০২:৪৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৫ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
হানিফ ফ্লাইওভারে বাস-সিএনজি সংঘর্ষ, নিহত ২ লালমাইয়ে বিয়ের নাম ভাঙ্গিয়ে মারধর ও লুটপাটের ঘটনায় থানায় মামলা কুমিল্লা সদর দক্ষিণের ব্যবসায়ী দুলালকেখুন্তি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা ভাড়াটিয়া সুমি কুমিল্লার বেলতলীতে পিকআপ চাপায় পথচারী নিহত বিতর্কের মুখে সংসদের নির্বাচনী এলাকা সীমানা নির্ধারণ কারিগরি কমিটি কুমিল্লা সদর দক্ষিণে জুলাই পুনর্জাগরণে সমাজ গঠনে শপথ গ্রহন অনুষ্ঠান অপরাধী যে দলেরই হোক, কোনো ছাড় নেই- ওসি মোহাম্মদ সেলিম কুমিল্লা সদর দক্ষিণে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবসে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ ইয়ংস্টার সোশ্যাল অর্গানাইজেশন এর সদর দক্ষিন উপজেলার কমিটি গঠন নতুন পুরাতন বুঝি না,ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে-ডা. শফিকুর রহমান

জিডিপি নিয়ে বিশ্বব্যাংকের পূর্বাভাস অসামঞ্জস্যপূর্ণ : অর্থমন্ত্রী

  • তারিখ : ০৩:৩২:১২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ এপ্রিল ২০২০
  • / 368

বাংলাদেশের মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের হার (জিডিপি) নিয়ে বিশ্বব্যাংক যে পূর্বাভাস দিয়েছে সেটাকে সম্পূর্ণ অসামঞ্জস্য (প্রিমেচুইর) বলে মনে করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

তিনি বলেন, এখনই এটা বলার সময় আসেনি। বিশেষ করে অঙ্ক ধরে বলার উপযুক্ত সময় এটা নয়। আমাদের সামনে ৮ মাসের তথ্য তো রয়েছেই। সেগুলো যাচাই করে কিছুদিন আগে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) বলেছে এবার আমাদের প্রবৃদ্ধি হবে ৭ দশমিক ৮ শতাংশ। ফলে বিশ্বব্যাংকের এই পূর্বাভাসকে আমি সময় উপযোগী বা পরিপক্ক কোনটাই মনে করি না। কেন না করোনাভাইরাসের সারাবিশ্বের মত আমাদেরর জিডিপি কমবে। তবে আমাদেও এতোটা কমবে না।

কমপক্ষে ৬ শতাংশের ওপরে জিডিপি এ বছরও আমরা অর্জন করতে সক্ষম হবো। কেননা বাংলাদেশে করোনার প্রভাব পড়ার আগেই আমাদের অর্থ-বছরের ৮ মাস অতিবাহিত হয়ে গেছে। বাকি আছে মার্চ-জুন চার মাস। এ সময়ে যদি আমাদের শূন্য কিংবা নেগেটিভ গ্রোথও হয় তারপরও আগের ৮ মাসে আমরা যা অর্জন করেছি সেটা ৬ শতাংশের বেশিই হবে।

সোমবার বিশ্বব্যাংকের প্রকাশিত ‘সাউথ এশিয়া ইকোনমিক ফোকাস’ এক প্রতবেদনে বাংলাদেশ সম্পর্কে এই পূর্বাভাসে বলা হয়, চলতি বছর বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি কমে দাঁড়াবে ২ থেকে ৩ শতাংশ। আর দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে ভারত সর্বোচ্চ ৪ দশমিক ৮ থেকে ৫ দশমিক ০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করবে।অন্যদেশগুলোর মধ্যে নেপাল, ভুটান বাদে আফগানিস্তান, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও মালদ্বীপ নেগেটিভ গ্রোথে চলে যাবে। এর প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে সোমবার অর্থমন্ত্রী বাংলাদেশ প্রতিদিনকে এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমাদের প্রবৃদ্ধির প্রধান তিনটি খাত হলো কৃষি, শিল্প ও সেবা। আমাদের কৃষিখাতে করোনাভাইরাসের তেমন কোন প্রভাব পড়েইনি। এটা যদি দীর্ঘায়িত না হয় তাহলে কৃষিখাতে আমরা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে সম্পূর্ণ প্রবৃদ্ধি অর্জনে সক্ষম হবো। আর শিল্প খাতে কিছুটা প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। এটা কাটানোর জন্য আমরা বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগও নিয়েছি। একইভাবে সেবাখাতেও কিছুটা প্রভাব পড়ছে। আমরা স্বীকার করছি প্রবৃদ্ধি কমবে। কিন্তু এতোটা কমবে না।

