০৫:৩৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৫, ৮ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কুমিল্লা সদর দক্ষিণের ব্যবসায়ী দুলালকেখুন্তি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা ভাড়াটিয়া সুমি কুমিল্লার বেলতলীতে পিকআপ চাপায় পথচারী নিহত বিতর্কের মুখে সংসদের নির্বাচনী এলাকা সীমানা নির্ধারণ কারিগরি কমিটি কুমিল্লা সদর দক্ষিণে জুলাই পুনর্জাগরণে সমাজ গঠনে শপথ গ্রহন অনুষ্ঠান অপরাধী যে দলেরই হোক, কোনো ছাড় নেই- ওসি মোহাম্মদ সেলিম কুমিল্লা সদর দক্ষিণে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবসে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ ইয়ংস্টার সোশ্যাল অর্গানাইজেশন এর সদর দক্ষিন উপজেলার কমিটি গঠন নতুন পুরাতন বুঝি না,ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে-ডা. শফিকুর রহমান ছয় দফা দাবিতে কুমিল্লা সদর দক্ষিণে স্বাস্থ্য সহকারীদের অবস্থান কর্মসূচি সাবেক সিইসি নূরুল হুদাকে হেনস্তা: স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা হানিফ গ্রেফতার

সরকারি চালের বস্তায় স্বচ্ছতার জন্য এবার ডিজিটাল স্টেনসিল

  • তারিখ : ০৪:৩৬:১০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ জুন ২০২০
  • / 292

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি:

সরকারি চালের বস্তায় স্বচ্ছতা আনার জন্য এবার চালের বস্তায় ডিজিটাল স্টেনসিল ব্যবহার শুরু ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক বিভাগ। সরকারি চাল সরবরাহে অনিয়ম রোধে মজুদ কিংবা মিল মালিকদের সহজেই চিহ্নিত করতে এই উদ্যোগ নিয়েছে তারা।

একটি অসাধু চক্র সরকারি চালের বস্তা চুরি, আত্নসাত, কিংবা খোলা বাজারে বিক্রি করে থাকে। এসব চাল কোন মিল মালিক কিংবা কোন গুদামের মজুদ তা প্রাথমিক ভাবে সনাক্ত করা যায় না। যা নিয়ে স্থানীয় খাদ্য বিভাগকেও বিব্রত হতে হয়। ফলে এবার খাদ্য নিয়ন্ত্রক বিভাগ সরকারি চালের বস্তায় ডিজিটাল স্টেনসিল চালু করেছে। যাতে উল্লেখ থাকবে প্রয়োজনীয় সকল তথ্য। ফলে চালের বস্তায় ওজনে কম কিংবা ক্রটি মিললেই বস্তা দেখে তা কোন মিলের সেটি চিহ্নিত করা যাবে।

জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক বিভাগ জানায়, স্বচ্ছতা আনতে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে বিতরণের জন্য বিভিন্ন মিল মালিকদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা সিদ্ধ ও আতপ চালের বস্তায় দেয়া হচ্ছে ডিজিটাল স্টেনসিল। এই স্টেনসিলে মিলের নাম, মিলের ঠিকানা এবং চাল উৎপাদনের তারিখও উল্লেখ করা হচ্ছে। এতে করে চালগুলো বিতরণের সময় কোনো ধরনের সমস্যা হলে খুব সহজেই চাল সরবরাহ করা মিলকে শনাক্ত করা যাবে।

তারা আরও জানায়, চলতি মৌসুমে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা থেকে সরকার ৪০ হাজার ৯৯৫ হাজার মেট্রিক টন সিদ্ধ ও আতপ চাল কেনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। গত ৭ মে থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে চাল সংগ্রহ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এই কার্যক্রম আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত চলবে। এরমধ্যে ২২ হাজার ৯৪৮ মেট্রিক টন চালের বস্তায় এবার ডিজিটাল স্টেনসিল ব্যবহার করা হচ্ছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সুবীর নাথ চৌধুরী বলেন, আমরা চাল কেনার ৫-৬ মাস পর যখন বিতরণ করি বা অন্য জায়গায় পাঠাই তখন চালের বস্তার ওজন কম হয় বা চালের মান খারাপ হয় বলে অভিযোগ আসে। তখন আমাদের বুঝার উপায় থাকে না এটি কোন মিলের। সেজন্য এবার মিল মালিকদের পাশাপাশি আমরাও ডিজিটাল স্টেনসিল দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছি। এতে করে চালে কোনো ধরনের সমস্যা হলে সহজেই সরবরাহ করা মিলকে শনাক্ত করা যাবে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিয়ে আমরাই প্রথম স্টেনসিল দেয়ার কার্যক্রম হাতে নিয়েছি বলে জানান জেলার প্রধান এই খাদ্য নিয়ন্ত্রক।

