মাজহারুল ইসলাম বাপ্পি :
কুমিল্লায় রেলওয়ের সম্পত্তিতে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের নামে বিনা নোটিশে বৈধ দোকানপাট ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ করেছেন দোকান মালিক ও ব্যবসায়ীরা। এর প্রতিবাদে সোমবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন শেষে দোকান মালিক, ব্যবসায়ী ও কর্মচারীসহ তাদের পরিবারের সদস্যরা মানববন্ধন করে এর সুষ্ঠু তদন্ত ও ক্ষতিপূরণ দাবি করেন। ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের জেলার লালমাই উপজেলার বাগমারা বাজারের অশ্বতলা এলাকায় এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
এছাড়া এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে ১১ জন ব্যবসায়ীর স্বাক্ষরিত একটি আবেদন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দপ্তরে দাখিল করা হয়।
ক্ষতিগ্রস্ত জাকির হোসেন, হুমায়ুন কবির, পেয়ার আহাম্মদ, রাজন, ইয়াছিন, গফুরসহ দোকান মালিক ও ব্যবসায়ীরা সাংবাদিক সম্মেলনে অভিযোগ করে বলেন, বিগত সময়ে রেলওয়ে কর্মকর্তা আনিছুর রহমান, গুলজার আহমেদসহ অন্যান্য কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে একাধিকবার রেলওয়ে সম্পত্তি পরিমাপ করে সীমানা নির্ধারণ করা হয়। পরবর্তীতে উক্ত সীমানার বাইরে জাকির হোসেন তার মালিকানা ভূমির খতিয়ানসহ যাবতীয় দলিল সংরক্ষণ করে এক্সিম ব্যাংক থেকে ওই ভূমি বন্ধক রেখে ঋণ গ্রহণ করেন এবং চার বছর আগে একটি মার্কেট নির্মাণ করে ব্যবসায়ীদের নিকট ভাড়া দেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনিসহ ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে অভিযোগ করেন, কোনরকম নোটিশ ছাড়াই গত রবিবার রেলওয়ে কর্মকর্তারা বিপুলসংখ্যক রেল পুলিশ নিয়ে এসে অবৈধ স্থাপনার পাশাপাশি তাদের মালিকানাধীন বৈধ মার্কেটের দোকানপাটগুলো ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়। এতে ব্যবসায়ীদের মালামালও সরানোর সুযোগ দেয়া হয়নি। এতে বিপুল অংকের টাকার মালামাল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ব্যবসায়ী ও তাদের পরিবারগুলো পথে বসার উপক্রম হয়েছে বলেও তারা অভিযোগ করেন। পরে তারা মানববন্ধন করে এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তসহ ক্ষতিপূরণ দাবি করেন।
এ বিষয়ে এক্সিম ব্যাংক বাগমারা শাখার ম্যানেজার জসিম উদ্দিন জানান, ‘আমরা জাকির হোসেনের উক্ত ভূমির মালিকানার যাবতীয় দলিল ও কাগজপত্র জমা রেখে ঋণ দিয়েছি। তবে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের উচ্ছেদ অভিযানের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করবো না।’
এ বিষয়ে লালমাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম জানান, ‘কোনো উচ্ছেদ অভিযান চালাতে হলে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানানোর কথা। কিন্তু এক্ষেত্রে আমাকে কোনো কিছুই জানানো হয়নি। ব্যবসায়ীদের অভিযোগটি জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নিকট প্রেরণ করা হয়েছে।’
এ বিষয়ে রেলওয়ের প্রকল্প পরিচালক রমজান আলীর মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও রিসিভ না করায় তার বক্তব্য জানা যায়নি।