০২:১৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৫, ৪ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কুমিল্লা সদর দক্ষিণের ব্যবসায়ী দুলালকেখুন্তি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা ভাড়াটিয়া সুমি কুমিল্লার বেলতলীতে পিকআপ চাপায় পথচারী নিহত বিতর্কের মুখে সংসদের নির্বাচনী এলাকা সীমানা নির্ধারণ কারিগরি কমিটি কুমিল্লা সদর দক্ষিণে জুলাই পুনর্জাগরণে সমাজ গঠনে শপথ গ্রহন অনুষ্ঠান অপরাধী যে দলেরই হোক, কোনো ছাড় নেই- ওসি মোহাম্মদ সেলিম কুমিল্লা সদর দক্ষিণে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবসে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ ইয়ংস্টার সোশ্যাল অর্গানাইজেশন এর সদর দক্ষিন উপজেলার কমিটি গঠন নতুন পুরাতন বুঝি না,ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে-ডা. শফিকুর রহমান ছয় দফা দাবিতে কুমিল্লা সদর দক্ষিণে স্বাস্থ্য সহকারীদের অবস্থান কর্মসূচি সাবেক সিইসি নূরুল হুদাকে হেনস্তা: স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা হানিফ গ্রেফতার

মেয়েকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় বাবাকে মাথায় তোলে আছাড় দিয়ে হত্যা,গ্রেফতার-২

  • তারিখ : ০৯:১৬:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২০
  • / 1196

নিজস্ব প্রতিবেদক।।।
মেয়েকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় শূন্যে তুলে আছাড় মেরে কৃষক বাবাকে হত্যা করেছেন ইউনিয়ন পরিষদের এক ওয়ার্ড মেম্বার। গতকাল শুক্রবার কুমিল্লার লালমাই উপজেলার বেলঘর উত্তর ইউনিয়নের ইছাপুরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।শনিবার ওই কৃষক ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বেলঘর উত্তর ইউনিয়নের ইছাপুরা গ্রামের কৃষক আমান উল্লাহর এসএসসি পরীক্ষার্থী মেয়েকে কিছুদিন ধরে উত্ত্যক্ত করে আসছিল বেলঘর উত্তরের ইউনিয়নের ওয়ার্ড মেম্বার দেলোয়ার হোসেন মজুমদারের ছোট ভাই কাঠমিস্ত্রী সোহরাব।
গত ১৬ এপ্রিল রাত ১১টায় দিকে সোহরাব আমান উল্যাহর বাড়িতে গিয়ে তার মেয়েকে ডাকাডাকি শুরু করে। এসময় আমান উল্যাহ ও তার ছেলেরা চোর চোর বলে চিৎকার দেয়। তাদের চিৎকার শুনে আশেপাশের বাড়ির লোকজন বেরিয়ে আসে।
খুঁজতে গিয়ে সবাই দেখে সোহরাব বাড়ির পাশের ধান খেতে শুয়ে আছে। এসময় তাকে ধরে উত্তমমধ্যম দেয়।
এখবর পেয়ে সোহরাবের ভাই দেলোয়ার মেম্বারের নেতৃত্বে ১০/১২জন রাত সাড়ে ১২টার দিকে আমান উল্যাহর বাড়িতে হামলা করে।
পরদিন ১৭ এপ্রিল দুপুরে গ্রামের গণ্যমান্যদের আমান উল্যাহ বিষয়টি জানায়। গ্রামবাসীকে জানানোর কারণে দুপুরে দেলোয়ার মেম্বারের নেতৃত্বে তার ভাইসহ কয়েকজন আমান উল্যাহকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে যায়।
ঘর থেকে বের করার সময় দেলোয়ার মেম্বার আমান উল্যাহকে শূন্যে তুলে মাটিতে আছাড় দেয়। এরপর সবাই মিলে তাকে মারধর করে রক্তাক্ত জখম করে ইছাপুরা গ্রামের শহীদের বাড়ির সংলগ্ন সড়কের পাশে ফেলে দেয়।
পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে প্রথমে কুমেক এবং পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করে। শনিবার কৃষক আমান উল্লাহ চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। এঘটনায় আমান উল্যাহর ছেলে আনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে ওই দিন বিকালে দেলোয়ার মেম্বারসহ এজাহারভুক্ত ৪জন ও অজ্ঞাতনামা ৭/৮জনের বিরুদ্ধে লালমাই থানায় মামলা দায়ের করেন।
শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় লালমাই থানা পুলিশ বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ইছাপুরা গ্রামের ফজর আলীর ছেলে তোফাজ্জল ও আজগর আলীর ছেলে রবিউলকে গ্রেফতার করে।
লালমাই থানার ওসি মোহাম্মদ আইয়ুব বলেন, নিহতের ছেলে আনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। আজ সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভিকটিমের মৃত্যুর খবর পেয়েছি। এ ঘটনায় দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ইউপি মেম্বার দেলোয়ারসহ বাকিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

