নারী দিবসের গল্পটা অন্যভাবে শুরু করলে কেমন হয়? এই উপমহাদেশে তখন ব্রিটিশ শাসন। আজকের কুমিল্লার নাম ছিল ত্রিপুরা। ত্রিপুরার জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ছিলেন ডগলাস। এই জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ছিলেন অন্য ১০ ইংরেজের চেয়ে আলাদা। একদিন তিনি খেয়াল করলেন ত্রিপুরা অঞ্চল শিক্ষা ও উন্নয়ন খাতে ভীষণ অবহেলিত। তিনি এই খাতে অর্থ বরাদ্দ চান ব্রিটিশ সরকারের কাছে। কিন্তু সেই অর্থ নির্ধারিত সময়ে আসছে না। ডগলাস সাহেব চিন্তিত হলেন। সিদ্ধান্ত নিলেন অর্থ আসতে বিলম্ব হচ্ছে, হোক। কাজটা ধার করে তুলে ফেলবেন। তারপর বরাদ্দ এলে ফেরত দেবেন সেই অর্থ। মোট দরকার তখনকার সময়ের এক লাখ টাকা। এত টাকা একসঙ্গে কে দেবেন? ডগলাস সিদ্ধান্ত নিলেন ১০ জমিদারের কাছে তিনি ধার হিসেবে চেয়ে নেবেন। বৈঠকও করেন অনেকের সঙ্গে। কেউ কেউ অঙ্গীকারও করেছেন, ১০ হাজার করে দেওয়ার। ডগলাসও সবাইকে জানিয়ে দেন সরকারি বরাদ্দ এলেই অর্থ ফেরত দেবেন। এভাবে বৈঠকের শেষ পর্যায়ে তিনি গেলেন পশ্চিমগাঁওয়ের নারী জমিদার ফয়জুন্নেসার কাছে। এই মুসলিম মহীয়সী নারী জমিদারের অনেক গল্প তিনি শুনেছেন। তার উদারতার কথাও জানেন। কিন্তু কখনো সামনা-সামনি কথা হয়নি। ডগলাস সাহেব গেলেন পশ্চিমগাঁও। কাছারি বাড়িতে খাওয়া-দাওয়ার এলাহি আয়োজন। বিদায়ের আগে কথা বলার সুযোগ হলো জমিদারের সঙ্গে। অন্দরে পর্দার আড়ালে ছিলেন ফয়জুন্নেসা। আর বাইরে ত্রিপুরার জেলা ম্যাজিস্ট্রেট। বিনয়ের সঙ্গে তিনি জানালেন, সড়ক ও শিক্ষা খাতের উন্নয়নে এক লাখ টাকার সংকটে আছেন। অন্য জমিদাররা কথা দিয়েছেন ১০ হাজার করে টাকা দেবেন। ফয়জুন্নেসা ১০ হাজার দিলেই হবে। আগেই চিঠি পাঠানোর কথাও জানান ম্যাজিস্ট্রেট। সময়মতো এই অর্থ শোধের কথাও বলেন। ফয়জুন্নেসা আবারও শুনতে চান টাকাটা কোন কোন খাতে ব্যয় হবে, কীভাবে ব্যয় হবে। ডগলাস তার পরিকল্পনা তুলে ধরলেন। সব শুনলেন জমিদার। তারপর বললেন, আপনার পরিকল্পনা ভালো। কিন্তু সমস্যা অন্যখানে। ডগলাস চিন্তায় পড়লেন, খারাপ কিছু বলেননি তো? বিনয় নিয়ে ডগলাস আবার বললেন, আমি জানি আপনি প্রজাদের উন্নয়নে অনেক কাজ করেন। আপনার কাজের সুনাম এখন ভারতজুড়ে। তাই আমি এই প্রস্তাব দিয়েছি। ফয়জুন্নেসা বললেন, প্রস্তাবে সমস্যা নেই। আমার দিতেও সমস্যা নেই। একজন জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের আমার বাড়িতে আসার কথা না। আপনার প্রয়োজন আছে বলেই এলেন। আপনার তো এক লাখ টাকা হলেই চলবে? জবাবে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বললেন, চলবে। ফয়জুন্নেসা এবার বললেন, প্রয়োজনের পুরো টাকাটা আমি দিলে কেমন হয়? হতবাক হয়ে গেলেন ডগলাস! কী শুনছেন তিনি! এমনও হয় নাকি? তারপর বললেন, পুরোটা আপনি দিলে তো খুব ভালো হয়। আমি চেষ্টা করব দ্রুত শোধ করতে। জবাবে পশ্চিমগাঁওয়ের জমিদার আবার বললেন, ফয়জুন্নেসা দান হিসেবে টাকা দেয়, কর্জ হিসেবে না। ফয়জুন্নেসা তাৎক্ষণিক খাজান্সিকে ডাকলেন। বললেন, এক তোড়া টাকা থেকে পুরো এক লাখ গুনে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে দিয়ে দেওয়ার জন্য।
