মাজহারুল ইসলাম বাপ্পি :
কুমিল্লার লালমাই উপজেলার বাগমারা উত্তর ইউনিয়নের পূর্ব নোয়াগাঁও গ্রামের ইরাক প্রবাসী সোহেল রানার বিরুদ্ধে তার বিবাহিত স্ত্রী পরিনা আক্তারের উপর নির্যাতনের প্রতিবাদে ও স্ত্রী পরিনা’র ভরণ পোষণসহ পূর্ণাঙ্গ স্বীকৃতির দাবিতে বৃহস্পতিবার (২৮ অক্টোবর) বিকালে কুমিল্লার একটি কনফারেন্স রুমে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে স্ত্রী পরিনা লিখিত বক্তব্যে বলেন,আমি চাকরির সুবাদে ইরাক থাকাকালীন কুমিল্লার লালমাই উপজেলার বাগমারা উত্তর ইউনিয়নের পূর্ব নোয়াগাঁও গ্রামের আব্দুল জলিলের ছেলে ইরাক প্রবাসী সোহেল রানা’র সাথে পরিচয় হয়। ২০১৯ সালে প্রবাসে সোহেল এর সাথে আমার বিয়ে হয়। প্রবাসে থাকাকালীন আমি কসমেটিকস ব্যবসা করতাম।
যেহেতু আমরা স্বামী-স্ত্রী, সেহেতু আমার ব্যবসার সকল টাকা স্বামী সোহেলের কাছে দিতাম। সোহেল দেশের বাড়ি করার কথা বলে আমার কাছ থেকে আট লাখ টাকা নিয়ে যায়।
আমি ও আমার স্বামী সোহেল চলতি বছরের মার্চ মাসে দেশে এসে আমার হোম ডিস্ট্রিক গাজীপুরে (বাংলাদেশের মুসলিম নিকাহ আইন অনুযায়ী) কাবিন রেজিষ্ট্রি করি।
পরবর্তীতে স্বামী সোহেল এর গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার লালমাই উপজেলার বাগমারা উত্তর ইউনিয়নের পূর্ব নোয়াগাঁও এসে জানতে পারি যে, আমার অজান্ত সে পূর্বেও আরেকটি বিয়ে করেছে এবং তার দুই সন্তানও রয়েছে।
আমি সোহেল এর গ্রামের বাড়িতে যাওয়ার পর তার প্রথম স্ত্রী ও তার পরিবারের লোকজন আমার উপর শারীরিক নির্যাতন চালায় এবং আমার স্বামী পালিয়ে যায়।
পরবর্তীতে স্থানীয় সকল গন্যমান্য ব্যক্তিদের জানিয়েও কোন প্রকার সমাধান না পেয়ে আইনের আশ্রয় নিতে বাধ্য হই।
পরবর্তীতে স্বামী সোহেল রানা,শাশুড়ী রহিমা বেগম কে আসামী করে নারী নির্যাতন আইনে একটি মামলা দায়ের করি। তাদের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট থাকার পরও পুলিশ তাকে গ্রেফতার করছে না বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
আমি কুমিল্লা জেলা প্রশাসক, জেলা পুলিশ সুপার, লালমাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার,লালমাই থানার অফিসার ইনচার্জ এর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।