বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে পাঠাগারের বিকল্প নেই- ইউএনও শুভাশিস ঘোষ

নিজস্ব প্রতিবেদক :

গতকাল আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ও মহান শহীদ দিবস-২০২১ উপলক্ষে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার সাওড়াতলী গ্রামে পাঠাগার কক্ষে অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক পাঠাগার ও বিজ্ঞান ক্লাব এবং বিদ্যাসাগর উন্মুক্ত পাঠাগার এর যৌথ আয়োজনে এক পুরষ্কার বিতরণী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এতে পাঠাগারটি প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি পাঠাগার আন্দোলন বাংলাদেশ এর ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান মোঃ ইমাম হোসাইন এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শুভাশিস ঘোষ।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা যুব মহিলা লীগের আহ্বায়ক নাছিমা আক্তার পুতুল, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আবু তাহের মেম্বার, উপজেলা আওয়ামী লীগের কৃষি সম্পাদক কামাল হক, আলোর ভুবন পাঠাগারের সাধারণ সম্পাদক মীর হোসেন, অমর একুশে পাঠাগার এর সভাপতি মোরশেদ আলম, জামাল হক স্মৃতি পাঠাগার ও ক্রীড়া ক্লাব এর সভাপতি জহিরুল হক ও সেক্রেটারি ওমর ফারুক সানিসহ স্থানীয় এলাকার আরো অনেক গণ্য মান্য ব্যক্তিবর্গ।

অনুষ্ঠানের শুরুতে অতিথিগণ ডাক টিকিট প্রদর্শনী, মুদ্রা শালা প্রদর্শনী, কলম প্রদর্শনী, মুক্তিযুদ্ধের আর্কাইভস প্রদর্শনীসহ আরো বিভিন্ন প্রদর্শনী পরিদর্শন করেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন “গ্রাম বাংলায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে হলে পাঠাগারের বিকল্প নেই। মানুষ তার সৃজনশীলতার বিকাশ ঘটাতে পারে বই পড়ে। আমি ছাত্র অবস্থা থেকে সবসময়ই বইয়ের সাথে আত্মার সম্পর্ক গড়তে এগিয়ে ছিলাম। আমার নিজ জন্মের স্থানেও একটি গুরুত্বপূর্ণ পাঠাগার আছে। যেখানে নেতাজি সুভাষ বসুরও পা পড়েছিল।

পাঠাগার আন্দোলন বাংলাদেশ এর সভাপতি মোঃ ইমাম হোসাইন এর প্রস্তাব মতে, আমি চাই আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলায় ১০০ টি পাঠাগার গড়ে উঠবে। আমরা উপজেলা প্রশাসন থেকে সবধরনের সহযোগিতা নিয়ে থাকবো। তবে সদ্য প্রয়াত বারপাড়া গ্রামের ভাষাসৈনিক এর নামে প্রথম পাঠাগার স্থাপন হউক। তারপর পর্যায়ক্রমে গ্রামভিত্তিক বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নামে পাঠাগার হবে । এটি বড় একটি বিপ্লব সৃষ্টি করবে।

পাঠাগার আন্দোলন বাংলাদেশ এই আঁতুড়ঘর টিকে যেন না ভাঙা হয় এবং এটি যেন বাঁচিয়ে রাখা যায় সে বিষয়ে আপনারা কাজ করবেন আশা করি কেননা এই থেকেই সমগ্র দেশে এই আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ছে সুতরাং এই মাটির ঘরটি সকলের কাছে একটি প্রেরণা হয়ে থাকবে। প্রয়োজনে উপজেলা প্রশাসন থেকে এর সংস্কারে আমরা এর পাশে থাকবো।

এই অঞ্চল টি সীমান্ত ঘেঁষা হওয়ায় এখানে যে সমস্যা টি সেটি নিরসনে প্রশাসন আরো বেশি গুরুত্ব দিয়ে কাজ করবেন। তবে এলাকাবাসীর সহযোগিতা প্রয়োজন। আপনার দাবির প্রেক্ষিতে আপনাদের গ্রামের কিছু অবকাঠামো উন্নয়ন কাজ অচিরেই বাস্তবায়ন হবে। ”

অনুষ্ঠানে পাঠাগারের দরিদ্র পাঠকদের মাঝে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ত্রাণ তহবিল থেকে প্রাপ্ত কম্বল বিতরণ করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শুভাশিস ঘোষ। কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার ৫ টি পাঠাগার কে শ্রেষ্ঠ সংগঠন হিসেবে সম্মাননা প্রদান করা হয়।

সবশেষে অনুষ্ঠানের সভাপতি পাঠাগার আন্দোলন বাংলাদেশ এর উদ্যোক্তা মোঃ ইমাম হোসাইন এর মা’কে উত্তরীয় পরিয়ে রত্নাগর্ভা মা হিসেবে সম্মাননা দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান।

     আরো পড়ুন....

পুরাতন খবরঃ

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০  
error: ধন্যবাদ!