০৫:৩৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৯ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
হানিফ ফ্লাইওভারে বাস-সিএনজি সংঘর্ষ, নিহত ২ লালমাইয়ে বিয়ের নাম ভাঙ্গিয়ে মারধর ও লুটপাটের ঘটনায় থানায় মামলা কুমিল্লা সদর দক্ষিণের ব্যবসায়ী দুলালকেখুন্তি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা ভাড়াটিয়া সুমি কুমিল্লার বেলতলীতে পিকআপ চাপায় পথচারী নিহত বিতর্কের মুখে সংসদের নির্বাচনী এলাকা সীমানা নির্ধারণ কারিগরি কমিটি কুমিল্লা সদর দক্ষিণে জুলাই পুনর্জাগরণে সমাজ গঠনে শপথ গ্রহন অনুষ্ঠান অপরাধী যে দলেরই হোক, কোনো ছাড় নেই- ওসি মোহাম্মদ সেলিম কুমিল্লা সদর দক্ষিণে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবসে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ ইয়ংস্টার সোশ্যাল অর্গানাইজেশন এর সদর দক্ষিন উপজেলার কমিটি গঠন নতুন পুরাতন বুঝি না,ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে-ডা. শফিকুর রহমান

মসজিদে বিস্ফোরণ: শিশু-মুয়াজ্জিনসহ ১১ জনের মৃত্যু

  • তারিখ : ১০:২৯:২০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২০
  • / 282

নারায়ণগঞ্জে মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ যে ৩৭ জনকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছিল তাদের মধ্যে শিশু-মুয়াজ্জিনসহ আরও ১০ জন মারা গেছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাসপাতালটি সমন্বয়কারী ডা. সামন্ত লাল সেন। গতকাল রাত ১১ টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জুয়েল নামে ৭ বছরের এক শিশু মারা যাওয়ায় এখন পর্যন্ত মোট ১১ জনের মৃত্যু হলো।

একসাথে ছয়টি এসি বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহত ১১ জনের নাম পাওয়া গেছে। তারা হলেন, সাব্বির, জামাল, দেওয়ান, জুয়েল, যুবায়ের, হুমায়ুন কবির, মোস্তফা কামাল, ইব্রাহিম, রিফাত, জুনায়েদ ও কুদ্দুস বেপারী। এ ঘটনায় এখনও যারা চিকিৎসাধীন আছেন তাদের প্রত্যেকের শ্বাসনালী পুড়ে যাওয়ায় প্রায় সবার অবস্থাই আশঙ্কাজনক বলে জানান ডা. সামন্ত লাল সেন।

এদিকে হতাহতের ঘটনায় দু:খ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দগ্ধদের সর্বোচ্চ চিকিৎসা সেবা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

নারায়ণগঞ্জের পশ্চিম তল্লা এলাকায় শুক্রবার রাত সাড়ে আটটার দিকে বায়তুস সালাত জামে মসজিদে এই ঘটনা ঘটে। এতে অর্ধশতাধিক মানুষ দগ্ধ হন। অনেকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের সমন্বয়কারী ডা. সামন্ত লাল সেন জানান, নারায়ণগঞ্জের ঘটনায় এ পর্যন্ত ৪০ জন জরুরি বিভাগ থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। জরুরি বিভাগের চিকিৎসকদের সঙ্গে হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে থাকা অন্যান্য চিকিৎসকরাও যোগ দিয়েছেন দগ্ধদের চিকিৎসায়। প্রায় সবার শরীরের ৩৫ থেকে ৭০ শতাংশ পর্যন্ত দগ্ধ হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

দুর্ঘটনার পর মসজিদের ভেতরে মেলে বিস্ফোরনের সূত্রপাতের চিহ্ন। মসজিদ ভবনের নিচ দিয়ে গেছে তিতাস গ্যাসের লাইন। সেখানে থাকা ছিদ্র দিয়ে বেরুচ্ছে গ্যাস ও পানি। স্থানীয়রা জানালেন, বেশ কয়েকদিন ধরে নামাজ পড়ার সময় গ্যাসের গন্ধ পাচ্ছেন তারা। এনিয়ে বেশ কয়েকবার ইমাম ও মসজিদ কমিটির মাধ্যমে সংশ্লিষ্টদের জানানো হলেও ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।

