নাঙ্গলকোট প্রতিনিধি :
২০৪১ সালে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য অর্জনে সমন্বিত পরিকল্পনার মাধ্যমে নাঙ্গলকোটকে এগিয়ে নিতে হবে। নাঙ্গলকোট উপজেলা যেহেতু মৎস চাষে এগিয়ে রয়েছে আপনারা চাইলে এলাকার মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে মৎস চাষকে শিল্পতে পরিণত করতে পারেন। তরুণ ও যুব সমাজকে খেলাধুলা ও সংস্কৃতির চর্চা করতে হবে। এলাকায় ভাল কোন মাঠ থাকলে ওই মাঠটিকে উদ্যোগ নিয়ে চার পাশে রাস্তা করে সকাল বেলায় এলাকার মানুষের ব্যায়ামের জন্য সুযোগ করে দিতে পারেন, এতে আবার আগের মতো সামাজিক সম্পর্ক ফিরে আসবে।
তিনি সরকারী কর্মকর্তাদের বলেন, আপনারা যারা সেবা গ্রহিতাদের হয়রানি করছেন আপনি নিজে অথবা আপনার কোন আত্মীয় নিজ উপজেলায় গিয়ে ওই রকম হয়রানিতে পড়লে কেমন লাগবে একবার চিন্তা করুন? দ্রুত সময়ের মধ্যে মানুষের সেবা নিশ্চিত করবেন এ বার্তা আমি সকল সরকারি কর্মকর্তাদের দিতে চাই। ঘরে বসেই জমির অনলাইনে খাজনা ও নামজারির আবেদন করবেন। অনলাইন করার পর আপনার কাজ আটক করে রাখার ক্ষমতা কোন কর্মকর্তার নেই, আমরা নিয়মিত বিষয়গুলো অনলাইনে তদারকি করি।
নামজারি অনলাইনের আবেদনের পর শুধু মাত্র শুনানির দিন সকল মূল কাগজপত্র নিয়ে উপজেলা ভূমি অফিসে যেতে হবে। কোন মাধ্যম ছাড়া নিজেরা ঘরে বসে আবেদন করে দেখুন কাজ হয় কিনা। এরপরও যদি কোন সমস্যায় পড়েন আমাকে সরাসরি ফোন দিবেন, অবশ্যই আপনাদের অভিযোগ শুনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। আমরা জনগণকে যেকোন কিছুর বিনিময়ে হলেও যেকোন মূল্যে হলেও প্রাপ্য সেবাটি দিতে চাই এবং যত অল্প সময়ে এবং আমাদের কাছে না এসেও আপনাদের সেবা নিশ্চিত করতে চাই।
জেলা প্রশাসক খন্দকার মু. মুশফিকুর রহমান সোমবার নাঙ্গলকোট উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে জনপ্রতিনিধি, বীরমুক্তিযোদ্ধা, সাংবাদিক ও অংশীজনদের সাথে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন নাঙ্গলকোট উপজেলা নির্বাহী অফিসার রায়হান মেহেবুব।
অনুষ্ঠান শুরুতে জেলা প্রশাসক খন্দকার মু. মুশফিকুর রহমানকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা প্রশাসন, চেয়ারম্যান সমিতি সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।
উপসহকারী কৃষি অফিসার জুনায়েদ হাসানের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সামছুউদ্দিন কালু, অর্থমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিব কে এম সিংহ রতন, নাঙ্গলকোট পৌর মেয়র আবদুল মালেক, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আবু ইউছুপ ভূঁইয়া, নাঙ্গলকোট থানা অফিসার ইনর্চাজ দেবাশীষ চৌধুরী, মৌকারা ইউনিয়ন সাবেক চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা ইছহাক ভূঁইয়া, দৌঁলখাড় ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ সাইফুল ইসলাম বাবলু, নাঙ্গলকোট প্রেসক্লাব সভাপতি এএফএম শোয়ায়েব, উপজেলা কৃষি অফিসার নজরুল ইসলাম, উপজেলা ছাত্রলীগ সাবেক সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক সুমন, হিন্দু বৌদ্ধ ঐক্য পরিষদ নেতা রতন মজুমদার।