 

“বিডি প্রতিদিন”

শেয়ার করুন

জিডিপি নিয়ে বিশ্বব্যাংকের পূর্বাভাস অসামঞ্জস্যপূর্ণ : অর্থমন্ত্রী

তারিখ : ০৩:৩২:১২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ এপ্রিল ২০২০

বাংলাদেশের মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদনের হার (জিডিপি) নিয়ে বিশ্বব্যাংক যে পূর্বাভাস দিয়েছে সেটাকে সম্পূর্ণ অসামঞ্জস্য (প্রিমেচুইর) বলে মনে করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

তিনি বলেন, এখনই এটা বলার সময় আসেনি। বিশেষ করে অঙ্ক ধরে বলার উপযুক্ত সময় এটা নয়। আমাদের সামনে ৮ মাসের তথ্য তো রয়েছেই। সেগুলো যাচাই করে কিছুদিন আগে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) বলেছে এবার আমাদের প্রবৃদ্ধি হবে ৭ দশমিক ৮ শতাংশ। ফলে বিশ্বব্যাংকের এই পূর্বাভাসকে আমি সময় উপযোগী বা পরিপক্ক কোনটাই মনে করি না। কেন না করোনাভাইরাসের সারাবিশ্বের মত আমাদেরর জিডিপি কমবে। তবে আমাদেও এতোটা কমবে না।

কমপক্ষে ৬ শতাংশের ওপরে জিডিপি এ বছরও আমরা অর্জন করতে সক্ষম হবো। কেননা বাংলাদেশে করোনার প্রভাব পড়ার আগেই আমাদের অর্থ-বছরের ৮ মাস অতিবাহিত হয়ে গেছে। বাকি আছে মার্চ-জুন চার মাস। এ সময়ে যদি আমাদের শূন্য কিংবা নেগেটিভ গ্রোথও হয় তারপরও আগের ৮ মাসে আমরা যা অর্জন করেছি সেটা ৬ শতাংশের বেশিই হবে।

সোমবার বিশ্বব্যাংকের প্রকাশিত ‘সাউথ এশিয়া ইকোনমিক ফোকাস’ এক প্রতবেদনে বাংলাদেশ সম্পর্কে এই পূর্বাভাসে বলা হয়, চলতি বছর বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি কমে দাঁড়াবে ২ থেকে ৩ শতাংশ। আর দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে ভারত সর্বোচ্চ ৪ দশমিক ৮ থেকে ৫ দশমিক ০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করবে।অন্যদেশগুলোর মধ্যে নেপাল, ভুটান বাদে আফগানিস্তান, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও মালদ্বীপ নেগেটিভ গ্রোথে চলে যাবে। এর প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে সোমবার অর্থমন্ত্রী বাংলাদেশ প্রতিদিনকে এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমাদের প্রবৃদ্ধির প্রধান তিনটি খাত হলো কৃষি, শিল্প ও সেবা। আমাদের কৃষিখাতে করোনাভাইরাসের তেমন কোন প্রভাব পড়েইনি। এটা যদি দীর্ঘায়িত না হয় তাহলে কৃষিখাতে আমরা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে সম্পূর্ণ প্রবৃদ্ধি অর্জনে সক্ষম হবো। আর শিল্প খাতে কিছুটা প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। এটা কাটানোর জন্য আমরা বিভিন্ন ধরনের উদ্যোগও নিয়েছি। একইভাবে সেবাখাতেও কিছুটা প্রভাব পড়ছে। আমরা স্বীকার করছি প্রবৃদ্ধি কমবে। কিন্তু এতোটা কমবে না।

 

“বিডি প্রতিদিন”