মাজহারুল ইসলাম বাপ্পি ।।

কুমিল্লার বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা ও স্বাধীন বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনের সংসদ সদস্য মরহুম অধ্যক্ষ আবুল কালাম মজুমদারের ২৮তম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে সোমবার সকালে কুমিল্লার লালমাই উপজেলার বাগমারা মহিলা কলেজ সংলগ্ন তাঁর কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করে আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

এ সময় ঝলক পরিষদ সহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ মরহুম অধ্যক্ষ আবুল কালাম মজুমদারের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায়। মরহুম অধ্যক্ষ আবুল কালাম মজুমদার এর ২৮ তম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে কুরআন খতম,মিলাদ, দোয়া ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।

দোয়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মফিজুর রহমান বাবলু ,দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও সদর দক্ষিণ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান গোলাম সারওয়ার, লালমাই উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক বিকম, জেলা পরিষদ সদস্য ও সদর দক্ষিণ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী আব্দুর রহিম, অর্থমন্ত্রীর পিও মোঃ মিজানুর রহমান, লালমাই উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আব্দুল মতিন মোল্লা, সাংগঠনিক সম্পাদক আয়াত উল্লা, সদর দক্ষিণ উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা রুহুল আমিন চৌধুরী, ডাঃ আমিনুল ইসলাম, হাজী আব্দুল মমিন,গলিয়ারা উত্তর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হান্নান মজুমদার, যুবলীগ নেতা আনাস মেম্বার, খায়রুল বাশারসহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

শ্রদ্ধা জানাতে আসা নেতাকর্মীরা বলেন, মরহুম অধ্যক্ষ আবুল কালাম মজুমদারের রাজনৈতিক আদর্শের পথ ধরেই কুমিল্লার আওয়ামীলীগের রাজনীতি প্রতিষ্ঠিত।

তিনি সব সময় কুমিল্লার সাধারণ মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করেছেন। বিশেষ করে দক্ষিণ কুমিল্লার রাজনীতি ও শিক্ষার প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠায় তাঁর ভূমিকা ছিল অপরিসীম। তাঁর এ অবদান কখনো ভুলার মত নয়। কর্মের ফলে মরহুম অধ্যক্ষ আবুল কালাম মজুমদার কুমিল্লা মানুষের মাঝে বেঁচে থাকবেন অনন্তকাল।

বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ আবুল কালাম মজুমদার মাত্র ঊনপঞ্চাশ বছরের জীবনে শিক্ষা,সামাজিক ও রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক সাড়া ফেলেছেন। ছাত্র জীবনে কৃতিত্বের সাথে নাম লিখালেন জাতীয় মেধা তালিকায় প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি বিভাগে পড়াশোনা শেষ করে শিক্ষকতার মহান পেশায় যোগদান করেন। অবহেলিত দক্ষিণ কুমিল্লার জনপদে শিক্ষার আলো ছড়াতে গড়ে তুলেছেন অনেকগুলো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। মাটি ও মানুষের অর্থ-সামাজিক উন্নয়নে রাজনীতিতে মনোনিবেশ করলেন। মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত অন্যের জীবন বিলীন করে দেয়।