শেয়ার করুন

মেয়েকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় বাবাকে মাথায় তোলে আছাড় দিয়ে হত্যা,গ্রেফতার-২

তারিখ : ০৯:১৬:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২০

নিজস্ব প্রতিবেদক।।।
মেয়েকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় শূন্যে তুলে আছাড় মেরে কৃষক বাবাকে হত্যা করেছেন ইউনিয়ন পরিষদের এক ওয়ার্ড মেম্বার। গতকাল শুক্রবার কুমিল্লার লালমাই উপজেলার বেলঘর উত্তর ইউনিয়নের ইছাপুরা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।শনিবার ওই কৃষক ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বেলঘর উত্তর ইউনিয়নের ইছাপুরা গ্রামের কৃষক আমান উল্লাহর এসএসসি পরীক্ষার্থী মেয়েকে কিছুদিন ধরে উত্ত্যক্ত করে আসছিল বেলঘর উত্তরের ইউনিয়নের ওয়ার্ড মেম্বার দেলোয়ার হোসেন মজুমদারের ছোট ভাই কাঠমিস্ত্রী সোহরাব।
গত ১৬ এপ্রিল রাত ১১টায় দিকে সোহরাব আমান উল্যাহর বাড়িতে গিয়ে তার মেয়েকে ডাকাডাকি শুরু করে। এসময় আমান উল্যাহ ও তার ছেলেরা চোর চোর বলে চিৎকার দেয়। তাদের চিৎকার শুনে আশেপাশের বাড়ির লোকজন বেরিয়ে আসে।
খুঁজতে গিয়ে সবাই দেখে সোহরাব বাড়ির পাশের ধান খেতে শুয়ে আছে। এসময় তাকে ধরে উত্তমমধ্যম দেয়।
এখবর পেয়ে সোহরাবের ভাই দেলোয়ার মেম্বারের নেতৃত্বে ১০/১২জন রাত সাড়ে ১২টার দিকে আমান উল্যাহর বাড়িতে হামলা করে।
পরদিন ১৭ এপ্রিল দুপুরে গ্রামের গণ্যমান্যদের আমান উল্যাহ বিষয়টি জানায়। গ্রামবাসীকে জানানোর কারণে দুপুরে দেলোয়ার মেম্বারের নেতৃত্বে তার ভাইসহ কয়েকজন আমান উল্যাহকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে যায়।
ঘর থেকে বের করার সময় দেলোয়ার মেম্বার আমান উল্যাহকে শূন্যে তুলে মাটিতে আছাড় দেয়। এরপর সবাই মিলে তাকে মারধর করে রক্তাক্ত জখম করে ইছাপুরা গ্রামের শহীদের বাড়ির সংলগ্ন সড়কের পাশে ফেলে দেয়।
পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে প্রথমে কুমেক এবং পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করে। শনিবার কৃষক আমান উল্লাহ চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। এঘটনায় আমান উল্যাহর ছেলে আনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে ওই দিন বিকালে দেলোয়ার মেম্বারসহ এজাহারভুক্ত ৪জন ও অজ্ঞাতনামা ৭/৮জনের বিরুদ্ধে লালমাই থানায় মামলা দায়ের করেন।
শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় লালমাই থানা পুলিশ বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ইছাপুরা গ্রামের ফজর আলীর ছেলে তোফাজ্জল ও আজগর আলীর ছেলে রবিউলকে গ্রেফতার করে।
লালমাই থানার ওসি মোহাম্মদ আইয়ুব বলেন, নিহতের ছেলে আনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। আজ সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভিকটিমের মৃত্যুর খবর পেয়েছি। এ ঘটনায় দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ইউপি মেম্বার দেলোয়ারসহ বাকিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।