বিস্ময়ে হতবাক ইংরেজ কর্মকর্তা। তার চাকরি জীবনে এমন ঘটনা ঘটেনি। তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন পুরো ঘটনা জানাবেন মহারানী ভিক্টোরিয়াকে। ডগলাস নিয়ম মেনে সব কিছু জানালেন রানীকে। রাজ পরিষদ সিদ্ধান্ত নেয়, ভূপালের দৃষ্টান্তে ফয়জুন্নেসাকেও ‘বেগম’ খেতাব দেওয়া হবে। জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মহাআনন্দে এ খবর জানালেন ফয়জুন্নেসাকে। কিন্তু ফয়জুন্নেসা তো খেতাবের জন্য কাজ করেন না। এই খেতাবের জবাবে বিনয় ও দৃঢ়তা নিয়ে তিনি লেখেন, আমি প্রজাদের কাছে বেগম সাহেবা হিসেবেই খ্যাত। তারা আমাকে বেগম সাহেবা বলেই ডেকে থাকেন। তাই নতুন করে এই উপাধি আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহণ করার কিছু নেই। আপনাদের ধন্যবাদ। দুনিয়াজুড়ে তখন ব্রিটিশ শাসন। বলা হতো ব্রিটিশ সাম্রাজ্যে কখনো সূর্য অস্ত যায় না। সেই ব্রিটিশ রানীর দেওয়া সম্মাননা প্রস্তাব কেউ প্রত্যাখ্যান করতে পারে? ফয়জুন্নেসার বক্তব্য নিয়ে হৈচৈ পড়ে যায়। বিস্মিত হয় ব্রিটিশ রাজদরবার। মুগ্ধ হলেন রানী নিজেও, ভারতবর্ষে এমন ব্যক্তিত্বের নারীও আছেন! নির্দেশ দেন সর্বোচ্চ খেতাব প্রদানের। রানীর নির্দেশে ফয়জুন্নেসাকে দেওয়া হয়, নবাব খেতাব। ভারতে কোনো নারী এই খেতাব প্রথম পেলেন। এর আগে বেশ কয়েকজন রাজা-মহারাজা এই খেতাব পেয়েছিলেন। ফয়জুন্নেসার এই খেতাবে ভারতজুড়েই হৈচৈ পড়ে যায়। অনেকে ভাবতেও পারেননি এমনভাবে ত্রিপুরা অঞ্চলের অজপাড়াগাঁওয়ের একজন নারী জমিদার নওয়াব খেতাব পাবেন। এই খেতাব পেয়ে নওয়াব ফয়জুন্নেসার মাঝে কোনো অহমিকা তৈরি হয়নি। বরং প্রজাহিতকর কাজ তিনি বাড়িয়ে দেন। তিনি নতুন করে শুরু করেন নারীর ক্ষমতায়ন, উন্নয়ন, শিক্ষার বিকাশ ও জনহিতকর কাজ। তার কর্মপরিধি শুধু কুমিল্লা শহর বা ত্রিপুরায় সীমিত রাখলেন না। তিনি ঢাকা ও কলকাতা, মেদেনীপুরে ব্যাপক পরিসরে কাজ করেন। এমনকি তার কাজের বিস্তৃতি মক্কা নগরীতেও আমরা দেখতে পাই।
এই যুগের নারী সমাজের অনেকেই ফয়জুন্নেসার আত্মজীবনী সেভাবে জানেন না। আঠারো শতকের একজন নারী নিজেই নিজেকে বিকশিত করেন দেশজুড়ে। পড়াশোনা করেন বাড়িতে বসে। তিনি একসঙ্গে বাংলা, ফারসি, উর্দুসহ কয়েকটি ভাষায় লিখতে ও বলতে পারতেন। তার লেখনীর ক্ষমতা ছিল শক্তিশালী। তার লেখা রুপজালাল পড়ে মুগ্ধ হতে হয়। ফয়জুন্নেসার জন্মতারিখ-সাল নিয়ে বিভিন্ন গবেষকের ভিন্নমত রয়েছে। তবে বেশিরভাগ গবেষক জন্মের সাল লিখেছেন ১৮৩৪ সাল। বাবা ছিলেন জমিদার আহমেদ আলী চৌধুরী। মায়ের নাম আরফানুননেসা। ফয়জুন্নেসারা ছিলেন দুই ভাই, দুই বোন। ভাইদের ভীষণ আদরের ছিলেন বোন ফয়জুন। তার বিয়ে নিয়েও সেই যুগে অনেক কিছু ঘটে যায়। অল্প বয়সেই বিয়ের প্রস্তাব আসে ভাউকসারের জমিদার গাজী চৌধুরীর কাছ থেকে। পশ্চিমগাঁওতে জমিদারির কাজে এসে তিনি ফয়জুনকে দেখে পছন্দ করেন। সেই প্রস্তাব নাকচ হয় ফয়জুনের পরিবারের কাছ থেকে। গাজী চৌধুরী অনেক দিন অপেক্ষা করে ব্যর্থ হয়ে ফিরে যান। তিনি ক্ষুব্ধ ব্যথিত মনেই বিয়ে করেন অন্যখানে। এদিকে হঠাৎ করেই মারা যান ফয়জুনের বাবা আহমেদ আলী চৌধুরী। তার মৃত্যুতে পরিবারে সংকট তৈরি হয়। এ সময়ে আবারও বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে আসেন গাজী চৌধুরী। তখন একজন জমিদারের একাধিক বিয়ে করা কোনো বিষয় ছিল না। আর বিয়ের পর গাজী চৌধুরীর তখনো কোনো সন্তান হয়নি। তাই ফয়জুন্নেসার মা আরফানুননেসার কাছে বিয়ের প্রস্তাব আসার পর তিনি এ বিষয়ে মেয়ের মত চান। ফয়জুন প্রথমে সম্মত ছিলেন না। পরে পরিবারের কথা বিবেচনায় নিয়ে মত দেন। সেই যুগে এভাবে মত নিয়ে বিয়ের বিষয়ও নজিরবিহীন। তবে এই সময়ে ফয়জুনের ভাইয়েরা বলে দেন, তাদের বোন সতীনের ঘরে যাবে না। রাখতে হবে পশ্চিমগাঁওতে। এই কারণে বিয়ের দীর্ঘদিন পরও ফয়জুন শ্বশুরবাড়ি যাননি। পরে গিয়েও বেশি দিন থাকেননি। ফিরে আসেন। এসেই স্বামীকে জানিয়ে দেন, তিনি আর যাবেন না। সতীনের সঙ্গে ঘর করার জন্য জন্ম হয়নি তার। এই নিয়ে দীর্ঘ বিরোধের জের মামলা পর্যন্ত গড়ায়। মামলায় ফয়জুন্নেসার জয় হয়। স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ, ফিরে আসাসহ এক ধরনের জটিল পরিবেশেই ফয়জুন্নেসা দায়িত্ব নেন, জমিদারির। এ নিয়ে তার কোনো অভিজ্ঞতা ছিল না। কিন্তু এক সময় বাবার সান্নিধ্যে কাজ শেখা তার মাঝে অভিজ্ঞতা গড়ে তোলে। তিনি সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগান সফলভাবে। দেশ-বিদেশে অবস্থান গড়ে তোলেন। দৃষ্টান্ত রাখেন সফলভাবে জমিদারি চালানোর।
শিক্ষা, সংস্কৃতি ও সাহিত্যের বিকাশে সেই যুগে ফয়জুন্নেসার বিস্ময়কর অবদান ছিল। বিশেষ করে নারী শিক্ষার প্রসার, কল্যাণকর কাজে তার ভূমিকা প্রশংসিত। ১৮৭৩ সালে কুমিল্লা শহরে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন ফয়জুন্নেসা উচ্চ ইংরেজি বালিকা বিদ্যালয়। সেই যুগে মুসলমান ছেলেরাই ইংরেজি পড়ার কথা ভাবত না। আর নারীদের ইংরেজি শেখাতে স্কুল করেন ফয়জুন্নেসা। তিনি মেয়েদের থাকার জন্য হোস্টেল ও গরিব মেধাবীদের জন্য বৃত্তির ব্যবস্থা করেন। এই সময়ে কুমিল্লা শহর, লাকসামসহ বিভিন্ন অঞ্চলে ব্যাপকভাবে প্রাথমিক স্কুল তৈরি করেন। তার জমিদারির ১৪টি মৌজাতেই প্রাথমিক স্কুলের পাশাপাশি পুকুর ও দিঘি কেটে পানির ব্যবস্থা করেন। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ব্যয় জমিদারির এস্টেট বহন করত। ফয়জুন্নেসা পশ্চিমগাঁওতে একটি মাদ্রাসা স্থাপন করেন। পরবর্তীতে এই মাদ্রাসাই কলেজে রূপান্তরিত হয়। তিনি মক্কা নগরীতে হজ করতে গিয়ে দেখেন মেয়েদের অজু করার সমস্যা। তিনি সেখানে মেয়েদের অজুর জন্য আলাদাভাবে স্থাপনা নির্মাণ করেন। তিনি মক্কা নগরীতে মাদ্রাসা স্থাপন করেন শিক্ষার বিকাশে। মানুষের থাকার জন্য নির্মাণ করেন মুসাফিরখানা। ফয়জুন্নেসা যেখানে যেতেন সেখানেই কাজ করতেন। তার সামনে থাকত মানুষ। বিশেষ করে নারী কল্যাণে সেই যুগে তার ভূমিকার কোনো তুলনা নেই। কুমিল্লা শহরে তিনি মেয়েদের জন্য আলাদা হাসপাতাল করেন। কারণ তখন মেয়েদের চিকিৎসা হতো না ঠিকভাবে। তারা ছিল সব কিছুতে অবহেলিত-বঞ্চিত। তাই মেয়েদের জন্য কাজ করেন দৃষ্টান্তমূলকভাবে।