যমুনা টিভি

শেয়ার করুন

সরকারি চালের বস্তায় স্বচ্ছতার জন্য এবার ডিজিটাল স্টেনসিল

তারিখ : ০৪:৩৬:১০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ জুন ২০২০

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি:

সরকারি চালের বস্তায় স্বচ্ছতা আনার জন্য এবার চালের বস্তায় ডিজিটাল স্টেনসিল ব্যবহার শুরু ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক বিভাগ। সরকারি চাল সরবরাহে অনিয়ম রোধে মজুদ কিংবা মিল মালিকদের সহজেই চিহ্নিত করতে এই উদ্যোগ নিয়েছে তারা।

একটি অসাধু চক্র সরকারি চালের বস্তা চুরি, আত্নসাত, কিংবা খোলা বাজারে বিক্রি করে থাকে। এসব চাল কোন মিল মালিক কিংবা কোন গুদামের মজুদ তা প্রাথমিক ভাবে সনাক্ত করা যায় না। যা নিয়ে স্থানীয় খাদ্য বিভাগকেও বিব্রত হতে হয়। ফলে এবার খাদ্য নিয়ন্ত্রক বিভাগ সরকারি চালের বস্তায় ডিজিটাল স্টেনসিল চালু করেছে। যাতে উল্লেখ থাকবে প্রয়োজনীয় সকল তথ্য। ফলে চালের বস্তায় ওজনে কম কিংবা ক্রটি মিললেই বস্তা দেখে তা কোন মিলের সেটি চিহ্নিত করা যাবে।

জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক বিভাগ জানায়, স্বচ্ছতা আনতে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিতে বিতরণের জন্য বিভিন্ন মিল মালিকদের কাছ থেকে সংগ্রহ করা সিদ্ধ ও আতপ চালের বস্তায় দেয়া হচ্ছে ডিজিটাল স্টেনসিল। এই স্টেনসিলে মিলের নাম, মিলের ঠিকানা এবং চাল উৎপাদনের তারিখও উল্লেখ করা হচ্ছে। এতে করে চালগুলো বিতরণের সময় কোনো ধরনের সমস্যা হলে খুব সহজেই চাল সরবরাহ করা মিলকে শনাক্ত করা যাবে।

তারা আরও জানায়, চলতি মৌসুমে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা থেকে সরকার ৪০ হাজার ৯৯৫ হাজার মেট্রিক টন সিদ্ধ ও আতপ চাল কেনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। গত ৭ মে থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে চাল সংগ্রহ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এই কার্যক্রম আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত চলবে। এরমধ্যে ২২ হাজার ৯৪৮ মেট্রিক টন চালের বস্তায় এবার ডিজিটাল স্টেনসিল ব্যবহার করা হচ্ছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সুবীর নাথ চৌধুরী বলেন, আমরা চাল কেনার ৫-৬ মাস পর যখন বিতরণ করি বা অন্য জায়গায় পাঠাই তখন চালের বস্তার ওজন কম হয় বা চালের মান খারাপ হয় বলে অভিযোগ আসে। তখন আমাদের বুঝার উপায় থাকে না এটি কোন মিলের। সেজন্য এবার মিল মালিকদের পাশাপাশি আমরাও ডিজিটাল স্টেনসিল দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছি। এতে করে চালে কোনো ধরনের সমস্যা হলে সহজেই সরবরাহ করা মিলকে শনাক্ত করা যাবে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিয়ে আমরাই প্রথম স্টেনসিল দেয়ার কার্যক্রম হাতে নিয়েছি বলে জানান জেলার প্রধান এই খাদ্য নিয়ন্ত্রক।

যমুনা টিভি