্লব শুরু করেছে তার অন্যতম দৃষ্টান্ত আজকের আয়োজন। আমাদের সকলে এগিয়ে আসতে হবে এমন সৃজনশীল আন্দোলনে। রাষ্ট্র কেই দেশের গণপাঠাগার গুলোর মূল সমস্যা একজন করে গ্রন্থাগারিকের সম্মানী প্রদান করে দেশের গণপাঠাগার গুলো কে পাঠাকদের জন্য সবসময় খোলে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। তবেই গ্রামীণ জনপদের মানুষেরা কাজী নজরুল ইসলাম কে চর্চা করার সুযোগ পাবে। আমি আজকের সকল আলোচকবৃন্দের নিকট আহ্বান জানাই এমন আন্দোলন কে এগিয়ে নিতে সবাই কে একতাবদ্ধ হতে হবে।

বিশেষ অতিথি ও আলোচক শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের দৌহিত্রী সাংসদ আরমা দত্ত বলেন “আমার মস্তক অবনত করে কবি নজরুলের পায়ে জানাই শ্রদ্ধা। এই অসাম্প্রদায়িক চেতনার মানুষ টি তার সমগ্র জীবন জুড়ে মানুষের কথা বলে গিয়েছিল এবং গেয়েছিলেন মানবতার জয় গান। নজরুলের অসাম্প্রদায়িক চেতনাবোধে আমাদেরকে জাগ্ররিত হতে হবে। কবি নজরুল ইসলামের সাহিত্য কর্ম আমাদের কে ধারণ করতে হবে এবং বিশেষ করে তরুণ সমাজ কে পাঠাগার আন্দোলন এর মাধ্যমে
সাহিত্য কর্ম চর্চায় মনোযোগী হওয়ার আহ্বান জানান দেশের বিশিষ্ট নারীনেত্রী ও মানবাধিকার কর্মী সাংসদ আরমা দত্ত।

বিশেষ অতিথি ও আলোচক এর বক্তব্যে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব দেশের বিশিষ্ট কবি ও আবৃত্তি শিল্পী মোঃ হাসানুজ্জামান কল্লোল তার বক্তব্যে জাতীয় কবি নজরুল ইসলামের ” প্রার্থনা” কবিতার অংশবিশেষ এবং কবি নজরুলের অনুরাগে স্ব লেখা একটি কবিতা আবৃত্তি করেন। তিনি বলেন আমি সবসময়ই কবি নজরুল কে তার কবিতায় ও সৃষ্টকর্মে লালন করি। তার চেতনাবোধ আমাকে উজ্জীবিত করে দেশপ্রেমিক হতে।

কবি হাসান কল্লোল তাঁর বক্তব্যে বলেন “আমি যখন কুমিল্লার জেলা প্রশাসক ছিলাম ইমাম তার অর্ধশতাধিক পাঠাগার আন্দোলন কর্মীদের নিয়ে আমার ডিসি বাংলোতে বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে জলাবদ্ধ মুক্ত নগরী গড়ার দাবি নিয়ে গিয়ে ছিল। আমি বিস্মিত হয়ে দেখলাম কিছু তরুণ সমাজের চিন্তা করছে। গণমানুষের সমস্যার কথা নিয়ে ভাবছে। আমি তাদের দিকে হাত বাড়িয়ে দিলাম। সেদিনের স্মৃতি আমাকে আজোও জাগ্ররিত করে। যে তরুণরা বৃষ্টিতে ভিজে সমাজের ভালোর জন্য আন্দোলন করে তাদের এই পাঠাগার আন্দোলন থেমে যেতে পারে না। এই আন্দোলন অনেক শক্তি ও সাহস নিয়ে এগিয়ে যাবে এটাই আমার প্রত্যাশা।

দেশের প্রখ্যাত সাংবাদিক ও কলামিস্ট সুভাষ চন্দ্র সিংহ রায় বিশেষ অতিথি ও আলোচক এর বক্তব্যে বলেন “৩৪ বছর নজরুল নির্বাক ছিলেন ; স্বল্প সময়ে তিনি যা সৃষ্টি করেছেন তা হিমালয়কেও ছাড়িয়ে গেছে।আমি নিশ্চিত তিনি যদি তার জীবনের পুরোটার সময় সাহিত্য সাধনা করার উপযুক্ত পরিবেশ এবং শারিরিক সক্ষমতা পেতেন তাহলে নিঃসন্দেহে তিনি জগতের সবচেয়ে বগ বিস্ময়কর কবি হতেন। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তো তার মৃত্যু শয্যাশায়ীও হয়েও অন্যের হাত দিয়ে কবিতা-সাহিত্য কর্ম লিখিয়েছিলেন। সে সুযোগ আমাদের নজরুল পাননি। কিন্তু তিনি তার স্বল্প জীবনে যা করে গেছেন তাতেই আমরা বিস্মিত। মানবতার এই কবি ক্ষয় নেই।

তিনি কবি নজরুল জন্ম জয়ন্তীতে এমন সৃজনশীল উদ্যোগ নেওয়ার জন্য পাঠাগার আন্দোলন কে স্বাগত জানান এবং পাঠাগার আন্দোলন কে আরো বেশি শক্তিশালী করে দেশের প্রতিটি ঘরে ঘরে পাঠাগার তৈরি করতে তিনি সক্রিয় হয়ে ভূমিকা রাখবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এ সময় তিনি বলেন তার একটি নিজস্ব পাঠাগার আছে যেখানে ৮২ হাজার বইয়ের সমাহার রয়েছে। সুতরাং এই আন্দোলন আমার অস্তিত্বের আন্দোলন।

বিশিষ্ট নজরুল গবেষক
বিশেষ অতিথি ও আলোচকের বক্তব্যে কুমিল্লা সিসিএন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. আলী হোসেন চৌধুরী বলেন “কবি নজরুল আমাদের শিল্পে-সাহিত্যে ও সংস্কৃতির নানান মাত্রায় রয়

     আরো পড়ুন....

পুরাতন খবরঃ

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
error: ধন্যবাদ!