শিল্প-সংস্কৃতির বিকাশেও তার অপরিসীম ভূমিকা ছিল। রুপজালাল প্রকাশ করে তিনি সাড়া ফেলে দেন। তখনকার পত্রপত্রিকায় এ বইয়ের বিষয়ে লেখালেখি হয়, আলোচনা হয়। কলকাতার ঠাকুর পরিবারের মেয়েদের সঙ্গে ফয়জুন্নেসার সম্পর্কের বিষয়টি বেরিয়ে এসেছে অনেক গবেষকের লেখনীতে। ঠাকুর পরিবারের মেয়েদের সখি সমিতির অনুদানের তালিকায় লেখা আছে, নবাব সাহেবা ফয়জুন্নেসা চৌধুরী ত্রিপুরা ২০০ টাকা। স্বর্ণকুমারী দেবী এই সমিতি প্রতিষ্ঠা করেন ১৮৮৬ সালে। এই সমিতির সদস্য তালিকায় ফয়জুন্নেসার নাম যুক্ত হয়। সেই সময়ে কলকাতা ও ত্রিপুরা থেকে প্রকাশিত পত্রপত্রিকা ও সাময়িকীর পৃষ্ঠপোষকতায় আমরা তার নাম পাই। ঢাকা থেকে প্রকাশিত বান্ধব পত্রিকায় তার রুপজালাল বইয়ের বিজ্ঞাপন নিয়মিত প্রকাশিত হতো। যা পত্রিকাটিকে টিকে থাকতে বড় ভূমিকা রাখে। ফয়জুন্নেসা নারী কল্যাণের প্রথম অগ্রপথিক। কিন্তু যেভাবে কাজ করেছেন তা উঠে আসেনি এখনো। বেশ কয়েকজন গবেষক তার ওপর কাজ করেছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক পিএইচডি করেছেন। তারপরও ফয়জুন্নেসাকে নিয়ে আরও গবেষণা দরকার। এই যুগের নারী অধিকার ও কল্যাণে কাজ করা নারীরা তার জীবনী থেকে অনেক কিছু নিতে পারেন। তার আত্মজীবনী পাঠ্যবইতে আনা প্রয়োজন। মানুষকে জানতে হবে একজন ফয়জুন্নেসা সম্পর্কে।
নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে এই যুগে এই সময়ে অনেক কথা বলা যাবে। বক্তৃতা, বিবৃতির ফোয়ারা বইয়ে দেওয়া যাবে। কিন্তু ফয়জুন্নেসা যখন শুরু করেছিলেন তখনকার সমাজের কথা একটাবার চিন্তা করুন। তখন ভাইদের পিছনে ফেলে ক্ষমতা নেওয়া এত সহজ ছিল না। অথচ পাড়াগাঁওয়ের একজন নারী সব অসম্ভবকে সম্ভব করেছিলেন। তিনি নারীর ক্ষমতায়নকে অনেক উচ্চতায় নিয়ে গিয়ে কাজ করেছেন নারী কল্যাণে। নিজের ব্যক্তিত্ব তুলে ধরেছেন ব্রিটিশ রাজদরবারে। দেশেও জীবন সংগ্রামে লড়েছেন। একজন বড় জমিদারের স্ত্রী হিসেবে জীবন কাটিয়ে দিতে পারতেন। আরাম-আয়েশে জীবন কাটাতে পারতেন। করেননি। নিজের জমিদারি নিয়ে কাজ করেছেন জনহিতকর কাজে। বিস্মিত হই যখন দেখি আঠারো শতকে কুমিল্লায় নারীদের জন্য ইংরেজি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়েছেন। ফয়জুন্নেসা তখনই দেখেছেন মেয়েদের ইংরেজি শিক্ষায় না আনলে তারা বিশ্ব জয় করতে পারবে না। নিজের চিন্তা শক্তিকে কাজে লাগিয়েছেন, মানুষের জন্য, নারীর জন্য। এই প্রজন্মকে জানতে হবে ফয়জুন্নেসাকে। তার আত্মজীবনী স্কুল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াতে হবে। তাহলে এখনকার মেয়েরা আগামীকে জয় করার স্বপ্ন দেখবে, স্বপ্নকে জয় করবে।
লেখক : সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রতিদিন।