১১:৩৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ অক্টোবর ২০২৫, ২৬ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
পিস্তল নিয়ে গ্রেফতার হওয়া রাসেল সদর দক্ষিণ উপজেলা যুবদলের কেউ নয়- সায়েম মজুমদার  নাঙ্গলকোটে মহিলাদল আদ্রা উওর ইউনিয়ন কমিটি গঠন করার লক্ষে মহিলা সমাবেশ অনুষ্ঠিত কুমিল্লায় সুদের টাকা আদায়ে বৃদ্ধকে খুঁটিতে বেঁধে নির্যাতন কুমিল্লায় ৭ বছরের শিশুকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ, পুলিশ হেফাজতে কিশোর কুমিল্লায় চাঁদাবাজবিরোধী অভিযানে হামলা, আহত ৩ পুলিশ সদস্য ইউসুফ মোল্লা টিপুকে নিয়ে আপত্তিকর বক্তব্যের প্রতিবাদে যৌথ বিবৃতি কুমিল্লায় যুবককে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন, ভিডিও ভাইরাল কুমিল্লা সদর দক্ষিণে পিস্তলসহ যুবদল কর্মী আটক দুর্গাপূজায় ৯ দিনের ছুটিতে যাচ্ছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় হানিফ ফ্লাইওভারে বাস-সিএনজি সংঘর্ষ, নিহত ২

বুড়িচংয়ে সেফটি ট্যাংকি থেকে শিশুর লাশ উদ্ধারের ঘটনায় আদালতে দুই আসামীর স্বীকারোক্তি

  • তারিখ : ১১:৫৩:১০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ মে ২০২১
  • / 613

মো.জাকির হোসেন

কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার ভারেল্লা গ্রামে মাদ্রাসার সেফটি ট্যাংকি থেকে লাশ উদ্ধারের ঘটনায় গ্রেফতারকৃত দুই আসামী হত্যার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে।

রোববার দুপুরে কুমিল্লা জৈষ্ঠ্য আমলী-২ আদালতের বিচারক ফারহানা সুলতানা এর আদালতে আসামীদের হাজির করলে হত্যার ঘটনা বর্ননা দিয়ে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়। এসময় আসামীদের কুমিল্লা জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেয় বিচারক।

এর আগে গত শনিবার সকাল সাড়ে ১০ টায় বুড়িচং উপজেলার ভারেল্লা শাহ ইসরাফিল কামিল মাদ্রাসার সেফটি ট্যাংকি থেকে শিশু মিমের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। লাশ উদ্ধারের পরপরই পুলিশ অভিযান চালিয়ে মাদ্রাসার দফতরী একই এলাকার আবদুল মবিনের ছেলে মোঃ কাইয়ূম (১৬) ও পাশর্^বর্তী উচ্চ বিদ্যায়ের ঝাড়–দার ময়নাল হোসেন (৩২) আটক করে।

দেবপুর পুলিশ ফাঁড়ীর উপ-পরিদর্শক (এস আই) কামাল হোসেন জানান, আদালতে গ্রেফতারকৃত আসামীরা জানান, ভারেল্লা শাহ ইসরাফিল কামিল মাদ্রাসার দফতরী কাইয়ূমের সাথে নিহত শিশুটির পরিবারের পূর্ব বিরোধ ছিলো। ওই বিরোধকে কেন্দ্র করে কাইয়ূম ঝাড়–দার ময়নাল হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে মাদ্রাসার একটি কক্ষে শিশুটিকে হত্যা করে লাশ সেফটি ট্যাংকে ফেলে দেয়।

উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার বাড়ীর অদূরে মোবাইল কার্ডের জন্য বাজারে গিয়ে নিখোজ হয় ওই এলাকার শরীফ উদ্দিনের মেয়ে মিম আক্তার (৭)। পরদিন শিশুটির চাচা মোঃ বশির বুড়িচং থানায় একটি নিখোজ ডায়েরি করে।

শনিবার সকাল সাড়ে ১০ টায় ভারেল্লা শাহ ইসরাফিল কামিল মাদ্রাসার দফতরী মোঃ কাইয়ুম মাদ্রাসার সেফটি ট্যাংক থেকে শিশুটির বস্তাবন্দি মরদেহ তুলে। পরে স্থানীয় লোকজন পুলিশকে খবর দিলে বুড়িচং থানা ও দেবপুর ফাঁড়ী পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পুলিশ এসময় কাইয়ূমকে আটক করে।

