সিরাজগঞ্জে ভ্রাম্যমাণ আদালতে আট ফার্মেসীকে জরিমানা

স্টাফ রিপোর্টারঃ

সিরাজগঞ্জ শহরের বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ৮ ফার্মেসীকে জরিমানা করেছে । বৃহস্পতিবার ৭ মে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে
সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত জেলা প্রশাসন সহকারী কমিশনার ও বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ফয়সাল আহমেদ এর নেতৃত্বে এ শহরের ২নং খলিফা পট্টি এবং এস এস রোডের বিভিন্ন ফার্মেসীতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়।

ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকালে সহায়তা করেন ঔষধ তত্বাবধায়ক মোঃ শেখ আহ্সান উল্লাহ,মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আবু আব্দুল্লাহ জাহিদ এবং লেফটেন্যান্ট এম এম এইচ ইমরান, কোম্পানি কমান্ডার এর নেতৃত্বে RAB-12 এর একটি চৌকষ দল।

ভ্রাম্যমাণ আদালতে ড্রাগস এ্যক্ট ১৯৪০ এর ১৮(ক),(খ),(গ) ধারা লঙ্ঘনের দায়ে ২৭ ধারায় দি মেডিসিন সেন্টারকে ১৫- হাজার টাকা , খন্দকার ড্রাগসকে ৫ হাজার টাকা, মের্সাস আল মদিনা মেডিক্যাল স্টোরকে ৭০ হাজার টাকা ,পাল এন্ড সন্স মেডিকেলকে ৫০ হাজার টাকা , শাহেদ মেডিক্যাল হলকে ২০ হাজার টাকা, এরশাদ মেডিক্যাল হলকে ৫০ হাজার টাকা, ৬ টি দোকানে সর্বমোট ২ লক্ষ ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

এছাড়াও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন আইন ২০০৯ ধারা ৫১ ধারা অনুযায়ী মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ রাখার দায়ে জান্নাতী মেডিক্যাল স্টোরকে ২ হাজার টাকা এবং সোহেল ড্রাগসকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা সহ সর্বমোট ২ লক্ষ ২২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা নিয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফয়সাল আহমেদ জানান, আমারা বিশেষভাবে তথ্য পেয়েছিলাম ২ নং খলিফা পট্টি এবং এস এস রোডেস্থ কয়েকটি ফার্মেসিতে অবৈধ ও মেয়াদোত্তীর্ণ, নিষিদ্ধ ঔষধ বাজার জাত করণ,মাদক হিসেবে ব্যবহৃত হয় এমন ঔষধ,অনুমোদনহীন বিভিন্ন চেতনানাশক ঔষধ,ড্রাগ লাইসেন্স না থাকা,অতিরিক্ত দামে ঔষধ বিক্রির হচ্ছে। তাঁরই ভিত্তিতে আমরা এখানে আসি।এখানে এসে দেখা যায় অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষুধপত্র বিক্রি করা হচ্ছে।

তাছাড়া ফার্মেসিগুলোতে এমন সব ঔষুধ বাজারজাত করা হচ্ছে যা ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন এবং পরামর্শ ছাড়া বিক্রি করা নিষিদ্ধ। তিনি আরও জানান , অভিযান পরিচালনাকালে Tapendadol ৫১৭ পিছ (যা ইয়াবার বিকল্প) হিসেবে মাদকসেবীরা ব্যবহার করে, অনিবন্ধনকৃত ২২৩৪ টি আইটেম ঔষধ বিক্রয় নিষিদ্ধ প্রায় ২,১২,৮৯২(দু লক্ষ বারো হাজার আটশত বিরানব্বই) পিছ ঔষধ, মেয়াদোত্তীর্ণ প্রায় ১০৪৩ টি ঔষধ জব্দ করা হয়।

সে হিসেবে আমার ১৯৪০ সালের ড্রাগস এ্যক্ট ১৮(ক),(খ),(গ) ধারায় আমরা ৮ ফার্মেসী মালিককে জরিমানা করেছি। মূলত আমাদের উদ্দেশ্যে ছিলো তাদের সতর্ক করা। তাই আজকে তেমন কোনো কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। তবে পরবর্তীতে যদি এ সকল কর্যক্রম অব্যহত থাকে তাহলে অবশ্যই কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। এ সকল সমস্যা সমাধান না হওয়া পর্যন্ত আমাদের এ অভিযান অব্যহত থাকবে।পরে জব্দকৃত ঔষধ ঔষধ তত্বাবধায়কের তত্ত্বাবধানে ধ্বংস করা হয়।

     আরো পড়ুন....

পুরাতন খবরঃ

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০৩১  
error: ধন্যবাদ!