০৪:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৯ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
হানিফ ফ্লাইওভারে বাস-সিএনজি সংঘর্ষ, নিহত ২ লালমাইয়ে বিয়ের নাম ভাঙ্গিয়ে মারধর ও লুটপাটের ঘটনায় থানায় মামলা কুমিল্লা সদর দক্ষিণের ব্যবসায়ী দুলালকেখুন্তি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা ভাড়াটিয়া সুমি কুমিল্লার বেলতলীতে পিকআপ চাপায় পথচারী নিহত বিতর্কের মুখে সংসদের নির্বাচনী এলাকা সীমানা নির্ধারণ কারিগরি কমিটি কুমিল্লা সদর দক্ষিণে জুলাই পুনর্জাগরণে সমাজ গঠনে শপথ গ্রহন অনুষ্ঠান অপরাধী যে দলেরই হোক, কোনো ছাড় নেই- ওসি মোহাম্মদ সেলিম কুমিল্লা সদর দক্ষিণে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবসে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ ইয়ংস্টার সোশ্যাল অর্গানাইজেশন এর সদর দক্ষিন উপজেলার কমিটি গঠন নতুন পুরাতন বুঝি না,ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে-ডা. শফিকুর রহমান

কওমি আলেম ও হেফাজতের সঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠকে

  • তারিখ : ১২:২১:৫৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২০
  • / 650

বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মাণ নিয়ে চলমান অস্থিরতা নিরসনে কওমি আলেম ও হেফাজতে ইসলামের নেতাদের সঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের বৈঠক অনুুষ্ঠিত।
সোমবার (১৪ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসায় এ বৈঠক শুরু হয়, এবং শেষ হয় পৌঁনে ১১টায়। কওমি মাদ্রাসার সম্মিলিত শিক্ষা বোর্ড- হাইয়াতুল উলইয়ার চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসানের নেতৃত্বে এতে আলেমদের একটি প্রতিনিধি দল অংশ নেন। বৈঠকে আল্লামা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ, মাওলানা আতাউল্লাহ হাফেজ্জী, মাওলানা নূরুল ইসলাম জিহাদী, মাওলানা মাহফুজুল হক, মাওলানা মুসলেহ উদ্দিন গওহরপুরী প্রমুখ অংশ নেন।

এর আগে, গত ৫ ডিসেম্বর রাজধানীর যাত্রাবাড়ী মাদ্রাসায় শীর্ষ আলেমদের বৈঠক থেকে ৫ দফা প্রস্তাব তুলে ধরা হয়। একই সঙ্গে তারা সরকারের সঙ্গে বৈঠক করার প্রস্তাব করেন।

প্রসঙ্গত, ঢাকায় ধোলাইপাড়ে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য স্থাপনে হেফাজতে ইসলামের নেতাসহ কওমি আলেমরা বিরোধিতা করে আসছেন। এর মধ্যে গত ৪ ডিসেম্বর রাতের কোনো এক সময় কুষ্টিয়া পৌরসভার পাঁচ রাস্তার মোড়ে নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের ডান হাত, পুরো মুখ ও বাম হাতের অংশ বিশেষ ভেঙে ফেলা হয়। এ ঘটনার পরদিন কুষ্টিয়া পৌরসভার সচিব কামাল উদ্দীন কুষ্টিয়া মডেল থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করেন। এছাড়া ভাস্কর্যবিরোধী বক্তব্য দেয়ার অভিযোগে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের নেতা মাওলানা মুহাম্মদ মামুনুল হক, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির মোহাম্মদ জোনায়েদ ওরফে জুনায়েদ বাবুনগরী ও সৈয়দ ফয়জুল করীমের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের পৃথক দু’টি মামলা দায়ের করা হয়।

ভাস্কর্য ইস্যুতে উদ্ভূত পরিস্থিতি নিরসনে তাই আলেমরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করার অনুমতি চান। করোনা পরিস্থিতির কারণে প্রধানমন্ত্রী এখন যেহেতু সরাসরি কোনো সভায় অংশ নেন না, তাই ভাস্কর্য ইস্যু নিয়ে আলেমদের সঙ্গে কথা বলতে থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে দায়িত্ব দেয়া হয়। এই প্রেক্ষাপটে আলেমদের সঙ্গে সভায় বসেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

শেয়ার করুন

কওমি আলেম ও হেফাজতের সঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠকে

তারিখ : ১২:২১:৫৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২০

বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মাণ নিয়ে চলমান অস্থিরতা নিরসনে কওমি আলেম ও হেফাজতে ইসলামের নেতাদের সঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালের বৈঠক অনুুষ্ঠিত।
সোমবার (১৪ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসায় এ বৈঠক শুরু হয়, এবং শেষ হয় পৌঁনে ১১টায়। কওমি মাদ্রাসার সম্মিলিত শিক্ষা বোর্ড- হাইয়াতুল উলইয়ার চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসানের নেতৃত্বে এতে আলেমদের একটি প্রতিনিধি দল অংশ নেন। বৈঠকে আল্লামা ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ, মাওলানা আতাউল্লাহ হাফেজ্জী, মাওলানা নূরুল ইসলাম জিহাদী, মাওলানা মাহফুজুল হক, মাওলানা মুসলেহ উদ্দিন গওহরপুরী প্রমুখ অংশ নেন।

এর আগে, গত ৫ ডিসেম্বর রাজধানীর যাত্রাবাড়ী মাদ্রাসায় শীর্ষ আলেমদের বৈঠক থেকে ৫ দফা প্রস্তাব তুলে ধরা হয়। একই সঙ্গে তারা সরকারের সঙ্গে বৈঠক করার প্রস্তাব করেন।

প্রসঙ্গত, ঢাকায় ধোলাইপাড়ে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য স্থাপনে হেফাজতে ইসলামের নেতাসহ কওমি আলেমরা বিরোধিতা করে আসছেন। এর মধ্যে গত ৪ ডিসেম্বর রাতের কোনো এক সময় কুষ্টিয়া পৌরসভার পাঁচ রাস্তার মোড়ে নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের ডান হাত, পুরো মুখ ও বাম হাতের অংশ বিশেষ ভেঙে ফেলা হয়। এ ঘটনার পরদিন কুষ্টিয়া পৌরসভার সচিব কামাল উদ্দীন কুষ্টিয়া মডেল থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করেন। এছাড়া ভাস্কর্যবিরোধী বক্তব্য দেয়ার অভিযোগে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের নেতা মাওলানা মুহাম্মদ মামুনুল হক, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির মোহাম্মদ জোনায়েদ ওরফে জুনায়েদ বাবুনগরী ও সৈয়দ ফয়জুল করীমের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের পৃথক দু’টি মামলা দায়ের করা হয়।

ভাস্কর্য ইস্যুতে উদ্ভূত পরিস্থিতি নিরসনে তাই আলেমরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করার অনুমতি চান। করোনা পরিস্থিতির কারণে প্রধানমন্ত্রী এখন যেহেতু সরাসরি কোনো সভায় অংশ নেন না, তাই ভাস্কর্য ইস্যু নিয়ে আলেমদের সঙ্গে কথা বলতে থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে দায়িত্ব দেয়া হয়। এই প্রেক্ষাপটে আলেমদের সঙ্গে সভায় বসেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।