০৩:২০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৭ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
হানিফ ফ্লাইওভারে বাস-সিএনজি সংঘর্ষ, নিহত ২ লালমাইয়ে বিয়ের নাম ভাঙ্গিয়ে মারধর ও লুটপাটের ঘটনায় থানায় মামলা কুমিল্লা সদর দক্ষিণের ব্যবসায়ী দুলালকেখুন্তি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা ভাড়াটিয়া সুমি কুমিল্লার বেলতলীতে পিকআপ চাপায় পথচারী নিহত বিতর্কের মুখে সংসদের নির্বাচনী এলাকা সীমানা নির্ধারণ কারিগরি কমিটি কুমিল্লা সদর দক্ষিণে জুলাই পুনর্জাগরণে সমাজ গঠনে শপথ গ্রহন অনুষ্ঠান অপরাধী যে দলেরই হোক, কোনো ছাড় নেই- ওসি মোহাম্মদ সেলিম কুমিল্লা সদর দক্ষিণে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবসে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ ইয়ংস্টার সোশ্যাল অর্গানাইজেশন এর সদর দক্ষিন উপজেলার কমিটি গঠন নতুন পুরাতন বুঝি না,ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে-ডা. শফিকুর রহমান

মাদকাসক্ত মেয়ের হাতে মা খুন

  • তারিখ : ১১:২৩:৩০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২১
  • / 433

বাঞ্ছারামপুর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি :

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার দশানী গ্রামে মাদকাসক্ত মেয়েকে মাদক সেবনের টাকা না দেওয়ায় কাঁচি দিয়ে আপন মাকে খুন করল মেয়ে। রবিবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৬টার দিক উপজেলার আইয়ুব পুর ইউনিয়নের দশানী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, নিহত রহিমা বেগম (৫০) এর কাছে তার বড় মেয়ে পাপিয়া (২৭) মাদক সেবনের জন্য টাকা চায়। টাকা না দেয়ায় মা ও মেয়ের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হলে একপর্যায়ে পাপিয়া ক্ষিপ্ত হয়ে তার মাকে কাঁচি দিয়ে পেটে আঘাত করে। পরে তাকে ঘটনা স্থল থেকেই প্রতিবেশিরা গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে দশানী বাজারে বাবুল মিয়ার ফার্মেসিতে নেওয়া হয়।

পরে বাঞ্ছারামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করে। এ ঘটনায় ঘাতক মেয়ে পাপিয়া বেগমকে (২৭) আটক করেছে বাঞ্ছারামপুর মডেল থানা পুলিশ।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, নিহত রহিমা বেগম দশানী গ্রামের করিম মিয়ার মেয়ে। তার বিয়ে হয় আখাউড়া উপজেলার দেবগ্রামের বাবুল মিয়ার সঙ্গে। বিয়ের পর থেকে স্বামীসহ বাবার বাড়িতে বসবাস করছিলেন তিনি। তাদের দুই মেয়ে পাপিয়া ও পপি। বড় মেয়ে পাপিয়া বেগম (২৭) প্রথম স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর দুই বছর আগে আইয়ুবপুর গ্রামের ইসহাক মিয়া নামের এক যুবককে বিয়ে করেন। কিন্তু ইসহাক মিয়ার পরিবার এই বিয়ে মেনে না নেওয়ায় তিনিও পাপিয়ার বাবার বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। পাপিয়া মাদকাসক্ত ছিলেন। মাদকের টাকার জন্য পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে প্রায়ই কলহ লেগেই থাকতো পাপিয়ার। তার স্বামী ইসহাকও মাদকাসক্ত।

নিহত রহিমা বেগমের ছোট মেয়ে পপি বলেন, সকালে আমি ঘুমিয়ে ছিলাম। আম্মুর চিৎকারে গুম থেকে উঠে দেখি পাপিয়া মার পেটে কাঁচি ঢুকিয়ে দিয়েছে। এ সময় আমরা মাকে বাবুল ডাক্তারের দোকানে নিয়ে যাই। সেখানে ব্যান্ডেজ করে বাড়িতে নিয়ে আসলে তার অবস্থা খারাপ দেখে পরে আবার বাঞ্ছারামপুর হাসপাতালে নিয়ে গেলে মা মারা যায়।

