সদর দক্ষিণে যৌতুকের দাবিতে গৃহবধুকে হত্যার ঘটনায় মামলা

মাজহারুল ইসলাম বাপ্পি ।।

কুমিল্লা সদর দক্ষিণে জোলাই কুড়িয়াপাড়ায় যৌতুকের দাবিতে রোকসানা আক্তার লিজা (২১) নামের এক সন্তানের জননীকে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় লিজার মা মোসাঃ রহিমা বেগম বাদী হয়ে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছে।

সূত্রে জানা যায়, গত প্রায় আড়াই বছর পূর্বে কুমিল্লা চৌদ্দগ্রাম উপজেলার ধনুসাড়া গ্রামের বাচ্চু মিয়া মেয়ে রোকসানা আক্তার লিজার সাথে বিয়ে হয় সদর দক্ষিণ উপজেলা পূর্ব জোড়কানন ইউনিয়নের জোলাই কুড়িয়াপাড়া গ্রামের শাহআলম মৌলভীর ছেলে শাহজালাল ওরফে সোহাগের।

বিয়ের কিছুদিন পর স্বামী সোহাগ প্রবাসে চলে যায়।প্রবাসে যাওয়ার তিন মাস পর সোহাগ আবার দেশে ফিরে আসে। বিদেশ ফেরার পর থেকে স্ত্রী রোকসানা আক্তার লিজা কে যৌতুকের জন্য মানসিক ও শারীরিকভাবে চাপ প্রয়োগ করে। এর পর থেকেই শুরু হয় লিজার উপর নির্যাতন ও পারিবারিক অশান্তি। যৌতুকের চাহিদা মিটাতে না পারায় এক সন্তানের জননী লিজা প্রায়’ই শ্বশুর বাড়ির লোকজনের নির্যাতনের শিকার হতো। বিশেষ করে শাশুড়ি কর্তৃক নির্যাতন ছিল মাত্রাতিরিক্ত বলে জানায় স্থানীয়রা।

স্বামী,শ্বশুর,শাশুড়ি ও ননদ মিলে তাকে হত্যা করে বলেও অভিযোগ রয়েছে। রবিবার বেলা এগারোটায় পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। ঘটনার পর থেকে ৪ মাস বয়সের কণ্যা সন্তানকে পাশের বাড়িতে রেখে স্বামীর বাড়ির লোকজন পলাতক রয়েছে।

এ ঘটনায় লিজার মা মোসাঃ রহিমা বেগম বাদী হয়ে রবিবার রাতে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানায় যৌতুকের দায়ে হত্যা মামলা দায়ের করেছে। মামলার আসামীরা হচ্ছে-স্বামী শাহজালাল ওরফে সোহাগ,শ্বশুর শাহআলম মৌলভী,শাশুড়ি আনোয়ারা বেগম ও ননদ সুমাইয়া আক্তার।

এ ব্যাপারে লিজার চাচা সিরাজুল ইসলাম জানায়, সম্পূর্ণ পরিকল্পিত ভাবে লিজাকে যৌতুকের জন্য হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যার অপপ্রচার চালাচ্ছে স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন। হত্যাকারীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।

এ ব্যাপারে সদর দক্ষিণ মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কমল কৃষ্ণ ধর জানান, মামলার আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

     আরো পড়ুন....

পুরাতন খবরঃ

শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
 
১০১১১২১৩১৪১৫
১৬১৭১৮১৯২০২১২২
২৩২৪২৫২৬২৭২৮২৯
৩০  
error: ধন্যবাদ!