কুমিল্লার গ্রামের পরিবেশে বেড়েছে পাখির আনাগোনা

স্টাফ রিপোর্টারঃ

কুমিল্লার প্রকৃতিতে বেড়েছে পাখির আনাগোনা। সম্প্রতি চড়ুই, ঘুঘু, শালিক, বুলবুলি, বাবুই, মাছরাঙা, বক জেলার গ্রামের পরিবেশে প্রচুর পরিমাণে দেখা যাচ্ছে। ভুতি জাম, আম গাছের চারা, বড় ডালওয়ালা গাছ, ছোট ফলওয়ালা গাছে পাখি বাসা বাঁধছে।

ডিম পেড়েছে বংশ বিস্তার ঘটাতে। পাখির কলকাকলিতে মুখর চারিদিক। ভোরের বাতাসে বেজে উঠছে পাখির কণ্ঠের নতুন সঙ্গীত। বিশেষজ্ঞরা জানান, সংখ্যা কমে যাওয়ায় শিশুদের বইয়ের পাতার ছবি দেখিয়ে পাখি চেনাতে হতো। তবে করোনাভাইরাসের প্রভাবে মানুষ ঘরে থাকছে। গাছ ও পাখির পরিবেশ নষ্ট করতে পারছে না। তাই পাখির খাবার সংগ্রহ ও বাসা বাঁধার সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে। প্রকৃতিতে পাখির আনাগোনা বাড়ছে। তারা অবাধে বিচরণ করছে।

ওয়াইল্ড ওয়াচ ইনফো কুমিল্লার পরিচালক জামিল খান বলেন, প্রকৃতিতে পাখি ফিরে আসা একটি ইতিবাচক দিক। এতে পরিবেশের ভারসাম্য বৃদ্ধি পাবে। বাড়ির চারপাশে দেশি গাছ লাগানো উচিত। পশু পাখির আবাসের জন্য গুল্ম জাতীয় গাছ বেশি প্রয়োজন।

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সহযোগী অধ্যাপক অমিতাভ কুমার বাড়ৈ বলেন, পাখির প্রতি দরদ দিতে হবে। তার আবাস নষ্ট করা যাবে না। শিকার বন্ধ করতে হবে। পাখি বাসা বানানোর উপযোগী গাছ লাগাতে হবে। যেখানে বাসা বানানো যায় ও খাবারের সংকুলান হবে সেখানে পাখি আসবে।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের প্রফেসর মো. কামরুল হাসান বলেন, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় পাখির প্রয়োজন রয়েছে। পাখি শিকার রোধ ও পাখি সংরক্ষণে সচেতন মানুষের সাথে প্রশাসনকেও ভূমিকা রাখতে হবে।

     আরো পড়ুন....

পুরাতন খবরঃ

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০  
error: ধন্যবাদ!