এর আগে শুক্রবার রাত পৌনে ৯টার দিকে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, পৌনে ৯টায় মসজিদের ভেতরে থাকা এসির বিস্ফোরিত হয়। মুহূর্তের মধ্যে মসজিদের ভেতরে থাকা ৩০ থেকে ৪০ জনের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। হুড়োহুড়ি করে বের হওয়ার চেষ্টা করেন তারা। তাদের অনেকেই দগ্ধ ও আহত ছিলেন।

শেয়ার করুন

মসজিদে বিস্ফোরণ: শিশু-মুয়াজ্জিনসহ ১১ জনের মৃত্যু

তারিখ : ১০:২৯:২০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২০

নারায়ণগঞ্জে মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ যে ৩৭ জনকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছিল তাদের মধ্যে শিশু-মুয়াজ্জিনসহ আরও ১০ জন মারা গেছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাসপাতালটি সমন্বয়কারী ডা. সামন্ত লাল সেন। গতকাল রাত ১১ টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জুয়েল নামে ৭ বছরের এক শিশু মারা যাওয়ায় এখন পর্যন্ত মোট ১১ জনের মৃত্যু হলো।

একসাথে ছয়টি এসি বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহত ১১ জনের নাম পাওয়া গেছে। তারা হলেন, সাব্বির, জামাল, দেওয়ান, জুয়েল, যুবায়ের, হুমায়ুন কবির, মোস্তফা কামাল, ইব্রাহিম, রিফাত, জুনায়েদ ও কুদ্দুস বেপারী। এ ঘটনায় এখনও যারা চিকিৎসাধীন আছেন তাদের প্রত্যেকের শ্বাসনালী পুড়ে যাওয়ায় প্রায় সবার অবস্থাই আশঙ্কাজনক বলে জানান ডা. সামন্ত লাল সেন।

এদিকে হতাহতের ঘটনায় দু:খ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দগ্ধদের সর্বোচ্চ চিকিৎসা সেবা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

নারায়ণগঞ্জের পশ্চিম তল্লা এলাকায় শুক্রবার রাত সাড়ে আটটার দিকে বায়তুস সালাত জামে মসজিদে এই ঘটনা ঘটে। এতে অর্ধশতাধিক মানুষ দগ্ধ হন। অনেকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের সমন্বয়কারী ডা. সামন্ত লাল সেন জানান, নারায়ণগঞ্জের ঘটনায় এ পর্যন্ত ৪০ জন জরুরি বিভাগ থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। জরুরি বিভাগের চিকিৎসকদের সঙ্গে হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে থাকা অন্যান্য চিকিৎসকরাও যোগ দিয়েছেন দগ্ধদের চিকিৎসায়। প্রায় সবার শরীরের ৩৫ থেকে ৭০ শতাংশ পর্যন্ত দগ্ধ হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

দুর্ঘটনার পর মসজিদের ভেতরে মেলে বিস্ফোরনের সূত্রপাতের চিহ্ন। মসজিদ ভবনের নিচ দিয়ে গেছে তিতাস গ্যাসের লাইন। সেখানে থাকা ছিদ্র দিয়ে বেরুচ্ছে গ্যাস ও পানি। স্থানীয়রা জানালেন, বেশ কয়েকদিন ধরে নামাজ পড়ার সময় গ্যাসের গন্ধ পাচ্ছেন তারা। এনিয়ে বেশ কয়েকবার ইমাম ও মসজিদ কমিটির মাধ্যমে সংশ্লিষ্টদের জানানো হলেও ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।

এর আগে শুক্রবার রাত পৌনে ৯টার দিকে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, পৌনে ৯টায় মসজিদের ভেতরে থাকা এসির বিস্ফোরিত হয়। মুহূর্তের মধ্যে মসজিদের ভেতরে থাকা ৩০ থেকে ৪০ জনের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। হুড়োহুড়ি করে বের হওয়ার চেষ্টা করেন তারা। তাদের অনেকেই দগ্ধ ও আহত ছিলেন।