শনিবার রাতে শিশুটির মা পারভিন আক্তার বাদী হয়ে বুড়িচং থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।

দেবপুর পুলিশ ফাঁড়ীর ইনচার্জ পরিদর্শক আবদুল্লা আল মামুন জানান, শিশুটিকে হত্যার পূর্বে ধর্ষন করা হয়েছে কিনা তা নির্ণয়ের জন্য আলামত ও ডি.এন.এ সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য সিআইডির ফরেন্সিক ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। ইতোমধ্যে দুই আসামী হত্যার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে। ঘটনার সাথে অন্য কেউ জড়িত আছে কিনা পুলিশ তা খতিয়ে দেখছে।

শেয়ার করুন

বুড়িচংয়ে সেফটি ট্যাংকি থেকে শিশুর লাশ উদ্ধারের ঘটনায় আদালতে দুই আসামীর স্বীকারোক্তি

তারিখ : ১১:৫৩:১০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ মে ২০২১

মো.জাকির হোসেন

কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার ভারেল্লা গ্রামে মাদ্রাসার সেফটি ট্যাংকি থেকে লাশ উদ্ধারের ঘটনায় গ্রেফতারকৃত দুই আসামী হত্যার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে।

রোববার দুপুরে কুমিল্লা জৈষ্ঠ্য আমলী-২ আদালতের বিচারক ফারহানা সুলতানা এর আদালতে আসামীদের হাজির করলে হত্যার ঘটনা বর্ননা দিয়ে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়। এসময় আসামীদের কুমিল্লা জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেয় বিচারক।

এর আগে গত শনিবার সকাল সাড়ে ১০ টায় বুড়িচং উপজেলার ভারেল্লা শাহ ইসরাফিল কামিল মাদ্রাসার সেফটি ট্যাংকি থেকে শিশু মিমের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। লাশ উদ্ধারের পরপরই পুলিশ অভিযান চালিয়ে মাদ্রাসার দফতরী একই এলাকার আবদুল মবিনের ছেলে মোঃ কাইয়ূম (১৬) ও পাশর্^বর্তী উচ্চ বিদ্যায়ের ঝাড়–দার ময়নাল হোসেন (৩২) আটক করে।

দেবপুর পুলিশ ফাঁড়ীর উপ-পরিদর্শক (এস আই) কামাল হোসেন জানান, আদালতে গ্রেফতারকৃত আসামীরা জানান, ভারেল্লা শাহ ইসরাফিল কামিল মাদ্রাসার দফতরী কাইয়ূমের সাথে নিহত শিশুটির পরিবারের পূর্ব বিরোধ ছিলো। ওই বিরোধকে কেন্দ্র করে কাইয়ূম ঝাড়–দার ময়নাল হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে মাদ্রাসার একটি কক্ষে শিশুটিকে হত্যা করে লাশ সেফটি ট্যাংকে ফেলে দেয়।

উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার বাড়ীর অদূরে মোবাইল কার্ডের জন্য বাজারে গিয়ে নিখোজ হয় ওই এলাকার শরীফ উদ্দিনের মেয়ে মিম আক্তার (৭)। পরদিন শিশুটির চাচা মোঃ বশির বুড়িচং থানায় একটি নিখোজ ডায়েরি করে।

শনিবার সকাল সাড়ে ১০ টায় ভারেল্লা শাহ ইসরাফিল কামিল মাদ্রাসার দফতরী মোঃ কাইয়ুম মাদ্রাসার সেফটি ট্যাংক থেকে শিশুটির বস্তাবন্দি মরদেহ তুলে। পরে স্থানীয় লোকজন পুলিশকে খবর দিলে বুড়িচং থানা ও দেবপুর ফাঁড়ী পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পুলিশ এসময় কাইয়ূমকে আটক করে।

শনিবার রাতে শিশুটির মা পারভিন আক্তার বাদী হয়ে বুড়িচং থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।

দেবপুর পুলিশ ফাঁড়ীর ইনচার্জ পরিদর্শক আবদুল্লা আল মামুন জানান, শিশুটিকে হত্যার পূর্বে ধর্ষন করা হয়েছে কিনা তা নির্ণয়ের জন্য আলামত ও ডি.এন.এ সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য সিআইডির ফরেন্সিক ল্যাবে পাঠানো হয়েছে। ইতোমধ্যে দুই আসামী হত্যার কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছে। ঘটনার সাথে অন্য কেউ জড়িত আছে কিনা পুলিশ তা খতিয়ে দেখছে।