নিজস্ব প্রতিবেদক, সদর দক্ষিণ
কুমিল্লা মহানগরীর ২৩নং ওয়ার্ডের নন্দনপুরের আনিসুজ্জামানের বিরুদ্ধে এক প্রতিবন্ধীর জায়গা অবৈধভাবে দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। দখলকৃত জায়গা উদ্ধার ও আংশিক বিক্রিত জায়গার পাওনা টাকার দাবিতে বুধবার সংবাদ সম্মেলন করেছে প্রতিবন্ধীর পরিবার।
লিখিত বক্তব্যে প্রতিবন্ধী আব্দুল্লাহ আল মনসুরের পিতা তোফাজ্জল হোসেন বলেন, কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানাধীন নগরীর ২৩ নং ওয়ার্ডের নন্দনপুরের আক্তারুজ্জামানের ছেলে আনিসুজ্জামানের নিকট আমার দুই ছেলে আব্দুল্লাহ আল মনসুর (প্রতিবন্ধী) ও ইবরাহীম খলিলের মালিকানাধীন শ্রীধরপুর মৌজার ২১ শতক জায়গা ৭৩ লাখ ৫০ হাজার মূল্যে বিক্রি করার ব্যাপারে ২২/১০/২০২১ইং তারিখে স্ট্যাম্পের মাধ্যমে চুক্তি হয়। আনিসুজ্জামান চুক্তিনামাটি কৌশলে তার শ্যালক মহসিনের নামে করে। গত ৩০ ডিসেম্বর ২১ শতকের মধ্যে ৮ শতক জায়গা দলীল নেয়। দলীলকৃত জায়গার মূল্য ২৮ লাখ টাকা হলেও ১৩ লাখ ৪০ হাজার টাকা পরিশোধ করে এবং বাকি ১৪ লাখ ৬০ হাজার টাকা পরবর্তী দশ দিনের পরিশোধ করার প্রতিশ্রুতি দেয়। যথাসময়ে আনিসুজ্জামানের নিকট পাওনা টাকা চাইতে গেলে সে টাকা না দিয়ে উল্টো আমার নিকট টাকা পাবে বলে দাবি করে এবং উল্লিখিত আমার দুই ছেলের আরো ১৩ শতক জায়গা সে বালি ভরাট করে অবৈধভাবে দখল করে রেখেছে। নিজ জায়গা দখলে যাওয়ায় আমাকে শারীরিকভাবে নির্যাতনও করেছে সে। এ বিষয়ে ১০ জানুয়ারী সদর দক্ষিণ মডেল থানায় অবৈধ দখলদার আনিসুজ্জামানের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। প্রতিনিয়ত তার হুমকি ধমকির ফলে বর্তমানে আমি ও আমার পরিবারের সদস্যরা সম্পূর্ণ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। অবৈধ দখলদার থেকে জায়গা এবং পাওনা টাকা উদ্ধারে কুমিল্লা সদর আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দীন বাহার স্যার, পুলিশ সুপার স্যার, সদর দক্ষিণ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ স্যারসহ সংশ্লিষ্ট সকলের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এ বিষয়ে নন্দনপুরের আনিসুজ্জামানের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, তোফাজ্জল হোসেনের কোন জায়গা আমি ক্রয় করিনি। আনীত অভিযোগটির ভিত্তি নেই।
এ ব্যাপারে সদর দক্ষিণ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ দেবাশীষ চৌধুরী জানান, সঠিক তদন্তের মাধ্যমে দোষী ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।