বাঞ্ছারামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল কর্মকর্তা আতাউল করিম জানান, রহিমা বেগমকে হাসপাতালে আনার পর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখি তিনি আগেই মারা গেছেন।

বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার ওসি রাজু আহমেদ জানান, মেয়ের কেচির আঘাতে মা মারা-যাওয়ার খবর পেয়ে আমরা অভিযান চালিয়ে ঘাতক পাপিয়াকে আটক করেছি। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হবে। এখনো কোনো মামলা হয়নি। তবে এই পরিবারের অনেকেই মাদকসেবন করেন বলে শুনেছি।

শেয়ার করুন

মাদকাসক্ত মেয়ের হাতে মা খুন

তারিখ : ১১:২৩:৩০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২১

বাঞ্ছারামপুর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি :

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার দশানী গ্রামে মাদকাসক্ত মেয়েকে মাদক সেবনের টাকা না দেওয়ায় কাঁচি দিয়ে আপন মাকে খুন করল মেয়ে। রবিবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৬টার দিক উপজেলার আইয়ুব পুর ইউনিয়নের দশানী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, নিহত রহিমা বেগম (৫০) এর কাছে তার বড় মেয়ে পাপিয়া (২৭) মাদক সেবনের জন্য টাকা চায়। টাকা না দেয়ায় মা ও মেয়ের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হলে একপর্যায়ে পাপিয়া ক্ষিপ্ত হয়ে তার মাকে কাঁচি দিয়ে পেটে আঘাত করে। পরে তাকে ঘটনা স্থল থেকেই প্রতিবেশিরা গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে দশানী বাজারে বাবুল মিয়ার ফার্মেসিতে নেওয়া হয়।

পরে বাঞ্ছারামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করে। এ ঘটনায় ঘাতক মেয়ে পাপিয়া বেগমকে (২৭) আটক করেছে বাঞ্ছারামপুর মডেল থানা পুলিশ।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, নিহত রহিমা বেগম দশানী গ্রামের করিম মিয়ার মেয়ে। তার বিয়ে হয় আখাউড়া উপজেলার দেবগ্রামের বাবুল মিয়ার সঙ্গে। বিয়ের পর থেকে স্বামীসহ বাবার বাড়িতে বসবাস করছিলেন তিনি। তাদের দুই মেয়ে পাপিয়া ও পপি। বড় মেয়ে পাপিয়া বেগম (২৭) প্রথম স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর দুই বছর আগে আইয়ুবপুর গ্রামের ইসহাক মিয়া নামের এক যুবককে বিয়ে করেন। কিন্তু ইসহাক মিয়ার পরিবার এই বিয়ে মেনে না নেওয়ায় তিনিও পাপিয়ার বাবার বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। পাপিয়া মাদকাসক্ত ছিলেন। মাদকের টাকার জন্য পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে প্রায়ই কলহ লেগেই থাকতো পাপিয়ার। তার স্বামী ইসহাকও মাদকাসক্ত।

নিহত রহিমা বেগমের ছোট মেয়ে পপি বলেন, সকালে আমি ঘুমিয়ে ছিলাম। আম্মুর চিৎকারে গুম থেকে উঠে দেখি পাপিয়া মার পেটে কাঁচি ঢুকিয়ে দিয়েছে। এ সময় আমরা মাকে বাবুল ডাক্তারের দোকানে নিয়ে যাই। সেখানে ব্যান্ডেজ করে বাড়িতে নিয়ে আসলে তার অবস্থা খারাপ দেখে পরে আবার বাঞ্ছারামপুর হাসপাতালে নিয়ে গেলে মা মারা যায়।

বাঞ্ছারামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল কর্মকর্তা আতাউল করিম জানান, রহিমা বেগমকে হাসপাতালে আনার পর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখি তিনি আগেই মারা গেছেন।

বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার ওসি রাজু আহমেদ জানান, মেয়ের কেচির আঘাতে মা মারা-যাওয়ার খবর পেয়ে আমরা অভিযান চালিয়ে ঘাতক পাপিয়াকে আটক করেছি। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হবে। এখনো কোনো মামলা হয়নি। তবে এই পরিবারের অনেকেই মাদকসেবন করেন বলে শুনেছি।